Skip to main content

লে লে, আমায় গেল

এ আমার একার অস্তিত্ব। অল্প অল্প ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের মত। আকাশ ধরো সময়। ধরো সব মেঘ বিছিয়ে দিলেও আকাশ শূন্য থেকে যাবে। আমি সব সময় একা। এত মানুষ এলো গেলো। এত ভালোবাসা-বাসি। এত বুকফাটা বিরহ। এ সবই হল। কিন্তু দাগ কাটল না। আমি একা। এটাই আমার পরিচয়।

অতিশয়োক্তি

সত্যের সমস্যা মিথ্যাকে নিয়ে ততটা নয়। মিথ্যা সত্যের সতীন। তাদের মধ্যে কোন্দল আছে যেমন, তেমন পাশাপাশি অবস্থান করে সংসার চালানোও আছে। সত্যে মিথ্যায় মিলে জগৎ সংসার। এ আমরা একপ্রকার মেনেই নিয়েছি। এইতেই স্বাভাবিক ছন্দ আমাদের। কে আর বেছে বেছে খাঁটি সত্যে জীবন ধারণ করবে রে বাবা, অমন পরমহংস হলে আমাদের পেট ছেড়ে দেবে। তাই মানুষের আরেকটি আবিষ্কার হল, অতিশয়োক্তি। 

হ্যাপি জার্নি

তুমি যা বলছ সে অতীতের কথা। অতীতের স্মৃতিগুলো আঁকড়ে তো বেঁচে থাকা যায় না, এটা আমরা দু'জনেই বুঝতে পারছি, না কি? খারাপ দু'জনেরই লাগছে। ভবিষ্যতেও লাগবে। কিন্তু অতীতটা অতীতই, তাকে জাগিয়ে রেখে বর্তমান চলে না, এটা কি সত্যি নয়? 
 

ভবিষ্যৎ কি বলে

প্রভাব কার বেশি? শক্তির, না নীতির? এর কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। নীতি আলোচনার। কূটনীতি, উদারনীতি ইত্যাদি। কিন্তু সেই নীতিকে বাস্তবে আনবে কে? শক্তি। কোন শক্তি? প্রশাসনিক শক্তি। তবে নীতি কার উপর নির্ভর করছে? প্রশাসকের উপর।

কিছু হারিয়ে যায়নি

একটু শান্ত হও
কিছু হারিয়ে যায়নি


দুঃস্বপ্নে কিছুকে 
নিজের ভেবেছিলে শুধু

তফাৎ যাও

কথা বলি না

শব্দ উচ্চারণ করি
শুনি
ব্যস, ওইটুকুই

কথা বলি না
ছেঁকে নিয়ে জমিয়ে রাখি শব্দ
কিছুটা আলোয়, বেশিটাই অন্ধকারে
কখন কোনটা দরকার লাগে
   জাল দিয়ে ফুটিয়ে রাখি শব্দ
                    গোপনে

বুদ্ধদেব গুহ

বুদ্ধদেব গুহ বললে আমার একটা ঝাপসা স্মৃতি মনে আসে। একটা টিভি অনুষ্ঠানে উনি এসেছেন। কোনো একটা স্কুলের অনুষ্ঠান সম্ভবত ছিল, কারণ প্রচুর বাচ্চা বসেছিল সামনে।

    কথাপ্রসঙ্গে একটা কথা উঠে আসে, অনাথ। কোনো একটি বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করেই সম্ভবত বলা হয়েছিল।

জন্মদিন

এখন থেকে আর বাড়তি না, এবার কমতি। খালি খালি বয়েস বাড়িয়ে বাড়িয়ে শেষে বুড়ো হয়ে মরি আর কি! আমি যেন সুকুমার রায়ের পাঠাশালায় পড়িনি! সেই কবে আমাদের উনি শিখিয়ে গেছেন বয়েস বাড়তে দিলেই হল? তাই আমিও এই কমতির দিকে নামলুম। এখন থেকে আমার বয়েস নামবে ৪৪, ৪৩, ৪২... হুম। যতক্ষণ না এই এদের বয়সে পৌঁছাচ্ছি। মানে যাদের সঙ্গে আমার ছবিগুলো।

ধর্ম

ধর্ম পুস্তকবাহী না। চিত্তবাহী। ধর্ম মানে বিবেক। ধর্ম মানে নীতি। ধর্ম যা মঙ্গল, সত্য আর শান্তির স্থাপক হবে।

    ধর্মগ্রন্থ কথাটা অক্সিমোরোন। ধর্ম কখনও গ্রন্থ হতে পারে না। ধর্ম ঈশ্বরেরই ধার ধারে না তো গ্রন্থের।
 
১) ধর্ম কাস্টমস না, প্রথা-আচার-আচরণ-অনুষ্ঠানাদি না।

Subscribe to