বুঝতে পারলাম না
বৃন্ত থেকে ঝরে যেতে যেতে
ফুলটা কি যেন বলে গেল
বুঝতে পারলাম না
ভাবতে ভাবতে ক্রমশ গাছ হলাম
কুঁড়ি ধরল। ফুল হল। ঝরে পড়ল।
বিনাবাক্যে ঝরে পড়ল
কেন,
কিছু বুঝতে পারলাম না
রিলে রেস
...
মেজো ছেলে
পনেরো হাজারের মধ্যে স্মার্টফোনের সেটটা ভালোই লাগল। বললাম এটাই দিন।
প্রচণ্ড গরম। দরদর করে ঘাম হচ্ছে। দোকান ভিড়ে ঠাসা। রবিবারের ভিড়। সকাল সাড়ে বারোটা হবে। দোকানে পাঁচজন হিমসিম খাচ্ছে খদ্দের সামলাতে।
গভীরতা
যে বাতাসে ভেসে থাকতে চাও, সে বাতাসে ঝড়ও ওঠে। সে ঝড়ের তালে দিতে পারবে তাল? পাগল নারকেল গাছটার মত?
তুমি গভীরতা ছুঁতে চাও? কতটা জল জমেছে বুকে? কাঁদার শেষে তাকাতে শেখে চোখ। টইটুম্বুর কান্না বাঁধ দিলে, জীবন হ্রদ স্থির। কি ভেবেছিলে কেঁদেই জীবন পার হবে?
অপেক্ষায় থাকছি
আমি কখনও ত্রিভুজ
কখনও চতুর্ভুজ
কখনও বৃত্তের
ভিতর দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছি
প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা
...
ফেরিওয়ালা
অসম্ভব গরম
রাস্তাঘাট শুনশান
একটা ফেরিওয়ালার ডাক শুনতে পাচ্ছি বহুদূর থেকে
অনেকক্ষণ ধরে
ভাবলাম
সে হয়ত ডাকতে ডাকতে এদিকেই আসবে
অপেক্ষা করতে করতে ঝিমুনি এসে গেল
গ্লাস পড়ে যাওয়ার আকস্মিক আওয়াজে চোখ খুললাম
তুমি অর্থ খুঁজলে
তুমি অর্থ খুঁজলে
আমি খুঁজলাম অনুভব
তুমি মিথ্যা নিলে
আমি নিলাম সত্য
তুমি দোপাটি লাগালে
আমি লাগালাম গম
তুমি সমুদ্রে ঘুরতে গেলে
আমি বেড়াতে গেলাম জঙ্গলে
তুমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে নদীকে বললে, এবার?
আমি উদাস হয়ে আকাশকে বললাম, ধুর
বড় মামুর জন্মদিন
বড় মামুর জন্মদিন। মায়ের সাথে ওর শেষ জন্মদিন। মায়ের এই একটাই ভিডিও আছে। খুব শখ ছিল মায়ের দৈনন্দিন রোজনামচা রেকর্ডিং করে রাখব, একান্ত ব্যক্তিগত সংগ্রহ করেই। হল না। মায়ের জন্য আমার কেনা সাধের শাড়িও মায়ের অন্তিম যাত্রায় আগুনে পুড়তে লেগেছিল। এমনই হতভাগ্য ছেলে আমি।
আমি কবিতা লিখছি না
আমি কবিতা লিখছি না। আমি জলের দিকে তাকিয়ে আছি। জলে আজ এত ঢেউ কেন?