দেবত্ব
এত নিস্তরঙ্গ কেন?
এত চুপচাপ কেন?
কাশবন, প্যাণ্ডেল, কেনাকাটি, শারদসাহিত্যের পুঞ্জীভূত রাশি
পুজোর রান্নাবান্না, সাজগোজ,
বেড়াবার নতুন ঠিকানার খোঁজ
এত নিস্তরঙ্গ কেন?
সাধারণ মানুষ তুমি, আমি
নাই বা হলাম ডাকাবুকো নারীবাদী
কি অন্য কোনের দলের
প্রফেশনাল প্রতিবাদী!
এত বেখেয়াল কেন?
কিছু স্মৃতি
সত্যানুরাগী
নেই
তুমি চলে যাওয়ার পর সব
দেওয়াল বলল
আমি নেই
ছাদ বলল
আমিও নেই
খাট, বিছানা, পাখা, আলো, বইপত্তর সবাই বলল
আমি নেই
এমনকি ঘরের মধ্যে
যেটুকু ছিঁটেফোঁটা সুখ, আরাম, বিশ্রাম ছিল
তারাও বলল
আমরা নেই
অনৃত
আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের শরিক না হয়, আমি স্বৈরাচারী হই, তুমি জানো না?
আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের অংশীদার না হয়, আমি ধূর্ত, কপট হই, তুমি জানো না?
আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের অনুগামী না হয়, আমি শব্দ ব্যবসায়ী হই, তুমি জানো না?
আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের ভালোবাসা না হয়, আমি শূন্যের প্রতিশব্দ হই… তুমি জানতে পারবে না কোনোদিন
আমি জানি!
নাছোড় কম্পাস
(মামুর জেনারেশন যে ভাষায় কথা বলে)
সব আছে
প্রতিদিন
প্রতিদিন আমার একটা করে ঘোর ভেঙে যাক
প্রতিদিন আমি নতুন করে বুঝি
আমার বোঝার বাইরে সংসারে যা আছে
তা অসীম
প্রতিদিন আমি নিজের কাছে ফিরি
ধুলোকাদা মেখে
নিজেকে বলি, এই তো বেশ
একটা বুদবুদ হারিয়ে গেলে
সাগরের কিছু আসে যায় না
জীবন হাঁটুক
যে যেখানে থাকুক
ভালো থাকুক
খুব লড়াই দরকার নেই তো
দরকার নেই হুড়োহুড়ি করে উপরে ওঠার
সবাই যেখানে আছে
শান্তিতে থাকুক। সুস্থ থাকুক।
একে অন্যের সঙ্গে থাকুক।
আর কেউ না থাক
অবশ্যই নিজের হাত নিজে ধরুক,
নিজের চোখ নিজে মুছুক।