"বই হয়ে যেও না"
খবরটা দেখামাত্র উনি লাইব্রেরি ঢুকলেন। স্ত্রী, ছেলে, মা, বাবা, চাকর, বন্ধুবান্ধব --- সব্বাইকে বললেন, বিরক্ত না করতে। দরজার কাছেই খাবার রেখে আসতে।
উনি শুরু করলেন পড়া। প্রথমে বিশ্বসৃষ্টির রহস্য। নানা মত। সায়ানোজেন মতবাদ। ওপারেন হ্যাল্ডেনের কথা। দানিকেনের কথা।
চলো প্যাঁদাই, কিছু করে দেখাই
ধইঞ্চা গাছের ঝাড়ের নীচে চুল্লু খেয়ে টাল হয়ে পড়ে আছে শিবে।
নক্ষত্র টলতে টলতে তার পাশে গিয়ে বসে জিজ্ঞাসা করল, বাড়ি যাবি না?
শিবে বলল, নাহ্, মনটা বিষিয়ে গেছে....
নক্ষত্র বলল, ক্যানো রে?
ক্ষোভ
"দিদি তোমায় দিয়ে দিই?"
আমার ছোটোভাইয়ের বউ, অঞ্জলি। আমি 'না-ই' বলতাম। কিন্তু অভ্যাসবশত সুগারের ওষুধটা খেয়ে ফেলেছি। এখন কিছু না খেলে শরীরটা খারাপ লাগবে। তাই…
এইটুকুই তো তাঁকে দেওয়ার
দীর্ঘ আলোচনার পর, বাইকে চড়ে আপিস থেকে ফেরার সময় নন্দলালবাবু ভাবছিলেন, আলোচনাটা কি হল? স্কুলের পরীক্ষায় রবীন্দ্রনাথের সব গান নেওয়া যাবে না। কারণ করোনার অতিমারীতে সব গান শেখানোই যায়নি ঠিক করে। তবে কোন গান রাখা যাবে আর কোন গান রাখা যাবে না এই নিয়ে ভীষণ ঝক্কিতে পড়লেন নন্দলাল।
নীচে চলো
প্রচণ্ড রেগে আছে সকাল থেকে। যতবার কাছে গেছে ততবার ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে। আজ তো গায়েও হাত তুলেছে। এখন একটা কেক দিয়েছে যদিও। কিন্তু রাগে খিদেতে স্বাদই পাচ্ছে না কেকের। মাঝে মাঝেই আঁচলটা দিয়ে মুখটা মুছছে। থুথু ছেটাচ্ছে। কেকটা গলায় আটকে যাচ্ছে মাঝে মাঝে। চোখটা যেন বাইরে ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। কোনোরকমে গিলে ফেলছে।
হনুমান আর দুষ্টু
থেকেই যা
পাপের ইচ্ছা
পয়সাকড়ি নেই, মেয়েমানুষ পাবো কোত্থেকে?
    কথাটা সত্যি নয়। সনাতন পুরোহিতের কথায় নেশা আছে। আজ অবধি কত মেয়েমানুষের সঙ্গ করেছে সে নিজেও গুনে বলতে পারবে না। সনাতন পুরোহিতের বয়েস ছাপান্ন। এক ছেলে অম্বর, এম. এ. পাস করেছে। সংসারে সচ্ছলতা নেই ঠিক, কিন্তু শান্তি আছে। অণিমা সব জানে। মাথা ঘামায় না। 
খয়ের
ভিক্ষায় বেরোতে আলিস্যি লাগে এখন। বৃষ্টি পড়লে তো আরো। বিছানায় শুয়ে শুয়েই চালডালের হিসাব হল। আরো দুদিন চলে যাবে। দেওয়ালের কোণে একটা মাকড়সা। ঝড়জলে ঘরে এসে ঢুকেছে। ঘরে যা আরশোলা ওর সারাজীবন চলে যাবে। পশুপাখি-কীটপতঙ্গ ভিক্ষা করে না। খাবার খোঁজে। কাড়াকাড়ি করে। সে ভিক্ষা করে। রত্না বোষ্টুমি। লোকে বলে। সে নিজেকে বলে - "অখাদ্য!" যত বয়েস বাড়ছে তত মাথার মধ্যে প্যাঁচ বাড়ছে। সংসার
আমি কি ভুল?
ওর কি হয়েছে বলুন তো? ঘুমাচ্ছে না ক'দিন হল। সারারাত এপাশ ওপাশ করে। মশারি তুলে বাইরে এসে জিজ্ঞাসা করে আমায়, দাদা, এখন রাত না দিন? আমি বলি, রাত তো! সে আমার মুখের দিকে কিছুক্ষণ হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। তারপর মাথার চুলগুলো টানতে টানতে বলে, আমারও তো তাই মনে হচ্ছে, এখন তো রাত, তবে!?