Skip to main content

শান্ত হব বলে


সব ক'টা তারাতেই
চন্দ্র, সূর্য- 
   এমনকি গনগনে চিতার আগুনেও
ঠোঁট ছুঁইয়ে এসেছি

পুড়িয়ে এসেছি

শুধু একবার তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াবো বলে
শান্ত হব বলে
বৃষ্টি ভেজা পালকগুলো শুকিয়ে নেব

তাই
 

সকাল হলেই


মালী ভোরের অপেক্ষায় বসে। গতরাতে তার বাগানে ফুটেছে গুচ্ছগুচ্ছ রজনীগন্ধা, বেলি, জুঁই।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
জেলে আছে ভোরের অপেক্ষায়। শেষরাতে ধরা পড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল। প্রচুর প্রচুর।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
শাক তুলে, লাউ তুলে, ডাঁটা তুলে..আরো কত কি তুলে অপেক্ষা করছে চাষী ভোরের সিমফুলের মত আকাশের।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
এরা কেউ জানে না

নিভৃত



====
নিভৃত জীবন
         গোপনীয় নয়
                একান্ত ব্যক্তিগত


====
তোমার নিজস্ব হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা আছে

          আমারও আছে

তবু তুমিই


আলোকে গভীরে যেতে বলো
   আরো গভীরে
যেখানে মনের বিস্তীর্ণ আঁকিবুঁকি
বকের পায়ের মত ছাপ ফেলে
   যেখানে হেঁটে গেছে তোমার ব্যক্তিগত ইতিহাস
      শামুকের মত মহাকাল হেঁটেছে তার পিছুপিছু

উদ্বাস্তু

পাখি কখনও উদ্বাস্তু হয় না
উদ্বাস্তু হয় মানুষ

কেঁচো কখনও মথ হয়ে ওড়ে না
ভিটে হারিয়ে মথ হয়ে যায় মানুষ
...

পানীয় জল

বয়স্কা বিধবা সমাজ উচ্ছিষ্ট রমণী
  তিনতলা মঠ-আশ্রমের পানীয় জল
    দুই হাতে দুটো বালতিতে করে টেনে আনছিলেন
...

যেমন খবর বারোমাস

জানুয়ারি মাস
আমাদের দেশে ভীষণ শীত
আমাদের দেশে পরপর উৎসব
পয়লা জানুয়ারি, নেতাজি জন্মজয়ন্তী, প্রজাতন্ত্র দিবস
...

কবি, তুমি চলে গেলে

কবি, তুমি চলে গেলে
   একটা সেতু নির্মাণের কাজ থেমে যায়

অসমাপ্ত সেতুতে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়
     কোন দ্বীপে যেন যাওয়ার ছিল
...

রসাঞ্জন

মৃত্যুকে একবার না
বহুবার দেখেছি। পরখ করার মত করে দেখেছি। 
আমার উঠোনে, শোয়ার ঘরে, দেওয়ালে, দেবালয়ে
   তার অবাধ যাতায়াত
...
Subscribe to কবিতা