Skip to main content

অবরুদ্ধ

আমি চেয়েছিলাম আমায় কেউ বুঝবে। আমায় কেউ একজন ডেকে বলবে সে আমায় বোঝে। সে আমায় বুঝবে, আমার ভয়, আমার ব্যর্থতা, আমার শঙ্কা, আমার দুর্বলতা। আমায় ঘিরে রাখবে। আমি নিজেকে কাউকে বোঝাতে পারি না। আমার আশেপাশে অন্ধকার ঘোরাফেরা করে। ফিসফিস করে কথা বলে। ওরা জানে আমি দুর্বল। ওরা জানে আমি অনেক কিছু পারি না।
...

চিন্তাজাল

স্বপ্নতোরণ বাঁধব বলে
ভিত গেঁথেছি ভাই রে
ভিত ঘিরে হল চিন্তাজাল
সব জট পাকিয়ে যায় রে
...

বোধের ভাষা মানুষের

গম। যেন অনুভব।

তারপর তাকে পিষে, ছেঁকে, বেলে, সেঁকে যা হয়, তা রুটি। যেন ভাষা।

অনুভবের ভাষা পশুর। সে আদিম। ভালো হোক, মন্দ হোক। যতই হোক না অকৃত্রিম। তবু সে অমার্জিত, আদিম। প্রাণের আকরিক। জ্ঞানের জ্যোতি নয়।
...

লাল সোয়েটার

অনিকেতের লাল সোয়েটারটার দিকে চোখ পড়ল। কাছে গিয়ে প্রাইস ট্যাগটা দেখল। বাজেটের মধ্যে। একটা মেয়ে এগিয়ে এসে সোয়েটারটা অনিকেতের হাতে দিয়ে বলল, ট্রায়াল দেবেন তো?

অনিকেত মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। কিন্তু মেয়েটাকে দেখে খটকা লাগল। কোথায় যেন দেখেছে।

যা হোক, ট্রায়াল রুমে ঢুকে গায়ের জ্যাকেটটা খুলে হুকে লাগিয়ে একবার আয়নায় নিজেকে দেখল।
...

যার মুখোমুখি

সামনে তো সবারই
   জানে শুধু সে-ই
...

বড়দিনের বড় কথা

মানুষের চিন্তার বিরাম আছে। অনুভবের বিরাম নেই। “শুধু আমার হিয়া বিরাম পায় না গো”। আমি যে কিছু অনুভব করছি না, এও এক অনুভব। শুষ্কতার অনুভব। “জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো”। শুষ্কতার অনুভবের চাইতে বড় বালাই মানুষের হৃদয়ের কমই আছে। শ্রী অরবিন্দ বলছেন, একবার নিজেকে এমন করে ফেললাম, যেন কোনো দুঃখ আমায় স্পর্শ করতে না পারে। আমি দেখলাম সব সুখের অনুভবও আমায় ছেড়ে চলে গেল।
...

সমীরণদার তোলা ছবি

দুটো ছবি শ্রদ্ধেয় সমীরণদার তোলা। কদিন আগে আমার একজন খুব ভালো বন্ধু সমীরণদার একটা ছবির তলায় গিয়ে মন্তব্যে আমায় ডেকে বলেছিলেন, আমি যেন কিছু লিখি।

   এর একটা ইতিহাস আছে। এক সময় ছিল যখন সমীরণদার ছবি নিয়ে আমি মাঝে মাঝেই লিখেছি। এমনকি ছবির পাশেও লিখেছি নানা কায়দাকানুন করে।

   আজ সেটা পারি না। কারণটা আমার কাছে খুব স্পষ্ট। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোধের ধার বাড়ে।
...

শোক

প্রতিটা শোকের
একটা নিজস্ব ঘোর থাকে

সে ঘোরে থাকি আমি
...

বড়ি

সকালে ছাদে দেওয়া বড়িগুলো কে আনবে? আজই হাঁটুর ব্যথাটা এত বাড়তে হয়? সকাল থেকে কি রোদ্দুর! কাজের মেয়েটা ডাল বেটে দিল। তিনি নিজে ছাদে পা ছড়িয়ে বসে বড়িগুলো দিলেন। যে শাড়ির উপর দিলেন, সে শাড়িটা এ বছরেই ছিঁড়ে গেল। সে শাড়িতে সেদিনের সিঁদুরের দাগ লাগত। নাতিনাতনির হিসিতে ভিজেছিল কতবার।
...

খোঁজো নিজ অন্তঃপুরে

রমণ মহর্ষি উত্তর দিতেন না। প্রশ্ন করতেন। একজন এসে বললেন, আমি দীর্ঘদিন জপ করছি, কিন্তু আমার প্রাণে কোনো শান্তি নেই। রমণ মহর্ষি জিজ্ঞাসা করলেন, কে জপ করছে?

   প্রশ্নকর্তা হয় তো বুঝতে না পেরে রমণ মহর্ষির মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন; রমণ মহর্ষি বললেন, তুমি খোঁজো কে জপ করছে।
...
Subscribe to