Skip to main content
 
 
বয়স্কা বিধবা সমাজ উচ্ছিষ্ট রমণী
  তিনতলা মঠ-আশ্রমের পানীয় জল
    দুই হাতে দুটো বালতিতে করে টেনে আনছিলেন
 
হাতের শিরাগুলো ফুলে ফুলে উঠে
   শক্ত মাংসপেশির সাথে জড়াজড়ি, চীৎকার করে বলছিল -
 
পারবো!
 
আমি সেই চীৎকার শুনে সিঁড়ির কয়েক ধাপ নেমে এলাম
   রঙিন শতচ্ছিন্ন ময়লা শাড়িটা এখন শুধুই লজ্জা নিবারক
                      পোশাক নয়
   হাড়গুলোর বয়েস হয়েছে এমন
        হঠাৎ চিতায় পুড়তে দেখতে দেখলে
          কেউ বলবে না, আহা অকালে গেলো
 
সুখ-শান্তি-নিরাপত্তা-ভালোবাসা
এই সব ঈশ্বরের মত অলীক শব্দগুলো
 
   ঘাম হয়ে বিন্দু বিন্দু গড়াচ্ছে কপাল থেকে পায়ে
          জল চলকাচ্ছে বালতিতে
             ওরা বিদ্রুপ করছে না বিদ্রোহ?
 
মঠ-আশ্রমে তখন কীর্তন চলছে তুঙ্গে
   নারীত্যাগী গেরুয়াধারী পুরুষের দল মত্ত ঈশ্বর প্রেমে
   খোল-করতালের আওয়াজ ছাপিয়ে বললাম,
 
       আমায় দেবেন একটা বালতি?
 
"ছি ছি, আপনি কেন বাবা? এইতো আমার কাজ!
      পোড়া পেট..."
 
 
   হরি হরায় নমো কৃষ্ণ যাদবায় নমো...
          উপরে চলছে দেব আবাহন
 
আমার থেকে কিছুটা দূরে নীলাচল, তার থেকে কিছুটা দূরে জগন্নাথ
 
    আমার সামনে সভ্যতার একটা বাড়তি পাতা
        সিঁড়ি দিয়ে উঠে
 
              বাঁক নিল আরেক সিঁড়ির সারিতে
 
     তারপর মিলিয়ে গেল

 

Category