Skip to main content
হাতের কাছে কি একটা আছে। ছুঁতে চাইলেই ছুঁতে পারি। তবু যেন ছোঁয়ার যো নেই। কিসের যেন বাধা। না বুঝি কি আছে হাতের কাছে! না বুঝি কিসের বাধায় সে অধরা। 

অন্যমনস্ক মন তার পেটিকা হাতড়ায় অন্যমনে। হাতে আসে এটা ওটা। সে বলে, না না এটা না। আমি বলি, কি খুঁজছ তবে? মন বলে জানি না। তবু কি যেন একটা খোঁজার আছে। 
ওদিকে ঘড়ির কাউন্টডাউনের আওয়াজ কানের কাছে প্রতিনিয়ত শুনছি। প্রতিটা শ্বাসে এক ধাপ করে কমছে বরাদ্দ সময়। 
ব্যস্ত হয়ে মনকে বলি পেলে? 
মন বলে, না গো। দীর্ঘশ্বাস পড়ে। উষ্ণতা লাগে কপালে। 
আমার এ মন, অন্য মন হাতড়ায়। নাড়িয়ে দেখে। বাজিয়ে শোনে। আমি আবার বলি, পেলে? এখনো বোঝো নি কি চাইছ? মন বলে, না না না। বুঝি সেও ব্যস্ত হল তলে তলে। 
আমি একলা ফিরে আসি। দূরে টিলায় গিয়ে উঠি। কি আশ্চর্য, দেখি সব মনগুলো হাতড়ে বেড়াচ্ছে মাথা নীচু করে। অথচ কেউই জানেনা সে কি চায়, কাকে চায়!
আমি আরো উপরে উঠলাম। মনের আওয়াজ কানে আসছে না আর। দেখি অন্ধকার একটা ঘরে প্রদীপ জ্বলছে। ঢুকলাম। কেউ বাধা দিল না। 
দেখলাম একজন ধ্যানমগ্ন। প্রশান্ত মন। ওর কিছু খোঁজার নেই? নাকি শেষ হল খোঁজা? 
ঘরের চারদিকে দীপের আলোয় আলোকিত দেখলাম। আমি আলোর মধ্যে শান্ত হলাম। সে সৌম্যমূর্তির কাছে গেলাম। এগোলাম। আরো এগোলাম। আরো আরো আরো এগোলাম। একি হচ্ছে! আমি পৌঁছাতে পারছি না কেন? দৌড়ালাম। আরো জোরে। আরো আরো জোরে। সে আরো দূরে গেল কি? আরো আরো দূরে? থমকে দাঁড়ালাম। না দূরে যায়নি। সে সৌম্যকান্তি এখনো ততটা দূরেই তো! 
কেঁদে উঠলাম। সে যেন দুলে উঠল। আমি এগোলাম। আরো এগোলাম। সে এগিয়ে এলো। আরো এগিয়ে এলো। আমি মাথা রাখলাম তার কোলে। আমার মাথা মিলিয়ে গেল। আমার হাত পা ধীরে ধীরে সব মিলিয়ে গেল তাতে। আমার 'আমি' মেলাতে যেতেই এলো বাধা।


সে বলল, এটুকু থাক বাকি। না হলে সব সৃষ্টির সুখ হবে যে ফাঁকি।