Skip to main content

জেটি

        জেটিকে যদি জিজ্ঞেস করি, "জেটি তুমি কার?" জেটি কি উত্তর দেবে, জানি না।

জোনাকি পথ

        লোকটা জানত মারা যাবে। মারা তাকে যেতেই হবে। ব্যথার কথা বলে না। খিদে কমে যাওয়াটা লুকিয়ে যায়। অল্প বয়েসী মেয়েটার মাথায় সিঁদুরের দাগটা দেখলে বুকটা টাটায়। দুটো ঘুমন্ত বাচ্চার মুখে এসে পড়া স্ট্রিট লাইটের আলো, জানলার পর্দা উড়িয়ে ঘরের ভিতরে এসে জমে - সে দেখতে দেখতে আন

পলাশ

        বাচ্চাটার জামায় নীল বোতাম। সাদা সুতোতে সেলাই। বাচ্চাটার লাল জামাটা একটু ছোটো। নীল হাফ প্যান্ট। পার্কের একটা কোণে বসে মোবাইলে গেম খেলছে।

জিভ

        বাচ্চাটার মুখে একটাই কথা, আমি বড় চিপসটা খাব। মা মুখের দিকে তাকিয়ে বড় চিপসটা হাতে দিয়ে, চারদিকে তাকাল। চিপসের প্যাকেটটা মাটিতে পড়েছিল, মা কুড়িয়ে পেয়েছে। মুখটা খোলা, তবু, বাচ্চাটা চাইছে, কি আর হবে?!

পান্নালাল


        জনবহুল রাস্তা। আলোয় আলো চারদিক। দুর্গাপূজোর জামা দ্বিতীয় দফায় কালীপূজোতে বেরিয়েছে আবার। কচিকাঁচা, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী-বয়স্করা রাস্তায় --- ঠাকুর দেখতে, প্যাণ্ডেল দেখতে, আলো দেখতে, মানুষ দেখতে।

বোধ

 অনেকটা রাস্তা চলে আসার পর বুঝল পাকা রাস্তাটা ছেড়ে গেছে অনেকক্ষণ হল। একটা জঙ্গলের মধ্যে অন্যমনস্কভাবেই চলে এসেছে অনেকটা। মাটিতে বসল। যাবে কোথায়? কোনোদিকেই যাওয়ার নেই। কিন্তু দাঁড়াবার জোও তো নেই। মানুষ মনের গুণে ঘুরে মরে। আমি কিসের খোঁজে ঘুরছি তবে? ঈশ্বরের মৃত শরীর দেখে এসেছি নিজের চোখে।

সর্দার

কিছুক্ষণ জঙ্গলে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে সর্দার ঘুমিয়ে পড়েছে। সর্দার মানে সর্দারজী নয়, ডাকাতের সর্দার। অমনি গাছ থেকে একটা ইয়াব্বড় ডাব মাথায় পড়ে সর্দার অক্কা। বেঘোরে মরলে মানুষ কি হয়? ভূত হয়। তো এই সর্দারও তাই হল। প্রথম প্রথম খুব করে শরীরের নানা গত্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে দেখল, কিন্তু হল না, পোষালো না। অগত্যা দেহের মায়া ত্যাগ করে খাঁটি ভূত হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেবে ঠিক করল।

এখনই না

        পুকুরপাড়ে হাঁসগুলোকে ছেড়ে দিয়ে পা ছড়িয়ে ছাতিম গাছটার তলায় বসল বিহান। নীল আকাশ, সাদা সাদা কয়েক টুকরো মেঘ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বিহানের শাড়ির উপর উড়ে এলো কয়েকটা কাশফুলের রোঁয়া। বিহান নিজের পায়ের দিকে তাকালো। কড়া পড়েছে, আঙুলে ফাঁকে ফাঁকে হাজাও আছে। এই শাড়িটা চার বছর আগে

আমগাছ

        মানুষটা আমগাছের চারাটা লাগিয়ে, কয়েকদিন মাত্র নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিল। ভেবেছিল, গাছটা না হলেই ভালো। কিন্তু একদিন ভোর সাড়ে চারটে উঠে বাগানে এসে যেই দাঁড়িয়েছে, তার চোখ ঠোক্কর খেল দুটো সবুজ পাতায়, একটা চারাগাছ জন্মিয়েছে। 

অষ্টমী

        মণ্ডপে আমাদের দাঁড়ানোর লাইন দেখেছেন? পুরুষের লাইন দেখেছেন, মহিলার লাইন দেখেছেন। আমাদের? আমরা ওই মহিলাদের লাইনেই দাঁড়াই। আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত বুঝলেন তো। ট্রেনে, বাসে, রাস্তাঘাটে আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত।

Subscribe to অনুগল্প