Skip to main content


"আমি যেন আমায় সহ্য করতে পারি।" বৌদ্ধ ভিক্ষু উচ্চারণ করলেন। আড়ষ্ট উচ্চারণ।


    "এর মানে কি?"

    মাথায় জলপট্টি দিতে দিতে বৌদ্ধ বৃদ্ধ ভিক্ষুককে জিজ্ঞাসা করলেন সেবক। বৌদ্ধ ভিক্ষু সাতদিন হল ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত। বুদ্ধ মন্দির থেকে ভোরের ঘন্টাধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সারারাত ঘোরে ছিলেন বৃদ্ধ সন্ন্যাসী। খানিকক্ষণ আগেই জ্ঞান ফিরেছে। ফিরতেই এই কথা উচ্চারণ করলেন, "আমি যেন আমায় সহ্য করতে পারি"।

    সেবক আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এর মানে কি ভন্তে?

    বৃদ্ধ বললেন, যদি নিজেকে সহ্য করতে পারো, তবে জগত সহ্য হয়ে যাবে। সমস্ত জগতের সব আলোড়ন জন্মায় নিজের সত্তার মধ্যে দিয়ে। নিজের ইন্দ্রিয়গণ, নিজের মন, নিজের বুদ্ধি যখন বিকারগ্রস্ত হয়ে ওঠে তখন যে কোনো প্রাণীর প্রাণধারণ করা অসহ্য হয়ে ওঠে।

    বৃদ্ধ কথা বলতে বলতে হাঁপালেন। শ্বাস নিলেন দু-একবার। কষ্ট হচ্ছে শ্বাস নিতে। বাইরে দিনের আলো স্পষ্ট হচ্ছে। বৌদ্ধ ভিক্ষু আবার বললেন,

    নিজেকে সহ্য করো। যেমনভাবে উনুনের তাপ সহ্য করে উনুনের মাটি। যেমনভাবে নদীর পাড় সহ্য করে বর্ষায় ক্ষিপ্ত নদীর প্রগলভতা। যেমনভাবে আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভাকে সহ্য করে মাটি। তেমনভাবে নিজেকে সহ্য করো। নিজের অন্তরে জাগা তাপ, বেগ, ঘূর্ণিকে ধারণ করো শান্তচিত্তে।

    সেবক জিজ্ঞাসা করলেন, কিভাবে?

    বৌদ্ধ ভিক্ষুক, একটা গভীর শ্বাস নিয়ে বললেন, অভ্যাস... অভ্যাস.... অভ্যাস। সন্ধ্যার আগেই প্রাণত্যাগ করলেন বৌদ্ধ বৃদ্ধ ভিক্ষু।

    সেবক বুদ্ধ মন্দিরের বাইরে বসে। গভীর রাত। অশ্বত্থ গাছের পাতাগুলো হাওয়ায় কেঁপে কেঁপে উঠছে। ঝিঁঝি ডাকছে। বিদ্যুৎ চমকে উঠল কয়েকবার।

    সেবক চোখ বন্ধ করলেন। সারা শরীর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কাল। নিজের পিতামাতার মুখ স্মরণ করলেন। স্মরণে এলো আরো আরো পূর্বপুরুষের নাম। তার শরীরে তাদের প্রাণের ধারা বয়ে যাচ্ছে। অনন্ত প্রাণের ধারা।

    তথাগতকে স্মরণ করলেন সেবক। মন থেকে সমস্ত দ্বেষ, ক্ষোভকে দূর করার প্রার্থনা করলেন। কোনো অসন্তোষ যেন না জন্মায় মনে। সন্তোষ শ্রেষ্ঠ সম্পদ, তথাগত বলেন। নিজেকে জয় না করলে তা লভ্য নয়।

    হঠাৎ এক শিশুর কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো কানে। সেবক উঠে দাঁড়ালেন। কান্নার আওয়াজটাকে অনুসরণ করে গিয়ে দেখলেন, মন্দিরের থেকে কিছুটা দূরে ঝোপের মধ্যে কেউ ফেলে গেছে এক মানব সন্তান। কন্যা সন্তান।   

    কোলে তুলে নিলেন সেবক। করুণা জন্মালো সমস্ত শরীর, হৃদয় জুড়ে। শিকড়ের মত দৃঢ়।

    সেবক তাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সবক'টা গ্রামে ঘুরে ঘুরে বেড়ালেন। কেউ বলতে পারল না কার সন্তান। যদিও এ আকাঙ্ক্ষিতই ছিল। কিন্তু তিনি তো সন্ন্যাসী, কি করবেন এই শিশুকে নিয়ে?

    পরিচয় অন্বেষণের জন্য ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত শরীরে তরুণ সন্ন্যাসী বসলেন এক বৃদ্ধ বটবৃক্ষের নীচে। গ্রীষ্মের দুপুর। চোখের পাতা জুড়িয়ে আসছে। গ্রামের এক দয়ালু রমণী শিশুটিকে নিজের স্তনদান করে ধন্য করেছেন তাকে। শিশু ঘুমাচ্ছে ভিক্ষুকের গেরুয়া বসন ঘেরা কোলে।

    সন্ন্যাসী চোখ খুলে তাকালেন। সংঘে নিয়ে যাবেন? তারপর শ্রেষ্ঠ যারা তারা ভেবে দেখবেন কি কর্তব্য? ইতিমধ্যে দু'জন বারবণিতা ইঙ্গিতে জানিয়েছেন তারা চান এই কন্যাসন্তানটিকে। সবাই সমান হন না। যিনি স্তনদান করেছেন তিনিও তো তাই, কিন্তু তিনি করুণায় সাড়া দিয়েছেন, লোভে নয়। ভিক্ষু উঠলেন। শিশুটিকে কোলে নিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলেন। চারদিনের অরণ্যপথ এইবার, তবে পৌঁছাবেন সংঘে। কিন্তু শিশুটির আহার কি হবে? সেই ঘন অরণ্যে কে দেবে স্তনদুগ্ধ এই অসহায় প্রাণটিকে? তথাগতের বাণী স্মরণে এলো, প্রতিটা প্রাণকে মাতা যেমন রক্ষা করে তেমনই রক্ষা করবে।

    উপায় কি হবে? সন্ন্যাসী স্থির করলেন, ফিরবেন না আর সংঘে। গ্রামে ফিরলেন। একটা পর্ণকুটিরে আশ্রয় নিলেন। গ্রামের সেই মহিলা যে শিশুটিকে স্তন দিয়েছিল তিনি বললেন, আপনি আমার গৃহে নিঃসঙ্কোচে ওকে নিয়ে আসবেন সন্ন্যাসী। আমি পতিতা। কিন্তু তথাগত কি আম্রপালির আমন্ত্রণ রক্ষা করেননি?

    সন্ন্যাসী শিশুটির মুখের দিকে তাকালেন। তবে তাই হোক। শিশুটিকে সেই রমণীর গৃহে রেখে এসে তিনি আবার আশ্রয় নিলেন পর্ণকুটিরে। সন্ন্যাসী আর ফিরলেন না সংঘে। পর্ণকুটির হল তার সাধনক্ষেত্র। মাঝে মাঝে অরণ্যে গিয়ে বড় জোর একপক্ষ সাধন করেন, আবার ফিরে আসেন শিশুটির টানে। হঠাৎ একদিন গভীর রাতে মনে পড়ল বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর শেষ কথাক'টি - "আমি যেন সহ্য করতে পারি নিজেকে।" সন্ন্যাসী সংশয়জালে ধরা পড়লেন। তবে কি তিনি মায়ায় আবদ্ধ হলেন? তিনি কি নিজের উন্নতির রাস্তা ত্যাগ করে মায়ার পঙ্ককে নির্বাণের রাস্তা ভেবে নিজেকে প্রতারণা করছেন?

    সন্ন্যাসী পর্ণকুটিরের মধ্যে বসলেন উঠে। ভোর হওয়া অবধি অপেক্ষা করলেন। তারপর গেলেন সেই রমণীর বাড়ির দরজার সামনে।

    তিনি বললেন, আমি জানি না আমার কি কর্তব্য। নিজের নির্বাণ, না এই শিশুটিকে লালন করা, কি আমার কর্তব্য? আমি জানি না।

    রমণী বললেন, আপনি শান্ত হোন। শুনুন মহোদয়, তথাগতের শিক্ষায় দুঃখকে আপনি জেনেছেন। আপনি এই অসহায় প্রাণটিকে দুঃখের আগারে রেখে কিভাবে নিজের নির্বাণের কথা ভাবতে পারেন? এই শিশুটি কি আপনার দায়িত্ব নন? কি কর্মচক্রে এ আপনার সকাশে এসেছে আপনি আমি কেউই অবগত নই। কিন্তু একে উপেক্ষা করা কি ধর্ম? আমি শিশুটিকে দুগ্ধপানের জন্য যা করেছি সেও কর্তব্যজ্ঞানে করেছি। প্রাণরক্ষা করা প্রথম কর্তব্য কি নয়? আপনাকেও সেই কর্তব্যজ্ঞানে এর দায়িত্ব নিতে হবে। আর কয়েক মাস থাকুন, যখন শিশুটি আর তার প্রাণরক্ষার জন্য আমার উপর নির্ভরশীল হবে না তখন আপনারা দু'জনেই স্বাধীন, যা হয় কিছু সিদ্ধান্ত নেবেন সেদিন।

    সন্ন্যাসী ফিরে এলো তার পর্ণকুটিরে। স্মরণ করল বৃদ্ধ ভিক্ষুকের বাণী, আমি যেন আমায় সহ্য করতে পারি। আমি যেন ক্ষুদ্র স্বার্থের রাস্তায় হেঁটে মহান নির্বাণের লোভ না করি।

    বছর ঘুরে গেল। সন্ন্যাসী গেরুয়া ত্যাগ করেছেন ইতিমধ্যে। তিনি নিজের পূর্বাশ্রমের নামেই ফিরে গেছেন আবার, অলোকরঞ্জন। শিশুটি কথা বলতে শিখেছে অল্প অল্প। সন্ন্যাসীকে 'পিতা' সম্বোধন করে সে। অলোকের প্রাণে সুখ জন্মায়। কিন্তু সে সুখের মধ্যে কোথাও যেন একটা সংশয়ের ছায়া। এই কি ভবিতব্য ছিল তবে? এই কি কর্মচক্র?

    লতা বড় হচ্ছে। এ অন্য গ্রাম। এ গ্রামের সবাই অলোককে জানে পণ্ডিতমশাই নামে। অলোকের টোলে এখন অনেক ছাত্র। গ্রামের সবাই যখন জিজ্ঞাসা করে, মেয়েটির মা নেই? অলোক বলতে পারে না সে মৃতা। সে অনৃতভাষণ হয়। অলোক বলে তিনি তার পিতৃগৃহে থাকেন। বিশেষ দরকারে।

    সারাদিনের শ্রমের পর সন্ধ্যেবেলা ধ্যানে বসেন অলোক। শিশুটির তার সামনে বেড়ে ওঠাকে খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করেন অলোক মনের আলোকে। তার আধো আধো ভাষা, তার ঘুমের মধ্যে কোমল আঙুলগুলো দিয়ে অলোককে জড়িয়ে ধরে থাকা, তার শিশু শরীরজাত মায়াময় সৌরভ, তার চপলতা --- সবকিছুকে খুব নিবিড়ভাবে নিরীক্ষণ করেন অলোক। মনের মধ্যে তারা শিকড় বাড়িয়ে আঁকড়ে ধরতে চায় অলোককে। সেই শিকড়ের একটাই উদ্দেশ্য, লতাকে নিজের বলে দাবী করা। অলোক নিষ্ঠুর কঠোরতায় সে শিকড়ের দাবী কাটেন। শিকড়কে উচ্ছেদ করেন। নদী থেকে জন্মায় যে নদী, বীজ থেকে জন্মায় যে গাছ, এক শিখা থেকে জ্বলে যে আরেক প্রদীপ --- পূর্বের কাছে সেকি থাকে বাঁধা কোনো শর্তে? নয় নয় নয়। অলোকের প্রাণের ভিতর এক পিতৃসত্তা কেঁদে ওঠে। যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে বলে, কেন সে আমার নয়? যদি এ কৃতজ্ঞতা, এ ভালোবাসা না থাকত, তবে জগত হত রুক্ষ, শুষ্ক, মরুর মত বালুময়।

    অলোক সে যুক্তি খণ্ডন করে। সে বলে, এ যুক্তির আড়ালে আছে লোভ। সুক্ষ্মদেহী লোভ। সে চায় মানুষকে অধিকারের দোহাই দিয়ে আটকে দখল করে রাখতে। এ মিথ্যা।

    এ লড়াই নিত্য লড়াই অলোকের। নিত্য সন্ধ্যায় ধ্যানে বসে মনকে তন্নতন্ন করে খোঁজেন। মার্জনা করেন। দেখেন কোথাও কোনো ক্ষোভ, বাসনা জন্মালো কিনা। অল্প অঙ্কুরণ দেখলেই করেন সমূল উৎপাটন।

    মাঝে মাঝে মনের মধ্যে জন্মায় এক দ্বিধা। যেন কি এক কর্তব্য অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। কি সে? ভালো বুঝতে পারেন না। হঠাৎ একদিন বুঝলেন। ধ্যানে নয়, ঘুমের মধ্যে শেষরাতে কে এসে দাঁড়ালো তার আধা জাগরিত চেতনার দরজা ঠেলে। তাকে তিনি চেনেন।

    ভোরে উঠে লতাকে বললেন, চল, তোর মায়ের কাছে নিয়ে যাই তোকে। লতা যখনই মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করে তখনই অলোক সেই গ্রামের রমণীর কথা বলেন যিনি শিশুটিকে রক্ষা করেছিলেন নিজের প্রাণসঞ্জাত বক্ষরস দিয়ে।

    মহিলা অসুস্থ। তিনি চিনতে পারলেন না অলোককে। শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন অনেকক্ষণ। তারপর ক্ষীণকণ্ঠে বললেন, পিতা! অলোক তখনই ঠিক করে নিলেন কি কর্তব্য তার। মহিলাকে নিয়ে গ্রামে ফিরলেন। গ্রামে সবাই জানল ইনিই অলোকের স্ত্রী। মহিলা সেবার সুযোগ দিলেন না বেশিদিন। গ্রামে আসার সাতদিনের মধ্যে মারা গেলেন।

    লতা যত বড় হল তার মনে তত সংশয় জন্মালো। কোথায় যেন একটা ধোঁয়াশা। অলোক বুঝতে পারেন, কিন্তু সাহস হয় না সব বলতে। মেয়েটা কোনো প্রশ্ন করে না। কিন্তু হাবেভাবে একটা প্রশ্নচিহ্ন নিয়ে ঘোরে সে তার সামনে রাতদিন। লতা আর তার মধ্যে জন্মাচ্ছে অদৃশ্য আড়াল একটা। একে উপেক্ষা করা যায় না। তার সত্যকারের দাবী আছে। সত্যের দাবীকে অস্বীকার করা অধর্ম। কিন্তু কিভাবে বলবেন? মেয়েটা যে আঘাত পাবে, তা কল্পনায় আনলেও শিহরিত হয়ে ওঠেন অলোক।


    অবশেষে দিন এলো। অলোক ভীষণ অসুস্থ হলেন। জ্বর ছাড়ে না। খাবারে রুচি নেই। দিন দিন দুর্বল হয়ে যেতে লাগলেন। মাথা তুলতে পারেন না। একদিন মনে হল এ প্রাণ হয় তো আর থাকবে না। লতাকে মিথ্যার মধ্যে রেখে চলে যাবেন? ছি ছি, তা কি করে সম্ভব?

    লতাকে কাছে ডাকলেন। সব কথা শুরু থেকে শেষ অবধি বলে গেলেন যথাযথ। লতা কাঁদল না, কোনো প্রশ্ন করল না। নির্বাক শুনে গেল সব। ঘরের মধ্যে মাটির প্রদীপের আলো লতার দেহের যে ছায়া এঁকেছিল মাটির দেওয়ালে, সেই ছায়াটুকুই দুলে দুলে উঠতে লাগল শুধু।

    লতার সেবার নিষ্ঠা, শ্রম যেন বহুগুণ বেড়ে গেল। অলোক ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে লাগলেন। একদিন ভোরে অলোক লতাকে ডেকে ডেকে না পেয়ে দেখেন লতার পত্র তার শিয়রের কাছে নেভা প্রদীপের তলায়।

    "হে সন্ন্যাসী, আপনি আপনার অসম্পূর্ণ সাধন আবার সম্পূর্ণ করুন। আমি আমার জীবনকে আর আপনার নির্বাণলাভের প্রতিবন্ধক করে রাখব না। আমায় নিয়ে ভাববেন না। আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আপনার মহানুভবতার কাছে, আপনার ত্যাগের কাছে। আমায় ক্ষমা করবেন, যা আপনার মত উন্নত হৃদয়ের কাছে অনায়াস বলেই বোধ করি আমি। ইতি, আপনার করুণাশ্রিতা, লতা।"

    অলোক কাঁদলেন। অবসন্ন হলেন। ক্রুদ্ধ, ক্ষুব্ধ হলেন। উদাস হলেন অবশেষে। টোল থেকে ছাত্রেরা ফিরে গেল। পণ্ডিতপ্রবর নিরুদ্দেশ হলেন।

 

    অলোক বৃদ্ধ সন্ন্যাসী এখন। সেবক কপালে জলপট্টি দিচ্ছে। অলোক বলছেন, আমি যেন নিজেকে সহ্য করতে পারি তথাগত….

    সেবক বললেন, এর অর্থ কি ভন্তে?

    অলোক মারা গেলেন। সেবক বসেছেন ধ্যানে। অশ্বত্থগাছের পাতাগুলো আন্দোলিত হচ্ছে বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে। হঠাৎ সেবক শুনল, এক শিশুর কান্না…. সেবক উঠে দাঁড়ালেন... কোথা থেকে আসছে তা অনুধাবন করার চেষ্টা করে সেদিকে নিজের শ্রবণকে অনুসরণ করে এগিয়ে গেলেন...