Skip to main content

আমি ম'লে ঘুচিবে জঞ্জাল

একজন হনুমানের একটা ছবি আঁকলেন। ছবিটা এমন, ফ্রেমের মধ্যে হনুমান বসে। লেজটা ফ্রেমের বাইরে বেরিয়ে অনেকখানি।...

ভালোবাসায় পাঁক জমেছে

কুয়ো ঝালাতে লোক এলো। বলল, কদ্দিন পরিষ্কার করা হয় না, এত পাঁক! তাই তো এত গন্ধ!

পুরুষোত্তম আগরওয়াল ও জাভেদ আখতার

নতুন বাড়িতে একটা সমস্যা হল। জল ঢুকে বাড়ির দেওয়াল খারাপ করে দিল।
     বাড়ির মালিক বলল, ভাই এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না।
     এখন ইঞ্জিনিয়ার বেশ চালাক মানুষ, সে হাজার একটা কারণ দেখিয়ে বলল, স্যার, এটা পসিবল, এটা অসম্ভব কিছু নয়, এটা তো হতেই পারে।

জাগতে রহো

গন্তব্যে যেতে হবে। নদী উত্তাল। তায় রাতের অন্ধকার। নৌকায় ছয়জন যাত্রী।
          ইনস্টিংক্ট বলল, আমার স্থির বিশ্বাস দক্ষিণ দিকে আর চোদ্দোবার দাঁড়া টানলেই পৌঁছিয়ে যাব। আমার গাট ফিলিংস।
          ইন্টেলিজেন্স বলল, চুপ কর আহাম্মক, তোর এই গাট ফিলিংস এর ঠেলায় কতবার ডুবতে ডুবতে বেঁচেছি আমরা। আমার হিসাব বলছে দক্ষিণ দিকে আরো মাইল তিনেক গিয়ে একটা বাঁক আসবে, যা পড়েছিলাম, তারপর হয় তো পশ্চিমের শাখাটা ধরে এগোতে হবে।

বিশ্বাস মানেই সুখ

সুখ একটা বিশ্বাস। বিশ্বাস করলে আছে, না করলে নেই। তুমি সুখ খুঁজবে কোথায়? এই পাড়, ওই পাড়, হালে, বৈঠায়, স্রোতে... আসলে সুখ নেই কোত্থাও। সুখ মানে বিশ্বাস।

          লটারির টিকিটগুলো সাজিয়ে, মা তারা, লোকনাথ বাবার ছবিতে ধূপ দিয়ে যে লোকটা চেয়ার পেতে বসল, সে সুখ বিক্রি করবে এখন। যে কাটবে, সে বিশ্বাস করবে, হয়তো এবার ভাগ্য ফিরবে। এই বিশ্বাসেই তার সুখ। টাকা পেলেই যে সুখী হবে, সে এখনও নিশ্চিত জানে না তো। তবু সে কিনবে। সে বেচবে সেও জানে না তার টেবিলে কার ভাগ্যের সংখ্যা রাখা। তার বিশ্বাস কেউ না কেউ পাবে। নইলে এর তার চোখের দিকে তাকাতে এলেম লাগত।
...

একাকীত্ব নেই তো

একটা কুকুর কিম্বা বেড়াল পুষতে পারো তো, তবে তো একা লাগে না। 
কিন্তু যে আমায় ভালোবাসতে বা আমার অনুগত হতে বাধ্য, তার ভালোবাসা বা আনুগত্য পেতে যে আমার লজ্জা বোধ করে। যে আমায় প্রত্যাখ্যান করার স্বাধীনতা পায় না, যার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আমার আনুগত্য স্বীকার করা ছাড়া তেমন কোনো প্রশস্ত পথ নেই, তাকে ঘাড়ে, পিঠে বয়ে কি করব? সে বরং আমায় সত্যিই একা করবে। স্বয়ং ঈশ্বর যখন আমায় তাঁকে স্বীকার করা বা অস্বীকার করার স্বাধীনতা দিয়েছেন, তখন কাউকে কোনো কিছুতেই বাধ্য করতে আমার রুচিতে বাধে।
....

 তবে উপায়?

লক্ষ্মী আর কালী। পূর্ণিমা আর অমাবস্যা। একজন শ্রী, সৌন্দর্য, সুষমা, শান্ত, স্থিতিস্বরূপা। একজন উগ্র, ভয়ংকরী, বীভৎসতা, ধংসস্বরূপা। 
          'তাও' দর্শনে সাদাকালোর এক মিশ্রণে জগতকে দেখতে বলে। এও তাই। যদি বলো জগত শুধুই শ্রীময়, তবে অর্ধসত্য। যদি বলো জগত কেবলই বীভৎস, সেও অর্ধসত্য।
...

মামু

আকাশে যে ঠাকুমা থাকে, সে রোজ রাতে লণ্ঠন হাতে বেরোয়। কেন বেরোবে না? সব তারা আছে কিনা গুনে দেখতে হবে না! 

কেন বারবার সমুদ্র?

সজ্ঞানে তো জানি পাহাড় আর জঙ্গল ভালোবাসি। বিশেষ করে জঙ্গল। কিন্তু স্বপ্নে যেখানে সেখানে সমুদ্র কেন দেখি? পাশের বাড়ির পিছনেই যেন বালুতট, তারপর সমুদ্র। উঠানের পেয়েরা গাছটার গোড়া ছুঁচ্ছে এসে সমুদ্রের ঢেউ। ঘুমের মধ্যে নোনা বাতাস। নিরবচ্ছিন্ন গর্জন। কেন বারবার সমুদ্র?

ক্রান্তদর্শী মানুষ

ভাবুন দেখি, একজন মানুষ, বেশ সেজেগুজে, একটা চেয়ার নিয়ে দরজার কাছে বসল। তারপর রাস্তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বলে যেতে লাগল,

Subscribe to চিন্তন