বিপত্তি
মানুষটা খুব কষ্টে সংসার চালিয়েছেন
এতটুকু অপচয় বরদাস্ত করেননি কোনোখানে
এখন বয়েস হয়েছে,
বুঝছেন, তার বাড়ির লোকও অপচয় পছন্দ করে না একরত্তি।
যত্তসব বাজে খরচ,
অনর্থক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাশুল গোনা-
কি বিপত্তি!
ভুল ভালোবাসা
একটা ভুল মানুষকে ভালোবাসার অনেক জ্বালা। সব চেয়ে বড় জ্বালা হল, ভুলটা ভাঙলেও ভালোবাসাটা ভাঙে না। কিন্তু সেই ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করার মত শক্তিও আর থাকে না। কি সংকট। না যায় ভোলা, না যায় মানা। এ যে নিজের ভালোবাসা নিয়ে নিজেই নাজেহাল। না পারা যায় ভাসাতে, না পারা যায় ঘরে নিয়ে গিয়ে কুলুঙ্গীতে তুলে রাখতে।
মানুষটা
মানুষটার ভিতরটা ছিল সমুদ্রের মত ভর্ত্তি।
লোকে ঢিল ছুড়লে,
এমনকি থান ইঁট ছুঁড়লেও জল ছলকাতো না,
গর্জে উঠত না সে
যেমন পুকুরে ডোবায় হয়,
কারণ লোকটার ভিতরটা ছিল সমুদ্রের মত পূর্ণ।
না
বুঝত না?
বলিনি তো!
মানত না।
ডাকত না?
বলিনি তো!
চাইত না।
খুঁজে দেখো
যদি অনুভুতি চাও
তো বিশ্বাস রাখো
যদি জানতে চাও
তো খুঁজে দেখো
আমার না-বলা বাণীর ঘন যামিনীর মাঝে
"এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যার ওপর রবীন্দ্রনাথের কোনো গান বা কবিতা পাওয়া যায় না।"
এ কথা আমিও আগে বিশ্বাস করতাম। বিশেষ করে গানের ক্ষেত্রে এ উক্তিটিকে ধ্রুবসত্য বলে জানতাম।
আজ মনে করি না। আজ সে কথা কেউ বললে ভাবি, হয় আপনি পুরো গীতবিতানের পথ হাঁটেননি, নতুবা মানুষটাকে বোঝেননি। অহংকারীর মত শোনালো?
সুন্দর
যা থাকার না
তা থাকে না।
যে থাকার না
সে থাকে না।
তবু
ফাঁকা ঘরটাতে আলপনা দাও
সুন্দর করে।
শূন্যতাকেও ভরিয়ে তোলো নতুন করে।
কয়েক বিন্দু জল
আছি, আসছি, এসেছি
অভিমানের ঘরের দরজা বন্ধ হোক
সে আসুক, যে জন্মালো এই গভীর রাতে
বাঁশি বাজুক আবার,
নূপুরের রিনিরিনি শব্দের সাথে বাজুক
বনের মর্মর
আমি কান পেতে গভীর গহন আলোয়
শিক্ষক দিবস
আজ রাধাকৃষ্ণানজীর জন্মদিন। শিক্ষক দিবস। এ কথা গত বছরও এই দিনটাতে লিখেছিলাম যে, যাঁর জন্মদিনটাকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন হয়, তাঁর লেখা আমাদের সিলেবাসে এত ব্রাত্য কেন?