শরীরে মনে আগুন জ্বাললে প্রবল ক্ষুধায়
    আত্মত্যাগের অনল শিখা দীপ পেল না
ভিক্ষাপাত্র সম্বল করে পথে নামলে
     প্রেমকে বুকে শ্বেতশুভ্র আসন দিলে না

তুমি প্রতিফলন নাকি আমি?
  মাঝে মাঝেই গুলিয়ে ফেলি
      আমার আমিতে তুমি
    নাকি তোমার আমিতে আমি

সঙ্গ ছায়ায় প্রান্তিক উদাসীনতা
নিঃশর্ত ব্যাথার আবদার
        গলায় জড়িয়ে ধরে
দূরে বহুদূরে কার চোখের চাওয়া
 মনের ভিতরে নিঝুম ঘুঙুরের শব্দ - একা বেজে চলে
     ঝুম ঝুম ঝুম

(ছবিঃ প্রীতম পাল)

বলা হল যদি তুমি তারাখসা দেখতে দেখতে কিছু চাও, তুমি পাবে। আবার কেউ বলল, চোখের ঝরাপাতা হাতে যা চাইবে, পাবে।

কিছু কথা তবু যেন বলা হয়নি
কিছু কথা বলা কখনো হয় না
মনের তলানিতে আটকে
কড়া পড়া কড়াইয়ের মত
      হাজার ঘষলেও যায় না

আমি তাঁকে যেদিন মুক্তি দিলাম
  আমার বাসনা পূরণের পদকর্তা থেকে

সেদিন তিনিও আমায় মুক্তি দিলেন
  লোভে ঢাকা মুক্তির আকাশকে মুক্ত করে

সেদিন থেকে তাঁর সরোবর থেকে শীতল বাতাস আসে আমার বাগানে
আমার বাগান থেকে ফুল উড়ে বুকে ভাসে সে সরোবরের জলে

আমরা দু'জনেই মুক্ত দু'জনের দিকে তাকিয়ে
ওই সরোবরের তলদেশে আছে
আমার মননের মণি - চিন্তামণি

একমুঠো সুখ জন্মালো বুকে
  সন্ধ্যের নীরব প্রার্থনা
  তখন দিগন্তে লিখছে অনন্তের বাণী
তোমার চোখে দেখলাম সে বাণীর অক্ষরমালা
 তুমি আমার, চিরকালের আমার
   আমার সিক্ত চোখে দেখো
             সাক্ষী অন্তর্যামী

(ছবিঃ জয়দীপ ঘোষ)

আমি ত্যাগ করিনি কোনোদিন
      ত্যাগ মহতেরা করেন
  আমি বেছে নিয়েছি আজীবন
মন্দের মধ্যে ভালো
   অন্ধকারের মধ্যে আলো
 অসতের মধ্যে সৎ
    আমার মধ্যে তোমায়
       তোমার মধ্যে আমায়