অনেককে দেখেছি, প্রেমটাকে বিয়েবাড়ির মেনু কার্ডের মত বানিয়ে ফেলেছে। এটার পর ওটা আসবে, সেটার ওটা হবে। এইসব ভেবে লালা চুকচুক জিভে পাত পেড়ে বসে থাকে। একটু এদিক ওদিক হল কি, অমনি গোঁসা। যা দিয়েছে তার হিসাব কষে মনে মনে অভিমানের লুচি ভাজবে- "ইস্, এত দামী গিফট আনাটা কি ঠিক হল! এতো সেরকম কিছুই আয়োজন নেই দেখছি!"

জেনেছি
জানি না

বুঝেছি
বুঝি না

মেনেছি
নেইও, আছেও

হারিয়েছি
ছায়াতে ছায়া

যা আছে
তাই আছে

যা নেই
তা নেই

আমি নেই
আমি আছি

১
----
তবু ভাল আছি তো

জানি কেউ কেউ বিশ্বাস করে না

আয়না, মাথার বালিশ, আর নির্জন সন্ধ্যে

২
----
জানি তুমিও ভাল আছ

তবু কেউ কেউ বিশ্বাস করে না

আমার হৃদয়, তোমার চোখ, আর রাতের আকাশ

সত্য কি?
কে জানে?
কে বোঝে?

নিশ্চুপ সব

সত্য কি ভিতরে?
অনুভবে?
সত্যি কি বাইরে?
যুক্তিতে?

যে খোঁজে
সে বোঝে
যে বোঝে
সে কই?

সে মিলিয়ে গেছে
রোদে জলে বাতাসে আকাশে

জল পড়ল
টুপ

মন বলল
চুপ

জল বলল
কিসের ঢেউ?

মন বলল
এল কি কেউ?

উড়ে চলেছি
ভেসে চলেছি

খুঁড়িয়ে চলেছি
হেঁচড়ে চলেছি

জেগে চলেছি
ঘুমিয়ে চলেছি

পিছনে চলেছি
সামনে চলেছি
উপরে চলেছি
নীচে চলেছি

ভুলে চলেছি
ঠিকে চলেছি
পাপে চলেছি
পূণ্যে চলেছি
আলোতে চলেছি
আঁধারে চলেছি

একা চলেছি
দোকা চলেছি
অনেকে চলেছি

গোলাপকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি
গোলাপ বোঝেনি কোনোদিন।

রামধনুর রঙ চোখ জুড়িয়েছে
মনে মনে বলেছি, বাহ্।
সে শোনেনি কখনো সেভাবে।

নীলাকাশের বুকে চাঁদের শোভা-
এও তো যুগান্তরের মাধুর্য্য
আত্মভোলা আবেগে বলেছি, উফ্
চাঁদ, আকাশ ফিরেও তাকায়নি।

তুমিও কি ওদের মতই হবে?

মড়া হাড়ে মালা পরাতে গেলে
মালার ফুলগুলো আর্তনাদ করে ওঠে-
আমরা মরিনি...মরিনি..মরিনি..

তবু পরাতেই হয় মালা
জোর করে মড়ার হাড়ে
সতেজ ফুলের মালা

এটাই তো কৃষ্টি
সতেজকে মারো
মৃতকে করো হিমালয়
যাতে কেউ চড়তে না পারে
উঠতে গেলে, নামাও পা-ধরে
"যত্তসব অবিশ্বাসীর দল"!

ইতিহাসে পড়েছিলাম, সেই আদিম যুগে, মানুষ - বিদ্যুৎ, ঝড়, বন্যা এইসব ঘটনায় ভাবত দেবতারা রুষ্ট হয়েছেন। তাই নানা রকম আচার অনুষ্ঠান করে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করত। সেই থেকে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী দেব-দেবীদের নামকরণ ও দায়িত্ব নির্ধারণের একটা কল্প-গল্প মানুষের মনে তৈরী হয়েছিল। বলা বাহুল্য বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সে ধারণা পাল্টাল।
 

তোমার চোখ
আমার সব আনন্দের খনি
তোমার আশ্বাস
আমার প্রতি হৃদয়ধ্বনি