Skip to main content

মন তো, ধুনুচি তো নয়, যে এর ওর দুষ্টুমির ছোবড়া মনে করে করে আনবে আর অভিমানের,আক্রোশের কর্পূর দিয়ে রাতদিন ধিকিধিকি জ্বালিয়ে রাখবে। তারপর সারা ঘরদোর ধোঁয়া, ধোঁয়া। ধরতে গেলে ছ্যাঁকা। ধুর ধুর, ওভাবে হয় নাকি! 

    পোড়াতে হলে অভিমান পুড়ুক। পাঁচ কান হওয়া কথা, মনের দীঘিতে ডুবে মরুক। দশ কান হওয়া নিন্দা নিরুদ্দেশ হোক আর নতুন কোনো কান না পেয়ে। 

    কথা থেমে গেলে যুক্তির ঝনঝনানি থেমে যায়। সে ঝনঝনানি থেমে গেলে হৃদয় আড়ামোড়া ভেঙে পা ছড়িয়ে বসে। সন্ধ্যে নামে। সন্ধ্যা প্রদীপ নিয়ে এসে দাঁড়ায় মনের মধ্যে সে। শাঁখ বেজে ওঠে। আকাশে     একটা একটা তারা ফুটে ততক্ষণে স্বর্গীয় মজলিস। সমুদ্রের হাওয়া উঠানের বটগাছের পাতাকে কাঁপিয়ে বলে, এসে গেলাম। 

    সারাদিনে রোদে পোড়া পৃথিবীর শরীর যেমন রাত বাড়লে শীতল হয়, তেমনই পৃথিবীর বুকের মত জীবনের তট শীতল হয়। সব ক্ষোভ, অভিমান, রাগ, আক্রোশ নিভে যায়। এক খণ্ড ছেঁড়া মেঘের মত শান্তি ধীরে ধীরে উড়ে বেড়ায়। যেন কোথাও যাওয়ার নেই। কিছু পাওয়ার নেই। কিছু হওয়ার নেই। এই তো সবকিছু। এই যে এই একখণ্ড শান্তিকে জড়িয়ে। এই তো সব। যদি শান্তি না থাকল, তবে সব থেকেও কি হল? আর যদি শান্তি থাকল, তবে আর খোঁজ কে রাখে কি গেল আর কি এলো?