নিভে আসা প্রদীপগুলো নিভিয়ে মন্দিরের দরজাটা টেনে, মা-কে প্রণাম করে পূজারি বলল, মা আসি?
মা বললেন, এসো, সাবধানে যেও।
ভোর হল। পূজারি মন্দিরের দরজা খুলে বলল, মা ওঠো, আমি এলাম।
মা বললেন, এই তো, এসো।
পুজো হল। আরতি হল। প্রসাদ বিলি হল। বেলা গড়িয়ে দুপুর হল।পূজারি বলল, আমি ঘুমাই একটু এখানে?
মা বললেন, ঘুমাও।
পূজারি মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়ল। মা আগলে বসল মাথার কাছে।
পূজারি ঘুম ভেঙে উঠে মা-কে বলল, ভক্ত এসেছিল কেউ? ডেকেছিল?
মা হাসলেন।
পূজারি বেদীর সামনে দেখল, পুজোর ডালা, চার-পাঁচটা। পূজারী বলল, কে করল পুজো?
মা আবার হাসলেন। পুজারি পুজোর ডালার নাম দেখে দেখে গেল গ্রামের বাড়ি বাড়ি। সবাইকে জিজ্ঞাসা করল, কে নিল পুজো তোমাদের?
সবাই হাসতে হাসতে বলল, ঠাট্টা কেন করো ঠাকুর… তুমিই নিলে… এই পোশাকেই, এই হাতেই, এই স্বরেই করলে মন্ত্র উচ্চারণ।
পূজারি সজল চোখে দেখল সবার হাসি যেন মায়েরই হাসি। পূজারি মা-কে বলল, তবে কি এই সবই তুই?
মা হাসলেন। বললেন, আমিই তো সব হই।