নীল আঁচল
তখন মা অসুস্থ। তবু কয়েকদিন কিছুটা সুস্থ আছেন দেখে নিজেই একদিন আমায় বললেন, সারা দিন আমায় নিয়ে থাকিস, বাইরে কোথাও থেকে একটু ঘুরে আয়।
মরার তার সময় আছে নাকি
রোজ রাতে যে মরতে পারলেই বাঁচে
পরের দিন সে সবার আগে ওঠে
ফুল চোরকে দেয় গালি
উঠোন ধুয়ে, চা বসায়
মরার তার সময় আছে নাকি?
বৃত্ত
সবই আছে, সবই হচ্ছে
তবু কোথায় যেন
একটা ছেড়ে যাওয়ার ব্যাথা
একটা শূন্যতা,
তরী মাঝ সমুদ্রে বলে?
জানি না।
এত গতি, এত টানাটানি, কাড়াকাড়ি
হাসি কান্না আশা হতাশা - সব কোন কালের গহ্বরে হচ্ছে লীন?
সেখানে গেলে কি আমার ফেলে আসা অতীতের সাথে আবার হবে দেখা?
কেউই জানি না।
তবু মনে হয়,
মন বোধহয় কিছুটা তার আভাস রাখে।
মেঘ রোদকে বলল
মেঘ রোদকে বলল, ধর
ছায়া দীঘির জলকে বলল, ছোঁ
ফুল মৌমাছিকে বলল, আয়
ঝরাপাতা গাছকে বলল, যাই
প্রাণ অনন্ত অসীমকে বলল, আছি
তখনই বাধে গোল
অনেকে বাড়ির সামনের দরজার সাথে সাথে পেছনের দরজাও রাখে খোলা,
চালাকি করে।
যারা সামনে দিয়ে আসতে না পারে
তারা ঘুর পথে পিছনের দিক দিয়ে ঢোকে নির্দ্বিধায়।
মাঝে মাঝে -
কিছু পেছনের দরজা দিয়ে ঢোকা লোক সামনের দরজা দিয়ে ঢুকতে যায়
আচমকাই, অন্ধকারের ধাঁদায়
আর তখনই বাধে গোল।
তোমার অশ্রুত বাণীতে
তোমার অশ্রুত বাণীতে
আমার নিঃশব্দ কান্না
তোমার অদেখা উপস্থিতিতে
আমার অবলম্বনহীন আশ্রয়
যে মানুষটা
যে মানুষটা ডান হাতে সৎ
আর বাঁ হাতে অসৎ
তার কোন পাশে থাকব?
তুমি বললে, এমন মানুষ হয় নাকি?
বললাম, কোন মুখে বললে?
বাঁদিক ফেরানো মুখে
না ডান দিকে ফেরানো মুখে?
তুমি বললে, মানে?
বললাম, মানে?
বুঝলে না,
না বুঝতে চাইলে না?
ভয়
ভয় আতঙ্ক উদ্বেগ দুশ্চিন্তা....এদের পার্থক্য বোঝা খুব কঠিন। এদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট হল, এরা খুব একটা যুক্তির ধার ধারে না। মনের মধ্যে অসম্ভব কল্পনাকে সম্ভব করে ভাবাতে এদের জুড়ি নেই। অকারণ, অযৌক্তিক এমন সব ভাবনার জাল বুনতে শুরু করে আর তাতে যে কখন আটকা পড়েছি - তা বোঝারও বিবেচনা শক্তি হারিয়ে যায়!
বন্ধুতা (PDF)
সপ্তমী
মেয়েটার বছর বারো বয়েস। একটাই জামা হয় প্রতিবার। এবারেও হয়েছে। বাবার মিল বন্ধ। তাই জুতো হয়নি। জামাটা হলুদ রঙের। ইচ্ছা ছিল একটা লিপিস্টিক যদি দিত কিনে..হলুদ রঙের।