ভাঁড়
বেশ রাতে স্টেশানে নামে। বাড়ি ফেরার পথে নেয় একভাঁড় চা রোজ। শক্ত করে আঁকড়ে থাকে গরম চায়ের ভাঁড়। জীবনে বেঁচে তার এই একটাই উষ্ণতা অবশেষে।
কিছু পথ
অরুপরতন
ঝিঁঝিঁর ডাক
ঝিঁঝিঁর ডাক
পথের সাথে আলাপ
যে গেল সে কি ফিরবে?
না বিষন্ন আকাশে থাকবে
গোধূলির বিষাদ প্রলাপ
(ছবিঃ দেবাশিষ বোস)
সাগর কথন
১
----
বুদ্ধি নিজে না বুঝেও বোঝাতে পারে
সে তো নাক উঁচু তাই দাম্ভিক
অনুভব নিজে বুঝেও কি বোঝাতে পারে?
সে কবে হল ভাই তার্কিক?!
চুপ করে শোনো
চুপ করে শোনো
তারারা ফিরে যাওয়ার আগে কি বলে গেছে
দেখো ফাতনা না ডুবলেও লোকটা বসে আছে
এই আড়াই ঘন্টা হল
বাচ্চা মেয়েটা স্কুলে যাওয়ার ব্যাগ নিয়ে রাস্তায়
স্কুলের থেকে রাস্তাটা টানছে বেশি
তুমি
তোমার গলার আওয়াজ শুনলে
আমার ফুটোফাটা দুঃখগুলোতে
চুণকাম পড়ে যায়
তুমি ফিরে তাকালে
আমার যত ব্যর্থ চেষ্টাগুলোর ঝোঁপে
প্রজাপতি ডানা মেলে পা ছড়িয়ে বসে
স্রোত
নদীর স্রোতে পা ডোবাতো
মাথা ভিজিয়ে স্নান করত
তার উছ্বল স্রোতের সুরে গান গাইত
ভালোই ছিল
কে বলল, ওকে ঘড়ায় যদি বাঁধতে পারিস
তবে ও চিরকালের তোর!
সে ঘড়ার জলে নদী বাঁধতে চাইল
ঘড়া ভরা জল ঘরের কোণে রাখল
নৈর্ব্যক্তিক
আমার সব কবিতাই তোমায় নিয়ে।
যে তুমি আমার চেনা-অচেনার আলপথে
নিশ্চিন্ত আপন অস্তিত্বে।
সম্পর্কের সুনিপুণ সংজ্ঞায় না -
যে আলো জাগরণের শেষ সীমানায়
ঘুমের প্রান্তে আলোর লালিমা ছড়াতে জানে -