হঠাৎ করে সব ফুরিয়ে গেল
ঝরা পাতাটা তার সব বিস্ময়, সব বিহ্বলতা
ছেড়ে আসা বৃন্তক্ষততে রেখে নেমে এলো
(মানে নামিয়ে দেওয়া হল)
কোনো আচমন লাগল না
স্তব লাগল না, নির্মাল্য লাগল না
ঝরা পাতাটা ঈশ্বরের গাড়িতে স্থান পেল
তিনি তখন কোনো একটা কাজ সেরে এ পথেই ফিরছিলেন যে।
পাতাটা বলল, এমন কেন হল? এমন অসময়ে কেন এলো অন্তিম সময়ের ডাক? আপনার ইচ্ছায়?
ঈশ্বরের মুখের প্রসন্নতাটা টুপ করে খসে পড়ল
যেমন করে সদ্য ফোটা ফুল ঝরে যায় ঝড়ে
ঈশ্বরের গাড়ি তখন টগবগিয়ে ছুটছে
চারদিকে ধুলো ধুলো আর ধুলো
পাতাটা এখনও ঈশ্বরের মুখের দিকে চেয়ে,
উত্তরের অপেক্ষায়।
ঈশ্বর সারথিকে বললেন, তাড়াতাড়ি চালাও,
না হলে ফিরব কি করে সন্ধ্যের আগে দেবলোকে?
পথ আঁধার হবে যে!
পাতাটা মুখ ফেরালো বাইরের দিকে
তার মুখে গভীর নিস্তব্ধতা
যে স্তব্ধতা জন্মায় নদীর উচ্ছল ধারা সাগরে মিশে
সব অন্বেষণ অতিক্রান্ত গৈরিকে
বাইরেটা ধুলো ধুলো আর ধুলো
পাতাটা
পিছনে ফেলে আসা রাস্তাটার দিকে চাইল
ধুলোগুলো থিতিয়ে দিচ্ছে সময়