Skip to main content

ছাদ


লোকটা বিখ্যাত হবে বলে
  সকাল বিকাল সন্ধ্যে ভোর
     বৃষ্টি খরা শীত গরম
        সব উপেক্ষা করে ছাদে দাঁড়িয়ে থাকত
  নীচের তলা থেকে কেউ ডাকলে সাড়া দিত না
     ধীরে ধীরে সাড়া দিতে ভুলেই গেল

শিশু


হাস্পাতালের কোলাহলে
  বছর তিনেকের বাচ্চা 
  মায়ের কোলের নির্জনতায়
মানুষের বানানো বোমার আঘাতে 
       মানুষের বানানো ব্যথা কমানোর ওষুধে

ফোনটা কেটে দিয়ে, খুঁজুন


সেবার কলকাতা বইমেলায়
   তুমি তো গেলে না
সন্ধ্যে হব হব
সন্ধ্যে হতে শুরু করলে যে মন খারাপটা হয়
   সে আড়মোড়া ভাঙতে শুরু করেছে ততক্ষণে

যেমন চলা


ভীষণ ভিড়, যেমন হয়, তেমনই
   একটা ফাঁকা জায়গায় খানিক দাঁড়ানো
                    কিছুক্ষণ, 

ফেরিওয়ালা


একটা ঘোর লাগিয়ে দাও
   জ্ঞানও নেশা, যদি তা মাতাল করে
                 LoC ভোলায় 
     আমি প্রেম ত্যাগী সন্ন্যাসী তো নই

ফিরে যাও

উৎসব
তুমি বড় দাম্ভিক
তুমি বড় উন্নাসিক
তুমি বড় নিষ্ঠুর

কেন্নো


মানুষটা রাতদিন অতীতের গল্প বলত
বলতে বলতে অতীতগুলোকে কেন্নোর মত ধরে
     বর্তমানের গাছের শাখায় ছেড়ে দিত
   অতীত হামাগুড়ি দিয়ে এ ডাল, সে ডাল
       এ পাতা, সে পাতা বেড়াতো

আজ তৃতীয়া


শুচি আগরওয়াল
  বয়েস পঁয়তাল্লিশ
  আড়াই মাসের গর্ভ সাবধানে বাঁহাতে ধরে
     অত্যাধুনিক গাড়ির দরজা খুলে, 
       নীচে কাদা আছে কিনা দেখে
           মাটিতে পা দিল

যার বুকে সাত সমুদ্রের জল


তবু তো শোক শুদ্ধ করে
রোদে পোড়া তপ্ত একটা রেললাইন 
তখন উষ্ণ ফুৎকারে
   পৃথিবীকে তালুতে রেখে গড়িয়ে নিচ্ছে মহাকাল 
ঝিম ধরা দুপুরে চিলের ডাক
      বড়ি দেওয়া কাপড় কুঁচকে যাচ্ছে ছাদে

মিথ্যা


সেদিন
মিথ্যা মানে জানতাম প্রেম 
মিথ্যা মানে জানতাম সুখ
মিথ্যা মানে জানতাম নীড়ের স্বপ্ন
যতদিন মিথ্যা ছিল আমার ঘরের দুটো শালিক

এখন মিথ্যা মানে জানি অপমান
  মিথ্যা মানে জানি যন্ত্রণা
    মিথ্যা মানে জানি শূন্যতা 
যখন মিথ্যা আমার ঘরের ঘুণপোকা

Subscribe to কবিতা