গন্ধ
এক হাতে সাইকেলের হ্যাণ্ডল, আরেক হাতে দুধের ক্যান, ঢাকনা শক্ত করে আঁটা, সন্ধ্যাবেলা রোজ রেললাইনের ধার দিয়ে দিয়ে, এবড়োখেবড়ো রাস্তায়, সাবধানে সাইকেলে প্যাডেল করতে করতে বাড়ির দিকে এগোন, শীতকালে মাফলার-টুপি-সোয়েটার, গরমকালে ফতুয়া, বর্ষাকালে বর্ষাতি গায়ে।
অপেক্ষা
একজন মানুষ অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। যতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা তার থেকেও বেশিক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষটার মাথার উপর কৃষ্ণচূড়া ফুলের ঝাঁকি গাছ ভর্তি, কি সুন্দর করে একটা পাখি ডাকছে, মানুষটা ভ্রুক্ষেপ করছে না। হাতের সিগারেটটাকে জোরসে আঁকড়ে নি
মা গুরুপ্রাণদায়িণী
গুরুদেবের সকাল থেকে উপোস। শিষ্যরাও কিছু দাঁতে কাটেনি সকাল থেকে। বেড়ালগুলো, কুকুরগুলো না খেয়ে। মায় কাকগুলো অবধি না খাওয়া।
গ্রামে আর কোনো বিপদ নেই
টুল আনছি, আয়
ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে। শীতটা জাঁকিয়ে। আলোটা অফ করে বাথরুমের লাইটটা অন রেখেই বিছানায় এলাম। নতুন জায়গা। একটু অস্বস্তি হচ্ছেই। কৃষ্ণনগরের এই দিকটা প্রত্যন্ত গ্রাম। চারদিক বেশ ফাঁকা ফাঁকা। মাসিদের নতুন বাড়ি এটা। ওরা দুদিন পর আসবে। পুরী গেছে।
কে ওটা রে?
বাড়ির সবাই কাজে বেরিয়ে গেলে মেয়েটা বড় এক গ্লাস চা নিয়ে বসে। সম্পূর্ণ একা এই সময়টায়। ঘড়ির আওয়াজ, ফ্যানের আওয়াজ, ফ্রিজের আওয়াজ, আর মাঝে মাঝে তার দীর্ঘশ্বাসের শব্দ, কাশির শব্দ। মেয়েটা অপেক্ষা করে। কেউ আসুক সে চায় না। কিন্তু অপেক্ষা করতে ভালো লাগে। স্পষ্ট কারোর মু
আব্বাজান
একটা গোলাপী শাড়ি। মাথায় দুটো ক্লিপ। অনেক দিন হেলায় পড়ে থাকা, ঝড়ে ভাঙা গাছের ডালের মত শরীর। জোর বলতে --- গলা আর চোখ। বিরক্তিকর ফ্যাসফ্যাসে গলা, দৃষ্টি তীক্ষ্ণ জ্বালা ধরানো দৃষ্টি।
বাজারের থলে
লোকটা মাসকাবারি বাজারের থলেটার নীচের দিকটা দিল কেটে। এদিকে হাত দিলে ওদিক থেকে হাত যাচ্ছে বেরিয়ে।
সবাই হো হো করে হাসল।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
সারা গায়ে কাদা ছোপ ছোপ, ভূষণ এসে দাওয়ায় বসল। ভূষণ নাপিতের কাজ করত। এখন চলে না। গ্রামে নতুন সাজসরঞ্জামের সেলুন খুলেছে, আর না হোক চারটে। এখন আর রাস্তার ধারে বসে কে চুল কাটাবে। তার ঠাকুরদার পিঁড়ে, কাঁচি, কলপের বাটি, ব্রাশ --- সব খাটের নীচে ট্রাঙ্কে জমা।