পথ
শেষমেশ কোথায় যাবে?
কোনোদিন জানতে পারবে না
কেউ পারেনি জানতে
তবু রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পোড়ো না
এক পা এক পা করে এগোও
তর্পণ
- মায়ের জন্য তর্পণ করতে গেলে না?
- না কাকু/কাকিমা/দিদা/দাদু/পিসী/পিসে... [দীর্ঘ প্রশ্নকের দল]
- কেন?
- ইচ্ছা করেনি। মন চায়নি।
- তোমার মায়ের জন্য এটুকু করা তোমার তো কর্তব্য বাবা...
- মনে হয়নি।
- তুমি কি কমরেড?
- কমরেডরাও তর্পণ করে। আমার কাকা বাবা দু'জনেই বর্তমান ও অতীত কমরেড... দেখুন গিয়ে গঙ্গায় গলা জলে দাঁড়িয়ে তর্পণ করছে।
কিছু ভুল হয় দুজনেরই
কিছু ভুল হয় দুজনেরই
তাইতেই পাশাপাশি থাকি
যখন দুজনের ঐশ্বরিক নির্ভুলতা -
তখন অহং এর ঠোকাঠুকি
শুধু
ধুলো শুধুই ধুলো হত
যদি তোমার পা না ছুঁতো মাটি
বাতাস শুধু বাতাস হত
যদি তোমার শ্বাসে না পেত বাস
আলো শুধু আলো হত
যদি তাতে চোখ না মেলতে চেয়ে
জল শুধু জল হত
যদি তোমার তৃষ্ণাকে রাখত তৃষ্ণার্ত
আকাশ শুধু আকাশ হত
ছায়া
হাত ধরেনি
হাত ধরতেও দেয় নি
লজ্জায়
শুধু হাঁটতে হাঁটতে দেখছিল
নিজেদের ছায়াগুলো বেহায়ার মত
একে অন্যের গায়ে মিশছে
প্রকাশ্যে, অসঙ্কোচে রাস্তায়
দমচাপা ঘর
মনের মধ্যে দমচাপা ঘর কার না থাকে? সে ঘরে যেতে ভয়। সে ঘরে জুজুবুড়ির বাস। সে ঘরে একবার সেঁদোলে বেরোবার পথ পাওয়া দায়। সেখানে অনেক অপমান, অনেক ক্ষোভ, অনেক বিষজ্বালা। সে ঘরে অনেক অপূর্ণ সাধের দীর্ঘশ্বাস, অনেক স্বপ্নের জ্যান্ত কবর, অনেক অভিমান জমা জঙ্গলের একাকীত্ব।
বৃষ্টিও মুক্ত
বৃষ্টিও মুক্তো হয়
তোমার চুল ভিজিয়ে
মাথার গন্ধ নিয়ে
মাটি ছুঁতে যখন দ্বিধান্বিত
ঠিক তখন
মাটিতে কি মুক্তো ছড়ায়?
প্রাণের দীপটাকে আড়াল করে গেল
কেউ যেন প্রাণের দীপটাকে আড়াল করে গেল
আশীর্বাদ না সৌভাগ্য?
জানি না
এক পা এগোলে শত পা এগোনো যায়
এতটা জানি
(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)
ওদের পাশে তুমি নেই যে
দেউলিয়া হলাম জানো
যেদিন প্রথম তাকালাম
অসমাপ্ত কাজগুলো ডেকে ডেকে ফিরে গেছে
বুঝে গেছে আমার আর ফেরা হবে না ওদের কাছে কোনোদিন
সন্ধ্যাবেলার যে উদাসীন রঙ সামনের বটগাছটার মাথায়
ওই রঙটা যেন এই পৃথিবীর নয়
ওকি চিঠি তোমার?
শুধুই
আমার শুধু শুধুই তোমায় ভালো লাগে
কেন ভালো লাগে জানতে চেয়ো না
এর কোনোদিন কোনো উত্তর হয় না
যদি হত -
তবে আগমনীর সুরে বিঁধত
নবমী নিশির দ্বিধা
সন্ধিপূজোয় প্রদীপ জ্বলত না