Skip to main content

পাগল

পাগল ধেই ধেই করে নাচতে লাগল।

সবাই বলল,
   এই পাগল কি হল?

পাগল বলল,
  আমি সব বুঝে ফেলেচি...সব

সবাই বলল,
  কি বুঝলে?

গোঙানি

মানুষের গভীরের একটা শব্দ - গোঙানির শব্দ। গভীর যন্ত্রণার শব্দ। সে শব্দের কোনো শ্রোতা নেই। তার কোনো বৈচিত্র্য নেই। তার আঘাত আছে। বারবার বুকে এসে লাগা ঢেউয়ের মত, পৌনঃপুনিক অস্তিত্ব আছে।

খাস্তগীর আর হরেকমাল

খাস্তগীর রোজ কোনো একটা নতুন কারণে কষ্ট পায়।

    খাস্তগীর যা যা হতে পারত নিজেকে ভাবে, আর যা হয়েছে, এই দুটোর মধ্যে মিল খুঁজতে গিয়ে রোজ কষ্ট পায়। 

লাস্ট বাস

বাসের শেষ সিট। ফাঁকা বাস। হয় তো শেষ বাস। কন্ডাক্টর ঝিমোচ্ছে। ফাঁকা রাস্তা। ক্ষমতার চেয়ে বেশি স্পিডে ছুটছে বাসটা।

    হঠাৎ একটা ভীষণ ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল বাসটা। কন্ডাক্টর একবার জানলার দিকে মুখ বাড়িয়ে বলল, ধুস্ শালা, আবার!

অথচ

তুমি, কবিতাকে ভাবো কল্পনা। অলীক। মিথ্যা মুষ্টিভিক্ষা। 
অথচ 

তোমার লোভকে ভাব বাস্তব। সত্য। শুধু সময় আর সুযোগের যেন অপেক্ষা।

ফিরতে চাইব না

চোখ বন্ধ করলে
একটা পাহাড়ি পাখি 
ডেকেই চলেছে মাথার মধ্যে
কুয়াশা কুয়াশা
সবুজ একটা গ্রাম
নির্জনতা 

এই রাস্তাঘাট, ঘর, ছাদ
দরজা, জানলা
রান্নাঘর, বাথরুম
মোবাইল, ল্যাপটপ রেখে
বাইরে কোথাও
যেখানে আত্মপরিচয়
ক্ষয়িষ্ণু যাযাবর 

মন - সময়

শ্মশানে থাকে ভোলা। লোকে বলে ভোলা ক্ষ্যাপা। বউ মরে গেল। ভোলা মিস্ত্রী ভোলা ক্ষ্যাপা হল। লোকে বলত ওরকম শান্ত লোক দুটো হয় না নাকি। ভোলার বউও তাই বলত, তুমি ওর গায়ে হেগে দাও, ধুয়ে নেবে, তোমায় কিচ্ছু বলবে না, কিন্তু রাগলে চণ্ডাল।

এমন শান্তি চাই নে

পূজারী পুজোর শেষে যজ্ঞের জ্বলন্ত কাঠ ছুঁড়ে আশীর্বাদ করেন না, শান্তির জল ছিটান। বিশ্বাসী বিশ্বাস করেন সেই শান্তির জলকণা তার শান্তি প্রাপ্তির একটি অমোঘ উপায়। এ অনুভব না করলেও, অনুমান করতে পারি। কিন্তু জ্বলন্ত যজ্ঞকাষ্ঠ ছুঁড়ে মারার পর ভক্ত যদি জ্বলন্ত ধুতিশাড়ি সামলাতে সামলাতে বলেন, আহা কি শান্তি, কি শান্তি, তখন বুদ্ধি বিভ্রান্তির চোরাবালিতে হাবুডুবু খায়।

একই রুটের বাস

তুমি আমি একই রুটের বাস। একই রাস্তায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা চলেছি। খানাখন্দ, উঁচুনীচু রাস্তা, কখনও সমান। ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে তুমি আমি পাশাপাশি, কখনও একই দিকে যাচ্ছি, কখনও তুমি যাচ্ছ আমি আসছি, কিম্বা আমি যাচ্ছি তুমি আসছ। আমাদের চালক, কন্ডাক্টর আলাদা। যাত্রীদের মত আমাদের কর্তব্যগুলো কখনও এক, কখনও আলাদা আলাদা। কোনো কর্তব্য শেষের মাথায় আমি, তুমি তখন তোমার কর্তব্য শুরু করছ। ক

Subscribe to