কুঁড়ি
পথচিহ্ন
দিনের আলো যে সত্যকে
দিনের আলো যে সত্যকে আলোর ছলে ঢাকে
না ঘুমানো রাত বুকের ওপর তাকেই জাগিয়ে রাখে
না-স্পর্শ
আমি যে ঠিক প্রতিশোধ নিতে চাই
তা না
আমি যে ক্ষমা করেছি সম্পূর্ণভাবে
সুখ
সুখ খুঁজে মন জনম গেল
হেঁটে বেড়াস কানাগলি
কি সুখে সব সুখ খোয়ালি
নিজেই নিজের চোরাবালি
ডুব দে রে মন মাঝপুকুরে
জলে ছায়ার মায়া ছাড়
লাগবে মাটি পায়ের তলায়
মন একডুবেতে ছারখার
হংসধ্বনি
তাড়া নেই কোথাও যাওয়ার। তবু হাঁটছি। সোজা রাস্তা। সন্ধ্যে ইতস্তত করছে পুরোপুরি চাদরে মুড়তে দিনের অবশিষ্ট আলোটুকুকে। ডানদিকের আকাশে ঈষৎ রক্তিম পূর্ণচন্দ্র।
নয়
বাতাস ঢুকল পর্দা উড়িয়ে
এসেই প্রশ্ন, গলা জড়িয়ে
এসেছিল বুঝি, ফিরে গেল?
কি ভাবে খবর হল?
তোমার গায়ে এখনো যে তার গন্ধ
যা অসভ্য! আগল করি বন্ধ
লজ্জা হল?
বয়েই গেল
মরবি নাকি!
সে আর বাকি?
কতবার মলি? তাও গোনা হয়?
হাজার কোটি উনিশ লক্ষ নয়
নয়েই শেষে আটকে গেল, কি ভয়?
মরণ
চিরশুচি
ওরা বলল তোমায়
অশুচি
দুশ্চরিত্রা
লজ্জাহীনা
বাগান
সব বাগানের দরজায় তালা থাকে না
এমনকি সব বাগান পাঁচিলে ঘেরাও না
কিছু কিছু বাগান এমন আছে -
যেখানে ঘেঁটু ফুল সেজে
পারিজাত ফোটে গাছে
গেছি সে বাগানে বারেবারে সব ভুলে
মালির দু'হাত সুরভিত নানা ফুলে
সে বিনা দ্বিধায় দিতে পারে সব ফুল
তেমন তোমার নেওয়ার সাজি হলে