Skip to main content

জন্মদিনে

ঘটনাটা বলব ভাবিনি কোনোদিন। কিন্তু বলাটা দরকার। নইলে নিজের কাছে অপরাধী থেকে যেতে হবে। আর বিপুল, মানে আমার ছোটোবেলার বন্ধু, ও নিজে থেকেই বলল, বলে দিতে। কারণ ঘটনাটার সঙ্গে ও নিজেই জড়িয়ে। 

সে আর আরশোলা 

লোকটা যেখানে যেত পকেটে করে আরশোলাটাকে নিয়ে যেত। আরশোলাটার বাঁদিকের দুটো ডানাই ভাঙা। ডান দিকের দুটো পা-ও ছিল না। ফলে না ভালো করে উড়তে পারত, না তো ভালো করে হাঁটতে পারত। সে লোকটার বুক পকেটে, প্যাণ্টের পকেটে করে ঘুরে বেড়াত। লোকটা আরশোলাটার নাম রেখেছিল গুমশুম। 

মহিষাসুর

মন্দিরের ছাদে একটা শালিক বসেছিল। যেই না উড়ে গেল, গণেশ বলল, হুস্! চলে গেল।

অর্ধেক বাঁধা প্যাণ্ডেল

চন্দনার মাথাটা গরম ছিলই। চারটে বাড়ি কাজ। সমস্যা হয় মুখার্জি বাড়ির বৌদিকে নিয়ে। জন্মের শুচিবাই। অতগুলো বিছানার চাদর কেউ একসঙ্গে ভেজায়? জানে না এই এক সপ্তা হল ডেঙ্গু থেকে উঠেছে চন্দনা! লোকের বাড়ি খেটে খায় বলে কি মানুষ না!

ছাতা

ব্যাঙ বলল, এরই মধ্যে যাবি স্কুলে? আরাধ্যা বলল, যাবই তো... আমার যে পরীক্ষা। ব্যাঙ বলল, কি পরীক্ষা ভাই? আমি তো জানতাম এই বৃষ্টিতে আমরাই শুধু বেরোই। তবে তোর ছাতাটা যদি দিতিস।

কলঙ্ক

গোঁসাই বলল, দেখো, যে দীঘিতেই নামো, শরীর ভিজবে। কিন্তু মন ভরবে না। যদি একবার নিজের দীঘির সন্ধান পাও, হারিও না। এ দীঘি, সে দীঘির জলে নেমে শরীর ভিজিয়ে বেড়িও না। মন থেকে যাবে শুষ্ক। রিক্ত। একা।

এলোমেলো কিউব

আসতেই হত। আজ এক বছর কমপ্লিট হল ফ্ল্যাটটায় আসা। ঈশান ঘুমাচ্ছে। কনক এক কাপ কফি নিয়ে বালকনিতে এসে বসল। সকাল ছ'টা। 

     কেউ খারাপ ছিল না। সবাই ভালো। শ্যামনগরের বাড়িতে ঘরের অভাবও ছিল না। তবে বিরাটি কেন? 

প্রতিবিম্ব

আসামীর সাজা ঘোষণা হয়ে গেছে। এদিকে তাও সে কাঠগোড়ায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। বিচারক বললেন, তুমি কিছু বলবে?0

     আসামী হাসল। বলল, বলি?

     বিচারক বললেন, কি মুশকিল, বলবে বইকি.. বলো….

অসুর

সমস্যাটা হল অসুরকে নিয়ে। দুর্গোৎসব এখন আন্তর্জাতিক উৎসব। ছেলেখেলা নয়। গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষী, মা দুর্গা --- এঁদের আন্তর্জাতিক করতে বেগ পেতে হবে না। একটা 'গুডউইল' বলে ব্যাপার আছে। কিন্তু অসুর? 

Subscribe to অনুগল্প