Skip to main content

ক্ষুব্ধ ভালোবাসা

ডাক্তার না নিন্দা করল, বিদ্রুপ করল, ঠাট্টা করল আত্মীয়স্বজনেরাই যখন মেয়েটার কলেজে পড়ার বয়স হল, অথচ সে স্কুলছুট, সমাজছুট হয়ে একলা হল তার অসংলগ্ন জগতের গুহাঘরে ডাক্তার না। বিজ্ঞান না। ভালোবাসা না। সহানুভূতি না। এক মুঠো অন্ধবিশ্বাস টিকটিকির মত মেয়েটার ছবিটা পাহারা দেয় ...

বই

তো হল কি, একদিন সব বই অক্ষরহীন ছাপা হল। বাজারেও এলো। কেউ কিনল। আর কেউ কিনল না।
যারা কিনল না, তারা জিজ্ঞাসা করল, কি লেখা আছে বইতে?
যারা বই কিনেছিল তারা বলল, আরে দারুণ লেখা। কি ভাষা। কি বর্ণনা। কি ভাব। কি ভয়। কি কান্না। কি জ্ঞান। কি পরিণতি।

অন্ধকার, কিন্তু অন্ধ নয়

বুদ্ধ বললেন, আত্মা নেই। দুঃখই সত্য। বেদান্ত বললেন, আত্মা চৈতন্যময়। আনন্দই সত্য। দুঃখ আর আনন্দ সামনা সামনি এসে দাঁড়ালো। সামনাসামনি দাঁড়ালেন যেন বুদ্ধ আর রামকৃষ্ণ। বুদ্ধ বললেন, নেই। রামকৃষ্ণ বললেন, সেও হয়। মা শূন্যও তো হয়। বুদ্ধ বললেন, সংসারে দুঃখই সত্য। রামকৃষ্ণ বললেন, দুঃখ সত্য। তবে দুঃখই সত্য নয়। আনন্দও আছে। তুমি যাকে বলো নির্বাণ। বোধে বোধস্বরূপকে অনুভব করা। সে অস্তি-নাস্তির পার।

সত্য হলে না

সত্য হলে না
সত্যের ধারক হতে চাইলে
...

দেবতা যাচ্ছে ভেসে

সে বলল, আবর্জনাই দেখলে ঠাকুর? দেখো, নর্দমার জলে কি মায়াতে চাঁদের ছায়া আছে ভেসে...নীচু কি নোংরা চাঁদ পরোয়া করে না...তোমার ঠাকুরই করে, কি করে যে
তাকে ছোঁয়াছুঁয়ির বাতিকে ধরল এসে...

এক্সপ্লয়টেশান

এখন দ্বন্দ্ব, নিজেকে প্রতারিত হতে দেব, না তাঁদের উস্কে দেওয়া সেন্টিমেন্টকে প্রশ্রয় দেব। প্রশ্রয় দিলে দুভাবেই ঠকা হবে। দামেও, নিজের সেন্টিমেন্টেও। যে মানুষ
দরজায় দাঁড়িয়ে বলে, তুমি এই ফিনাইলটা দ্বিগুণ দামে কেনো, নইলে আমি আজই বাড়ি গিয়ে আত্মহত্যা করব, দায় থাকবে তোমার; এও তো আমাকে গানপয়েন্টে রাখছে।
আমার সেন্টিমেন্টকে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়ে কাজ উশুল করে নিতে চাইছে। একি অত্যাচার নয়! এক্সপ্লয়েটেশান নয়?

এইটুকুই যা সত্যি

প্রেমিকার চোখের জল পড়ল হীরের উপর। সে তার কোমল ওষ্ঠে হীরেকে স্পর্শ করে বলল, আমার হৃদয়ের
মণিকোঠায় রেখে দিলাম তোমায়, এই হীরের মত।

অন্যমনস্ক

এলোপাথাড়ি ভাবনা। অন্যমনস্ক ভাবনা। এলোমেলো ভাবনা। সব এক কথা। লাগাম নেই। কে পরাবে লাগাম? বলি হাত-পা-মুখ
কিছু আছে প্রাণীটার, যে তাকে লাগাম পরাই? সে যাঁতাকলে পিষছে আমার মাথাটা।
এক-এক সময় মনে হয় মাথা তো না, যেন গ্রাইণ্ডার মেশিন। সব গুঁড়ো করে ঘোঁট পাকিয়ে দিচ্ছে।

মা-ও তাই বলেন

ধ্যান থেকে উঠে, নিত্যকর্ম সেরে মন্দির বন্ধ করে সাইকেলটা নিয়ে যখন রাস্তায় নামে পরমানন্দ, মনটা বিষণ্ণ হয়ে যায়। সমাজ আর তার ধ্যানের জগতে কিছুতেই বনিবনা হয় না। সমাজে এত অসামঞ্জস্য, এত অবিচার, এত দুঃখ, এত পাপ, এত নিষ্ঠুরতা।

বিন্দু

চিঠি হাতে আসার আগেই বৃষ্টির জলে ভিজে গেল। সব লেখা মুছে গেছে। পোস্টকার্ডের হলুদ রঙটা পর্যন্ত বদলে গেছে। ঠিকানা লিখে পাঠিয়েছিল। যে ঠিকানায় চিঠি পাঠাবার কথা ছিল তার। সে ঠিকানাই গেল হারিয়ে।
Subscribe to