Skip to main content

পার্ট অফ দ্য গেম

কমিটমেন্ট' শব্দটা ঈশ্বরের মত পবিত্র, ঈশ্বরের মত অস্তিত্বহীন মানসের কাছে। 
        মানস, অবিবাহিত, ৪৫, সেলস ম্যানেজার একটা ওষুধ কোম্পানীতে। হাওড়া স্টেশনে বসে, মুম্বাই মেল ধরবে, ভায়া এলাহাবাদ, জব্বলপুর যাবে।
...

আড়ি..আড়ি..আড়ি..

শিল্পী জঙ্গলে ঢুকে কাগজ তুলি রঙ বার করে গুছিয়ে বসলেন। একটা হিংস্র বাঘ, একটা দুর্ধর্ষ নেকড়ে আর একটা ধূর্ত হায়নার ছবি আঁকবেন তিনি। বর্বরতা - ছবির বিষয় তার।
আঁকলেন।
...

হজম হল না

ঠিক মাথা খারাপ বলতে যা বোঝায় ভোম্বল তা নয়। আগে লেবারের কাজ করত, এখন মাঝে মাঝে ভিক্ষা করে, মাঝে মাঝে পাগলামি। প্রথমটার থেকে দ্বিতীয়টাতেই তার খ্যাতি বেশি। বিয়ে করেছিল কৈশোর থেকে যৌবনে পা দিতে দিতেই। সে বিয়ের ফলও ফলেছে
...

কিসের ভয় ছিল?

সাতচল্লিশতম জন্মদিন। ব্রেস্ট ক্যানসারের লাস্ট স্টেজ। নম্র, ভদ্র, সমস্ত পরিবারের খেয়াল রাখা মানুষটা সম্পূর্ণ চুপ কয়েকদিন ধরে। সবাই বুঝল সে ডিপ্রেসড। আসন্ন মৃত্যুর সাথে চরম বোঝাপড়া চলছে।
...

অর্ধসত্য

রাতের অন্ধকারে ছাদে একা বসেছিল। আজ তার বিবাহবার্ষিকী। তার না, তাদের, তবু রাজীবের মনে হয়, তারই। স্নেহা তার প্রতিদ্বন্দ্বী। সামাজিক জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বী, কর্মজীবনে না। কর্মজীবনে রাজীব একা আর্থিক স্বাবলম্বী। স্নেহা পরজীবী। এইটুকুই রাজীবের জিত। জিত না, পুরুষত্বের অঙ্কুশ।br> ...

ঠোঙা

সন্ন্যাসী, জঙ্গলের মধ্যে পাহাড়, তার মধ্যে যে গুহা, সেখানে বাহান্ন বছর হল ধ্যানরত। তিনি আত্ম-জিজ্ঞাসু। মনের মধ্যে কলের পর কল নামিয়েছেন। মনের গভীরের থেকে গভীরে ঢুকছেন তো ঢুকছেন। এ গলি সে গলি।
...

যতক্ষণ না শুকতারা ওঠে

রাস্তাটা মোড় ঘুরিয়ে চলে গেল। একটা কাক উড়ে উড়ে অনেকক্ষণ বসার জায়গা খুঁজে চলেছে। নিতান্ত ক্লান্ত না হলে যে ভিখারিটা হাঁটা থামায় না,
...

নববর্ষ

সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। এদিকে রাজামশাই কিছুতেই ঘুম থেকে উঠছেন না। মন্ত্রী দুধের গ্লাস নিয়ে দরজায় টোকা দিয়েছেন। সাড়া নেই। রাণীমা মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রসাদ আর কমপ্লান গুলে রাজামশাইয়ের দরজায় টোকা দিলেন, তাও সাড়া নেই।
....

রম্যা

       ছাগলের দাম পাঁচ হাজার। বিক্রি হবে। হাটবার আজকে নয়। আগামীকাল। রম্যা কোনোবার ছাগল বিক্রীর আগেরদিন ঘুমায় না। অম্বল হয়। চোঁয়া ঢেকুর ওঠে। জোয়ান রাখা থাকে একটা পানের মশলার গোল, রঙচটা কৌটোয়। কৌটোটায় রম্যার শাশুড়ি সুপুরি রাখত। রম্যা ঢাকনা খুলে দেখল জোয়ান শেষ। 

নীল সাদা

        বকগুলো আকাশে উড়ছিল। আকাশের মা বারবার বারণ করছিল, উড়িস না, উড়িস না এখন, আমি এইমাত্র আকাশটায় নীলরঙ লেপেছি। তা কে কার কথা শোনে। সব বকগুলো ঝাঁক বেঁধে উড়তে শুরু করল। আকাশের কাঁচা নীলরঙ লাগল তাদের সারা গায়ে। তাদের ডানার দোলায় বিন্দু বিন্দু নীলরঙ এসে পড়তে শুরু করল মা

Subscribe to অনুগল্প