ঘুমন্ত চেতনায়
তিনশো বছরের পুরোনো কৃষ্ণমন্দির
রথের উৎসব,
মঞ্চে বাউলের উদাত্ত কণ্ঠে আল্লাহ্ নাম
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে
লালনের পদ
পূর্ণতার জন্য
খুব কমই এমন হয়
কখনও কখনই হয়
যখন একজন মানুষ
আরেক মানুষে
মিশে যেতেই চায়
কামের জন্য না
সুখের জন্য না
শান্তির জন্য না
আশ্রয়ের জন্য না
পূর্ণতার জন্য
তোমরাই জানো
কোন রক্তের ঘনত্ব বেশী
কোন প্রাণেতে আনুগত্য
কোন কোন দেহ প্রাণহীন হলে
তোমরা তাকে শহীদ বলো
তোমরা জানো
কখন মাইকে গলা চড়ে
ভোকালকর্ড শীতঘুমে যায়
কখন কাকে তুচ্ছ করে
হঠাৎ ভীষণ উৎসব পায়
তোমরা জানো
অনশন
ওদের বোকা বোকা জেদ
হারতে লজ্জা লাগছে, ইগোতে লাগছে
জানি তো!
সুক্ষ্ম কঠোর অতিমানবিক নজর তোমার
দেখে নিতে চাইছ, মতলবটা কি?
তবু একটা কথা থেকেই যাবে জানো
কতটা দূরত্ব?
সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে রক্তিম মেঘের বুক চিরে
ঘরে ফিরছিল একঝাঁক পাখি
মেঘের সাথে কতটা দূরত্ব ওদের?
অন্ধচোখ বৃদ্ধার পাশে বসে
হত দরিদ্র সম্বলহীন স্বামী
ঢাকের তালে তালে দিচ্ছে তালি
সুখের থেকে কতটা দূরত্ব ওদের?
হারানো বাসা
লোকটার কাঠ ঘষা দেখছিলাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
ঘষতে ঘষতে এমন মসৃণ করে দিল
যে দুপুরের চড়া রোদ ঠিকরে
ওর দোকানের দেওয়াল ঘড়ির কাঁচকে যেন হার মানিয়ে গেল
ওলটপালট
পাঁচিলটা ভেঙে পড়তে দেখার
আলোর মজলিশ ঘিরে জীবনের উৎসব
আমিও অপেক্ষায় আছি
...
আবিলতা
তুমি মিথ্যাবাদী নও
তুমি প্রবঞ্চক
তোমার প্রতিটা কথা অক্ষরগত সত্য
হৃদয়গত সত্য কি?
রথের চাকার ধ্বনি
কোথা চলিতে চাও প্রভু?
শুধালো না কেহ
শুধু চলিল রথ উন্মত্ত ভক্ত উচ্ছ্বাস ভেদি
নীরব জগন্নাথেরে লয়ে
প্রাচীর ঘিরি না
তোমায় আমি
কাছের ভাবি
নিজের ভাবি না
তোমার কাছে
আশা রাখি
দাবি রাখি না
যে ঝরণাটা
নদী হবে
নামছে দেখো
ছুটছে দেখো
ওকে আমার
দেখেই শান্তি
আগল ঘিরি না
তৃপ্ত আমি
মুক্ত আমি
পূর্ণ আমি