শোক হঠাৎ এসে দাঁড়ালো। অপ্রস্তুত আমি। ব্যস্ত ছিলাম অন্যকাজে।

তুমি বললে, অবাস্তব
আমিও বললাম, অবাস্তব ...

কলকাতার
কোনো একটা অখ্যাত গলির মোড়ে
অখ্যাত একটা ছোট্টো রুটির দোকান ছিল

বোকা হওয়া দোষের কিছু নয়। সমস্যার। যখনই বুঝতে পারবেন বোকা হয়ে গেছেন, নিজের কোনো খামতির জন্য বা অন্যের চালাকির জন্য, অনুতপ্ত হবেন না বা ক্ষুব্ধ হবেন না। স্বাভাবিক ঘটনায় ক্ষুব্ধ হওয়াটা অপ্রত্যাশিত বোকামি। যেই না বোঝা গেল, বোকা হলাম, তখনই দেখতে হবে বোকা হওয়ার জন্য যে ক্ষতিটা হল সেটাকে কি করে সামাল দেওয়া যায়।

দুঃখ থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য কত উপায় মানুষটা করল। কোনোটা কাজে এলো না। তারপর দুঃখ পেতে পেতে একদিন যখন তার দুঃখের ভয়টা চলে গেল, তার মনে হল যেন কদ্দিনের না কাচা কম্বল তার গা থেকে খসে গেল। তখন তার নিজের আগেকার চেষ্টাগুলো মনে পড়ে হাসি পেল, নিজেকে কত নির্বোধ মনে হল। সে খুব হাসল ক'দিন ধরে। লাগাতার হাসল।

নারায়াণ ডাকি কহে
জুকেরবাগেরে
ফেসবুক জুড়ি কেন
  ক্রন্দন রোল ওঠে

পয়লা জানুয়ারী। গিন্নী কম্বল ছেড়ে বেরিয়ে, খাট থেকে নেমে, দেওয়ালে ঝোলানো রামকৃষ্ণদেবের ছবিতে প্রণাম করে বললেন, হ্যাঁ গো, আজ তো কল্পতরু উৎসব, চলো না গো আমরা কাশীপুর মঠে যাই। কদ্দিন যাই না। ...

যদি দৈন্যই সত্যি হত অবশেষে
তবে দিগন্তলীন সমুদ্রের সামনে
  কি ভোরের সূর্যের মুখোমুখি
                  দাঁড়াই কি করে?