Skip to main content

কিন্তু বিবাগী হবে না

নিজেকে শোষিত হতে দেওয়া ছাড়াও
তার আরো অনেক কিছু পৃথিবীকে দেওয়ার ছিল
সেদিন তার শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস পড়েছিল
...

হালখাতা

বাবার লটারীর দোকানে বসে আছে তিন্নি। সে ক্লাস টু-তে পড়ে। বাবার দোকানে হালখাতা করতে কেউ আসে না। রাস্তায় প্রচুর ভিড়। সবাই কি সুন্দর সুন্দর সেজে রাস্তায় বেরিয়েছে। বাচ্চুকাকার সোনার দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। সরবত,

বাবা কি হিজবিজবিজ?

লালটু মিত্র ওরফে বুকাই, কালো হাফপ্যাণ্ট আর সবুজ টিশার্ট পরে ফ্ল্যাটের দরজায় দাঁড়িয়ে। গ্রাউণ্ডফ্লোরে ফ্ল্যাট। বাবা মা ঠাম্মিকে প্রণাম করতে ওল্ডেজ হোমে গেছে। সেও য

সত্য

আজীবন প্রশ্ন করে গেল লোকটা। সবাইকে। সময়কে, ধর্মকে, সমাজকে, প্রতিবেশীকে।

উত্তর পেল না।
কারণ মনের মত উত্তর সে খুঁজে পেল না। ...

ইউক্রেন

সংবাদ সংখ্যা জানায়। যন্ত্রণার বিবরণ জানায় না। ওটা অনুমান করে নিতে হয়। কারোর প্রত্যক্ষ বর্ণনা পড়লে বোঝা যায় মানুষকে আসলে ধর্ম খারাপ করেনি, মানুষ
আদতে খারাপই। বর্বরই। নইলে এত এত নীতির কথা রাতদিন শেখাতে হয় কেন, দিনের শেষে অবশেষে যা ব্যর্থ? স্বাভাবিকভাবে বিবেক কাজ করে না কেন?
একজন শিশুর যৌনাঙ্গে নিজেকে প্রবেশ করিয়ে যে উল্লাস, তার যন্ত্রণায় যে নিজের তৃপ্তি, সে শিক্ষক হোক, আত্মীয় হোক, রাশিয়ার সৈন্য হোক… সে আদতে
মানুষ তো? একজন যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাওয়া মানুষের শরীরকে পেষণ করে কি সুখ, কি আনন্দ? আমি সত্যিই বুঝি না বিশ্বাস করুন।
...

মূল্যবোধ

একজন নাইনের ছাত্রী। বাবা খুব টানাটানির মধ্যে সংসার চালান, তাও চান মেয়েটা পড়ুক। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছেন মেয়েকে। ক'দিন আগে ব্যাচে পড়তে এসেছে। মাস্কটা নাকের নীচে পরা। স্যার তাকে দু-একবার বললেন, মাস্কটা হয় নাকের উপরে তুলে নাও, নয় খুলে বোসো। ছাত্রী গা করল না। আরেকবার স্যার বলাতে, এক ব্যাচ ছেলেমেয়ের মধ্যে স্যারকে বলল, আপনি আমার মুখটা দেখতে চান... নিন দেখুন... সেটা বললেই পারেন..., এই বলে সে মাস্কটা খুলে ব্যাগে ঢোকালো।
...

বিষফল

গভীর জঙ্গল। ভাঙা মন্দির। ক্লান্ত মানুষ। আদতে প্রেমিক। আদতে সে পালাতে চায়। আদতে সে হারাতে চায়। আদতে সে.... ভাঙা মন্দিরে পড়ল ঘুমিয়ে। তখন রাত। আকাশে তারা। ধরিত্রীতে অন্ধকার। দূরে কাছে, ইতিউতি পশুপাখির ডাক। ভয়। ভোর হল। মন্ত্রোচ্চারণ শুনে ঘুম ভাঙল। একমুখ দাড়ি, কয়েকদিন না খাওয়া ক্লান্ত অবসন্ন শরীর। কোনো রকমে চোখ তুলে তাকাতেই হাতে এলো চারটে বাতাসা।

আমায় নাও

তপেন দেওয়ালে ঠেস দিয়ে বসে। নার্সদিদি এসে জিজ্ঞাসা করল, কেমন আছ তপেন?

Subscribe to