তুমি কষ্ট পেতে ভয় পাও বলে

    কষ্টের মানে খুঁজে মরো দিনরাত

সত্যি করে বলো তো
     এতো ব্যাখ্যা, এত পাণ্ডিত্যেও
           আরাম পেয়েছ এতটুকু?

মানুষের তো শুধু মহিমাই নেই, মানুষের তো সঙ্কীর্ণতা, অসহায়তাও রয়েছে। সে সঙ্কীর্ণতাকে আমি যে নামেই ডাকি না কেন – স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা, ক্ষুদ্রবুদ্ধি – ইত্যাদি যাই বলি না কেন, আছে তো। এত যে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, খুনোখুনি, অত্যাচার, ধর্ষণ – এ সবই মানুষেরই কাজ। এ তো মহত্ব নয়। যে মানুষটা ঠাণ্ডা মাথায় কারোর ক্ষত

ও খেতে ইচ্ছা হলে আপনিই খাবে...

শুশ্রূষা শিশুর হাসি
শুশ্রূষা তারায় তারায়
শুশ্রূষা তোমার গানে
শুশ্রূষা নোঙর তোলায় 
শুশ্রূষা সবুজ ঘাসে
শুশ্রূষা গাছের ছায়ায়
শুশ্রূষা চোখের জলে
শুশ্রূষা বর্ষা ধারায়
শুশ্রূষা বিরাগী মনে
শুশ্রূষা পথের ধুলায়
শুশ্রুষা আমায় ভুলে
আমাকেই খুঁজে ফেরায়

তখন অর্জুন ভয়ংকর কনফিউজড। পারিবারিক সংকট। চিত্তের সংকট। কর্তব্য স্থির করা দায়। এ গল্প তো আমরা জানি। তখন কত কথা হল দুজনের। সে তত্ত্বকথা নিয়ে কত আলোচনাও হল। মোদ্দা কথা, সে সবকে ধর্মের কথা বলে কত নিয়মকানুন গড়ে আলোচনাও করা হয়ে গেল।

- টোটোওয়ালা দাঁড়াও, আমি হিসি করব।

- আমিও করব। আরেকটু চলুন, সামনেই একটা ফাঁকা মোড়, পাশে ঝোপ।

- সেই ঝোপে সাপ আছে?

- কেন?

- আজ অবধি কেউ ঝোপে হিসি করতে গিয়ে সাপে কেটে মরেছে?

- আপনার সাপের ভয়?

আগে মনে হত
     যত দিন যাচ্ছে
           এই তো এগোচ্ছি

এখন মনে হয়
     এগোচ্ছি না তো, 
             এই তো ফিরছি

যে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতেই চাইল না, তাকে পাহাড়ের শ্বেতশুভ্র চূড়া সুখ দেয়।

যে সেখানে নিজের পদচিহ্ন রাখতে চেয়েছিল, অথচ পারল না, তাকে সে যন্ত্রণা দেয়।

ঘটনাটা শুধু এই
দেখা হয়নি কয়েকদিন

ঘটনাটা শুধু এই
    শুধু এই

হ্যাঁ ঘটনাটা শুধু এই-ই
   দেখা হয়নি কয়েকদিন 

আর কিছু না
   ঘটনাটা শুধু এই
        দেখা হয়নি কয়েকদিন

শুধু এই
শুধু এই
শুধুই এই