তা না নানা, তা না নানা
আবছা অন্ধকার হয়ে আসছে
আবছা অন্ধকার হয়ে আসছে
বৃষ্টির একটানা শব্দমালা স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে
তোমার না থাকাটাও....
নির্দ্বিধায়
পরিচয়ের কি আছে?
এক চিলতে বুকে যতটা ভালোবাসা ধরে
জীবনের দাবি তার চাইতে অনেক বেশি
সংশয় রেখো না
দু'পলকের জীবনের যাবতীয় হিসাব
এক ফুঁয়ে ওড়ায় মৃত্যু
কিছু মানুষকে কালের হিসাবে চিনি তো বহুদিন
বলা যায় কয়েক যুগ
কিন্তু বুঝতে পারিনি একরত্তি
পরিচয়ে কি আসে যায়?
তুমি নির্দ্বিধায় এসো
যদি ফিরে যাওয়ার তাড়া না থাকে
দুনিয়া তো এক বাজার
দুনিয়া তো এক বাজার
তোমাকে খুঁজে পাওয়ার উপলক্ষ্য মাত্র
চলো এ বাজার ছেড়ে বাইরে
একটু নিরালায় বসি
কুলটা
প্রেমের জন্য হাপিত্যেশ করিনি
প্রেমের জন্য হাপিত্যেশ করিনি
তোমার জন্যে করেছিলাম
দুনিয়া ওকেই প্রেম বলে
পরে জেনেছিলাম
মধ্যরাতের প্রমোদাগার
অপু দিদির সাথে কাশের বনে ছুটেছিল। শরতের সেই দৃশ্যই হয়ত বা বাঙালীর মনে শেষ ডক্যুমেন্টেড শরতের দৃশ্য তার আগে পরে আরো ছিল আর হবেও বা। কিন্তু সেই দৃশ্যটাই আমাদের শরতের সিগনেচার টিউন।
ওরা তিনজন
অবন্তী, মল্লিকা, রেণু
তিনজন আজও দরজার কাছে বসে
সন্ধ্যেবেলা
রোজকার মত
অবন্তী, মল্লিকা দুই জা, রেণু শাশুড়ি
আজ বড্ড অন্ধকার লাগছিল ওদের বারান্দাটা
মুখগুলো স্পষ্ট দেখতে পেলাম না
৬৫ ডেসিবেল
হেমন্ত, মান্না, কিশোর, আশা, লতা ইত্যাদি নিরীহ মানুষগুলোর অসামান্য প্রতিভাও যে কি প্রবল ভয়ংকর হতে পারে তা ফের টের পাওয়ার সময় শুরু হল। ৬৫ ডেসিবেলের নিকুচি করেছে। লাগাও গান...ফাটুক পর্দা..মরুক বুড়োরা...."শালা এই কদিনের তো মামলা একটু সামলে নিন না কত্তা!!!"
ছুটি
ক্যাপ ফাটালে একটু জোরে
সবাই কেমন আসে তেড়ে
বলে, ওরে কি দুষ্টু রে
নে তো ওর বন্দুক কেড়ে
দৌড়ে তখন মণ্ডপে যাই
দুগ্গা মায়ের মুখে তাকাই
দুগ্গার কেন মুখ নড়ে না?
ওকি বাংলা বলতে পারে না?
এতগুলো হাত কোলে তো নেয় না
একটা দিনও চুমুও দেয় না
কি রোজ শুধু মন্ত্র শোনে
অং বং ছং থাকে কি মনে?
নড়ে না চড়ে না খায় না দায় না