Skip to main content

ভাল্লুকটা আর বন্ধুত্ব দিবস

তো হল কি, দুই বন্ধু জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ কি চলে এলো? ভাল্লুক চলে এলো। অমনি একজন বন্ধু হুড়মুড় করে গাছে উঠে পড়ল। আরেকজন কি করবে, সে মড়ার মত পড়ে থাকল। সে তো জানে একটু পর ভাল্লুকটা এসে তাকে শুঁকে চলে যাবে। তারপর গাছ থেকে বন্ধুটা নেমে জিজ্ঞাসা করবে, ভাল্লুকটা তোর কানে কানে কি বলছিল রে?

বাউল সত্যজিৎ

ইন্টেলেকচুয়াল অ্যারিস্ট্রোকেসি আর সোশ্যাল অ্যারিস্ট্রোকেসি - দুই-ই যত গর্জায় তত বর্ষায় না। সত্যজিৎবাবু হয় তো হাঁপিয়ে উঠেই 'আগন্তুক' সিনেমার স্ক্রিপ্টটা লিখে ফেলেছিলেন। সিনেমা মানে তো আদতে স্ক্রিপ্ট। স্ক্রিপ্টটাই তো ভাবনা। সেই ভাবনাটা নিশ্চয়ই কোনো এক যন্ত্রণা থেকেই উঠে এসেছিল। নইলে শেষ দুটো সিনেমায়, 'শাখা-প্রশাখা' আর 'আগন্তুক'-এ এমন দুটো চরিত্রকে দাঁড় করাতে চাইলেন কেন?

থেকেই যা

শুভ একাই থাকে, অন্তত আমি তো তাই জানি। যখন টেক্সট করল 'চাবিটা নিয়ে নিস', আমার একটু অবাকই লাগল। আমি আসব জেনেও কেন থাকবে না?

          যা হোক, বাড়ির চাবি কোথায় রাখে আমি জানি। সেইমত দরজাটা খুলে ঢুকলাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘর। কেমন একটা বোঁটকা গন্ধ। কদ্দিন নেই বাড়িতে? ফোন করলাম। সুইচ অফ্।

স্বপ্ন সাগর

ক্লান্তিতেই হবে, নইলে হঠাৎ করে বিদ্যাসাগর মশায় এসে ঘুমের মধ্যে ঢুকবেন কেন? যা হোক, ঢুকেই যখন পড়েছেন, সে ঘুমের মধ্যে হলেও, বসতে বলতে হয়। তা তিনি আমার কথা না শুনে সারা ঘরময় ঘুমের মধ্যেই পায়চারি শুরু করে দিলেন। আমি বললাম, ও মশায়, অমন হাঁটেন কেন, একটু বসেন না, দুটো কথা কই?

খবরের কাগজ

বাংলা উচ্চারণে 'র' আর 'ড়' খুব সাংঘাতিক শব্দ। "আজি ঝড়ো ঝড়ো মুখড়ো বাদড় দিনে"... এরকম গান শোনার অভিজ্ঞতা নেই এমন সরেস কর্ণধারী বাঙালি মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। 

    আমার এখানে আলোচ্য বিষয় হল, আমি খবরের কাগজ 'পড়ব' না 'পরব', এই বিষয় নিয়ে। দেখুন এই প্রথম আমি দুটো শব্দকেই এক বিষয়ে চাক্ষুষ করলাম। 

বিচিত্র ছলনাজাল

প্রতিদিন পেপার খুললেই পড়ছি প্রতারণার গল্প। কেউ উচ্চ আধিকারিক সেজে প্রতারণা করছে। কেউ প্রেমিক সেজে। কেউ চিকিৎসক সেজে। কেউ গুরু সেজে। কেউ চলচিত্র পরিচালক সেজে। মানুষের কত সাজ, কত কৌশল। কত কত নকল। 

পাপের ইচ্ছা

পয়সাকড়ি নেই, মেয়েমানুষ পাবো কোত্থেকে?


    কথাটা সত্যি নয়। সনাতন পুরোহিতের কথায় নেশা আছে। আজ অবধি কত মেয়েমানুষের সঙ্গ করেছে সে নিজেও গুনে বলতে পারবে না। সনাতন পুরোহিতের বয়েস ছাপান্ন। এক ছেলে অম্বর, এম. এ. পাস করেছে। সংসারে সচ্ছলতা নেই ঠিক, কিন্তু শান্তি আছে। অণিমা সব জানে। মাথা ঘামায় না। 

চলো

শান্তি ছিল
    আত্মসম্মানহীন 

প্রেম ছিল
    দখল করে বসে

নিরাপত্তা ছিল
   শুষ্ক নদীতে 
      নোঙর ফেলা নৌকার মত

মৃত্যু এলো যখন
      সবাই ভাবল সে বলবে -
              "এখন না, এত সুখ!" 

খয়ের

ভিক্ষায় বেরোতে আলিস্যি লাগে এখন। বৃষ্টি পড়লে তো আরো। বিছানায় শুয়ে শুয়েই চালডালের হিসাব হল। আরো দুদিন চলে যাবে। দেওয়ালের কোণে একটা মাকড়সা। ঝড়জলে ঘরে এসে ঢুকেছে। ঘরে যা আরশোলা ওর সারাজীবন চলে যাবে। পশুপাখি-কীটপতঙ্গ ভিক্ষা করে না। খাবার খোঁজে। কাড়াকাড়ি করে। সে ভিক্ষা করে। রত্না বোষ্টুমি। লোকে বলে। সে নিজেকে বলে - "অখাদ্য!" যত বয়েস বাড়ছে তত মাথার মধ্যে প্যাঁচ বাড়ছে। সংসার

গভীর সর্বনাশে

ভারত অর্থনীতিতে উন্নতি লাভ করছে শুধু না, ভারতীয়ের প্রতি যে আগে দুর্নাম ছিল, এরা বড্ড পরকালমুখী চিন্তাভাবনা করে দিন কাটাতে ভালোবাসে, একদম ইহকালের ভোগসুখ নিয়ে, জাগতিক উন্নতি নিয়ে ভাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি, সে কলঙ্ক ঘুচেছে। 

Subscribe to