Skip to main content

গুহা

ভেবেছিলাম
একটা অন্ধকার গুহা বানাব
তারপর সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে
সেখানে নিয়ে গিয়ে বাঁচব একা
    নিশ্চিন্তে

ধুনুচি

মন তো, ধুনুচি তো নয়, যে এর ওর দুষ্টুমির ছোবড়া মনে করে করে আনবে আর অভিমানের,আক্রোশের কর্পূর দিয়ে রাতদিন ধিকিধিকি জ্বালিয়ে রাখবে। তারপর সারা ঘরদোর ধোঁয়া, ধোঁয়া। ধরতে গেলে ছ্যাঁকা। ধুর ধুর, ওভাবে হয় নাকি! 

    পোড়াতে হলে অভিমান পুড়ুক। পাঁচ কান হওয়া কথা, মনের দীঘিতে ডুবে মরুক। দশ কান হওয়া নিন্দা নিরুদ্দেশ হোক আর নতুন কোনো কান না পেয়ে। 
...

KK

কলকাতার বুকে বহু বছর আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল নক্ষত্রস্বরূপ শিল্পী উস্তাদ আমির খানের। ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪। খাঁ সাহেবের বয়েস ছিল ৬১। 

    গতকাল রাতে কেকের খবরটা পাওয়া ইস্তক ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছিল। আজ সকাল থেকে পেপারগুলো পড়ার পর আরো মনটা খারাপ। জানি না এসব কনসার্ট ডাক্তারের ব্যবস্থা থাকে কিনা। আচমকা কোনো সমস্যা হলে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ রাখা হয় কিনা, জানি না। কিন্তু যে শহরকে এক সময় শিল্পীর চূড়ান্ত পরীক্ষাস্থল বলা হত, সে শহরে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আরো মর্মান্তিক লাগে। 
...

শলাপরামর্শকারী

তো কথা হল এই যে সব আমি এটাসেটা নিয়ে লিখি, লোকে ভাবে আমি বইটই পড়ে লিখি। আদৌ কথাটা সত্যি যে না, সেটা প্রমাণ করতেই তো ছবিটা দেওয়া। সব লেখা নিয়ে এনার সঙ্গে আলোচনা করে, মতামত নিয়ে, শলাপরামর্শ করে তারপর লিখি।

টক্সিক

নৃশংস খুন। প্রতিহিংসা। ভালোবাসা।

যতবার শুনি ততবারই চমকাই। ভাগ্যে ভালোবাসা অদ্দূর গড়ায়নি ভেবে নিশ্চিন্ত হই। চারপাশে ভালো করে মন বুলিয়ে নিই, এমন ধারা ভালোবাসার গন্ধ পাচ্ছি না তো কোনো বন্ধুর জীবনে!
  যাকে ভালোবাসবে সে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে না
...

সমুদ্রতট ও মুক্তা

সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে সে মুক্তার হার বিক্রি করে। সকাল থেকে রাত। সমুদ্রের ধারেই খায়। হাত মুখ ধোয়। স্নান করে। বাড়ি যায় রাতে। অনেক রাতে।

  সমুদ্রের ধারে সবাই তো তার ক্রেতা না। কয়েকজন ক্রেতা।

  সমুদ্র দেখতে আসা সবাই তো আর তার মুক্তামালায় উৎসাহী নয়। কেউ কেউ আসে উৎসুক। তারা সবাই তো
...

দীর্ঘশ্বাস

যে আকাশ হতে পারে
সে আপনিই পারে

যে নীড় হয়ে ওঠে
সেও আপনিই
...

অক্ষয় ভ্রান্তি

কি অক্ষয় হবে? আজ অবধি কি অক্ষয় হয়েছে? কিছু না। এই সত্য -
কিছু অক্ষয় হয়নি। না রামের রাজত্ব, না কৃষ্ণের বৃন্দাবন। অক্ষয় হয়েছে কি? না ধর্ম, না সম্পদ। না পুণ্য, না সঞ্চয়। না স্বাস্থ্য, না সুখ। শুধু বাসনাটুকু অক্ষয় থেকে গেছে, সব কিছু হোক অক্ষয়। ...

অ-স্থির

পাহাড়ের চূড়ায় একটা প্রজাপতি বসেছিল। কেউ জানত না। তার ডানায় সূর্যের আলো ঠিকরে জ্যোতি বেরোচ্ছিল। কেউ দেখল না। 
   মেঘ করল। খুব বৃষ্টি হল। প্রজাপতি জলের তোড়ে ভাসতে ভাসতে নেমে এলো রাস্তায়। বৃষ্টির জলে ভেসে ভেসে এলো গ্রামে। 
   উঠল গা ঝাড়া দিয়ে একজনের বারান্দায়। বসল চুপ করে বাঁশের গায়ে। যে বাঁশের আগায় দাঁড়িয়ে বাড়ির ছাদ। 

ও কিছু না

ঝড়ে আটকে গেলাম চায়ের দোকানে। টিনের চালে শিল পড়ছে। বারবার মোমবাতি নিভে যাচ্ছে। ঝড়ের দাপট সামলাতে টিনের দেওয়াল থরথর করে কাঁপছে। আর কাঁপছে কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়া।
Subscribe to