Skip to main content

একাই

তুমি প্রথম না
আমি অনেকগুলো গোলোকধাঁদা পেরিয়ে এসেছি
একাই
অনেক বসন্ত পেরিয়েছি শুধু শুকনো পাতা মাড়িয়েই
একাই
পিছন থেকে ছুরি মেরেছে বন্ধুর মত কেউ, ছুরিটা বার করেছি
একাই
যে কোনোদিন পাশে থাকে নি, সেও এসে বন্ধুত্বের জাল ফেলেছে
স্বার্থের সন্ধানে
সে জাল কেটে ক্ষত- বিক্ষত শরীরে বেরিয়ে এসেছি, একাই

বন্ধু, তুমিই প্রথম না

আনমনা

তুমি নিঃসন্দেহে ডেকেছিলে
তাই ব্যস্ততাতেও আনমনা হয়ে ভাবি
কে যেন ডেকেছিলো
অন্য কোথাও ছিল যেন যাওয়ার

তুমি নিঃসন্দেহে এসেছিলে
তাই বোধায় অন্যমনস্কতায় ভাবি
যাদের চিনি তারা তো নয়
খুব চেনা কার ছায়া আমার মনে?

সাদা রজনীগন্ধা

বাচ্চা মেয়েটার রজনীগন্ধার গন্ধে
গা গুলিয়ে আসছিল

ফুটপাতে সে মায়ের সাথে বসে
পিছনে বেচছে রজনীগন্ধা মালা
সন্ধ্যেবেলা
লোকেরা সব কিনছে বেছে বেছে

সারাদিন যার ভাত পড়েনি পেটে
রজনীগন্ধায় গা গুলায় তার
সাদা ভাতের দানা ভাসে চোখে
রজনীগন্ধার রঙ লেগে তার ঠোঁটে

আজ আকাশ চলো লুটি

রোজ রোজ এক পাড়া না
মাঝে মাঝে অন্য পাড়াও যেও

রোজ সকালেই পূবাকাশে না
মাঝে মধ্যে পশ্চিমাকাশেও চেও

আজ সকালে
না হয় খবরের কাগজ বাদ
ওতে শুধু ওদের খবর আছে
যারা থেকেও নেই কাছে

আজ সকালে
না হয় তাকেই মেসেজ করো
যাকে না ভেবেও রোজ ভাবো
যার কাছে রোজই ভাবো, যাবো

মিথ্যা কথা

তোমায় আমি চাই না
তুমি হেসে বললে, তাই?
আমি বললাম, তাই তাই তাই
তুমি বললে, বেশ তো
আমি তবে যাই যাই যাই

আমি বললাম,
না না না

তুমি বললে, না কেন?
আমি বললাম, ইচ্ছা তাই
যাব বললেই যেতে হবে?
যখন খুশী যাওয়া চাই!

শেষ বসন্ত


বসন্তকে বলেছিলাম, আমার কাছে এসো না। বড্ড বেশি শৌখিন তুমি, আমার সাথে বনবে না।
শুনল না। ষড়যন্ত্র করল আমার জানলার পাশের আমগাছটা। এক ঝাঁক মুকুল সাজিয়ে, গন্ধে মাতিয়ে, ওঁত পেতে বসেছিল আমারই জানলার পাশে।
জানতাম কই? ভোরবেলা জানলা খুলতেই হল অতর্কিতে আক্রমণ। বসন্ত এল ঘরে। বসল আমারই বিছানায়, আমার মুখোমুখি।
বললাম, কি চাও?

তবু বিশ্বাস করি

তবু বিশ্বাস করি
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই

তবু বিশ্বাস করি
মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ

তবু বিশ্বাস করি
নিজের বিশ্বাসের জন্য প্রাণ দেওয়া যায়
প্রাণ নেওয়া যায় না

তবু বিশ্বাস করি
মানুষের ধর্ম বইতে নেই, মানুষের ধর্ম প্রেমে

ভুল ভাঙা

তুমি এভাবে কেন আসো
দরজা জানলা ভেঙে, ছাদ ফুটো করে?
ভূমিকম্পের বুকও তোমায় দেখে কাঁপে

তোমায় বেঁধে রাখার দড়ি খুঁজেছি
এদেশ ওদেশ মন্দিরে গীর্জায় মসজিদে
                           মতে মতান্তরে

যেখানে বেঁচে থাকার পুঁজি খুঁজি


প্রতিদিনের মত সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছি। ফাঁকা একটা রাস্তা দিয়ে হাঁটছি এমন সময় দুজন ভদ্রমহিলার কথোপকথনের খন্ডাংশ কানে এসে পৌঁছাল -
     "ভাই, যে কোনো পরিস্থিতিতেই মানুষ নিজের চলার রাস্তাটুকু করেই নেয়। তা সে যেমনই হোক। সংসারে কোনো অবস্থাতেই মানুষ নিজের চলাকে থামাতে পারে না।"

ঝড়

অভিমান আর প্রেম একসাথে দীঘিতে স্নানে গেল। 

Subscribe to