Skip to main content

সপ্তমী

- বেরোতে পারবি? - হবে না রে, মা বেরোতে দেবে না - তুই বল না সঞ্চারীদের বাড়ি নোটস্ নিতে আসবি - ধুর সঞ্চারীরা তো দার্জিলিং-এ - পারমিতা? - মামাবাড়ি, বীরভূম

কেটস

        সাদা কেটস কিনে দিত বাবা। জুটমিলে কাজ করত। আমরা তিন বোন, এক ভাই। আমি সবার বড়, দিদি। ওই কেটসই পেতাম প্রতি বছর। স্কুলেও ওই দিয়েই হয়ে যাবে তাই।

লুকোচুরি

চাদরেও ঠাণ্ডা মানাচ্ছে না। ঠকালো? অথচ বলল, আসল কাশ্মীরি শাল নাকি। আমার এই প্রথম এইদিকে আসা। ছাপরা স্টেশান থেকে বারো কিলোমিটার দূরে একটা জঙ্গল ঘেরা স্টেশান। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা।

ধুলো

        উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে রোজই বড় রাস্তায় চলে আসে বাড়ির বউটা। ঝাঁট দিতে দিতে কখন ঘোমটাটা খুলে যায় তাও খেয়াল থাকে না। এই নিয়ে নিত্য গঞ্জনা শুনতে হয় তাকে। 
        সেদিন রাতে সে বরকে জিজ্ঞাসা করল, বড় রাস্তায় গেলে কি হয়? 
        বর বলল, বেশ্যা।

দাগ

        সাবির আলি চেয়ারের হাতলে ভর দিয়ে বাঁদিকে ঝুঁকে বসে আছে। মাথার উপর স্বচ্ছ টাকে পিছনের জানলার পর্দাটার ছায়া দুলছে। নীল সাদা চেক চেক শার্টে এখনও ঘামের দাগ শুকায়নি। রিডিং গ্লাসটা নাকের কাছে নেমে এসেছে। ডান হাতটা চেয়ারের বাইরে ঝুলে আছে। সাবির আলি পনেরো মিনিট হল মারা

রুটি বেগুনভাজা

        দু'দিন আগেও বাগানে ঘুরে গেছেন, সবাই বলল। পুকুুনের মা জানত, মাথাটা গরম হলেই বাগানে ঘোরেন। একা একা ঘোরেন। একা একা কথা বলেন। একা একা আকাশের দিকে তাকিয়ে মাটিতে শুয়ে থাকেন। সাদা পায়জামা আর পাঞ্জাবী গায়ে রোগা মানু

১১ই সেপ্টেম্বর

        অসম্ভব ভিড়, বারাকপুর স্টেশান। ধাক্কা দিয়ে এগোনোই যায়। কিন্তু এগোলেন না। পিঠে, বুকে, মুখে ধাক্কা খেতে খেতে একবার ছাদের দিকে তাকালেন। পায়রাগুলো গিজগিজ করছে। সন্ধ্যের সময় প্রতিদিন হয়। তবে আজ অন্যরকম। কেন অন্যরকম তা জানেন না। আজ সারাদিন না ভাবতে চেষ্টা করেছেন। এখন

টাকাটা কি আব্বুকে দেব?

        ফরজানা আকাশের দিকে তাকিয়ে, মস্তবড় একখানা মাঠের মাঝখানে শুয়ে। চোখদুটো আকাশের দিকে খোলা। সকাল থেকে বুকে ব্যথা হচ্ছিল। স্কুলেও গিয়েছিল, ফিরে এসেছে। স্যারেরা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। বাড়ি এসে বমি হল। মা বলল, সকালের নামাজে কিছু ভুলচুক করেছিস। বাবা বলল, আল্লাহ্‌র মেহেরবানিতে সব ঠিক হয়ে যাবে। 

বাঁশিওয়ালা

        খোঁজ থাকে। কিসের খোঁজ বুঝি না। মানুষের যে ঈশ্বরের খোঁজ, সেই ঈশ্বরের কথা কত বইতে কত ভাবে। কত আবেগ, কত নীতি, কত বর্ণনা, তার কোনো শেষ নেই। মোদ্দা কথা মানুষের নিজের ভিতর নিজেকে নিয়ে একটা বোঝাপড়ার যেন আর শেষ নেই। যেই তুমি মনে করেছ একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছ, অমনি এমন একটা ঢেউ এলো যে সব এলোমেলো হয়ে গেল। তুমি যা যা ভেবে রেখেছিলে সব গেল গুলিয়ে। কিচ্ছু নিজের ম

এরা কোন দেশের ঠাকুমা?

        পাখিটা ডাকতেই ছেলেটা ঘরের বাইরে এসে দাঁড়ালো। এক হাতে একটা আধ খাওয়া পেয়ারা। ছুঁড়ে ফেলে দিল পুকুরের জলে। ধুপ্ করে আওয়াজ করে, একটা গোল চাকতি ঢেউ তুলে পেয়ারাটা ডুবে গেল। পুকুরের জলে ভাসা নারকেল গাছের ছায়াগুলো উড়ন্ত কাপড়ের মত দুলে উঠল। ছেলেটা ভালো করে খেয়াল করল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। দাঁতের ফাঁকে একটা বিচ

Subscribe to অনুগল্প