কখন এলে?
ভাবলাম তোমায় বৈরাগ্যে ভোলাবো
তুমি তাকালেই না।
ভাবলাম তোমায় পাণ্ডিত্যে ভোলাবো
তুমি গুরুত্বই দিলে না।
ভাবলাম তোমায় স্তবে ভোলাবো
তুমি শুনলেই না।
শেষে উদাস হয়ে, নিজের পাশে বসলাম, একা-
কখন এলে!
স্পর্ধা
দুটো শরীর ভীষণ কাছে এলো
মনকে ঠেলে সরালো।
অন্ধ ওরা দু'জনেই এখন
একে অপরকে হাতড়ে খুঁজছে-
খুঁড়ছে সন্দেহে
ক্ষত-বিক্ষত শরীর দুটোয়
শুধুই স্পর্ধা আজ।
সাগরের নীর
যাকে বাইরে দেখলাম নানা
তাকে ভিতরে দেখি এক
এক কুঁড়িতেই সহস্র দল
মন একটু তলিয়ে গিয়ে দেখ
বাইরে যতই ছোটাছুটি রে
ভিতরে সে এক স্থির
তার চোখে চোখ রাখতে পারলে
মন মাঝ সাগরের নীর
জাগা রাত
অনেক রাত।
কিছু তারা জেগে,
কটা প্যাঁচা আর পাড়ার কটা কুকুর-
ওরাও জেগে।
আমিও জেগে।
আমার চোখ আর হৃদয় পাশাপাশি শুয়ে
চোখ দেখেছে তোমার চোখ আজ
হৃদয় ছুঁয়ে এসেছে তোমার মন
ওরা দুজনে এখন তোমার কথাই বলছে
আমি শুনছি,
ঘুম ক'বার এসে ফিরে গেছে,
তা যাক।
দুই না
প্রথমে ভাবলাম,
শরীর থাকলে তুমি যাবে না।
শরীর ক্লান্ত হয়ে বলল, আর না।
তারপর ভাবলাম,
প্রাণ থাকলে তুমি যাবে না।
প্রাণ দৌড়ে হাঁপিয়ে বলল, আর না।
এরপর ভাবলাম,
মন থাকতে তুমি যাবে না।
মন কল্পনার ফানুস ফেটে পড়ল,
বলল, আর না।
ভাবলাম, সব হল শেষ
তুমি গেলে চলে বুঝি
আর রাখতে পারলাম না।
কি হবে
এত ঔদ্ধত্য তোমার!
কি হবে-
যদি শেষরক্ষা না হয়!
চোখের জল না বুকের আগুন
কার কথা শুনবে সেদিন?
নাকি,
দীর্ঘশ্বাসকে দীর্ঘ করবে আরো-
যতদূর যায় ভাঙা অহঙ্কারের ছায়া?
ভরা বাদর
জাগো
অচেনা রাস্তা, চেনা লাগে তোমার
অচেনা তুমি সবার কাছে তাই
ঝুঁকিকে নাও মুঠোর মধ্যে পুরে
সাবধানীরা এড়িয়ে চলে তাই
দাঁড়াও একটু, আরেকটু যাক বেলা
দেখবে সবাই আশেপাশেই আছে
যাবে কোথায়?
চারদিকে যা নরককুণ্ড জ্বালা!
এবার তুমি একবার দাও ডাক
তোমারই দিকে অলক্ষ্যে সব চেয়ে
দেবেই, জেনো দেবেই মরণ ঝাঁপ!
দাঁড়িয়েছে তারা, বহু অপমান সয়ে
কিছু কথা
কিছু কথা শব্দ হতে ভয় পায়
পাছে তার অনুভব আবিলতায় ঢেকে যায়।
কিছু অনুভব কথা হতে ভয় পায়
জানে, শব্দ এত ভারে ভাঙবে দুর্বলতায়।
কিছু দুর্বলতা আড়চোখে ইশারায় বলে-
"ঢাকো ঢাকো আমায় মিথ্যার কৌশলে"
সব সত্যি-
সত্যি কথায় থাকে না আটকে
কিছু মিথ্যার বেশে ফাঁকি দিয়ে যায়
বুদ্ধির বেড়া টপকে।
কিছু শব্দ
কিছু শব্দ চেনা
কিছু শব্দ অচেনা
স্বপ্নগুলো-
এই চেনা-অচেনার ফাঁকে