Skip to main content

বই দিবস

আজ বই দিবস। আগের বছরও ছিল। সামনের বছরও হবে। আগের বছর অনেক মানুষ চলে গেছেন। এ বছরও অনেক অনেক মানুষ চলে যাচ্ছেন। অক্সিজেন, ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছে না। বইতে অক্সিজেন বানানোর পদ্ধতি লেখা আছে। বইতে ওষুধ বানানোর পদ্ধতিও লেখা আছে। এও পড়ানো হয়, demand and supply theory মানে কি। এ সব তত্ত্ব বইতে লেখা আছে। কিন্তু এখন কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। 

তবু শুধু ছুটতে হবে বলে

আসলে এখন কোনো বিশেষ মৃত্যু নেই। এখন মৃত্যু মানে শুধুই শোক নয়। মৃত্যু মানে ক্ষোভ। আতঙ্ক। আস্থাহীনতা। কোথায় পা রাখবে মানুষ? মাটি বদলে যাচ্ছে। বাতাস বদলে যাচ্ছে। আকাশের রঙ বদলে গেছে। এত এত পুঞ্জীভূত অন্ধকার জমেছিল কেউ টের পাইনি আগে। এখন সেই অন্ধকার হাতড়ে হাতড়ে চেনা রাস্তায় ফেরার চেষ্টা করছি সবাই। তাই কি হয়?

একটা গল্প

আজ একটা গল্প মনে পড়ছে। আমি কলেজে শুনেছিলাম। 

একটা প্লেন ক্র‍্যাশ হয়েছে। প্রাইভেট প্লেন। দেশের কোনো এক মন্ত্রীর প্লেন ছিল। যদিও কেউ মারা যায়নি, কিন্তু সবাই কোমায়। সুস্থ বলতে একমাত্র একটা শিম্পাঞ্জি, সেও ওই প্লেনেই ছিল। 

মানুষ বাঁচে মনে

গতকালের কথা। দুপুর গড়িয়ে সদ্য বিকাল হয়েছে। এক বিশেষ দলের বেশ কিছু রাজনীতির মানুষ বাড়ি বাড়ি স্লিপ দিচ্ছেন। অবশ্যম্ভাবীভাবেই কারোর মুখে মাস্ক নেই। কারণ, "আমাদের এদিকে তেমন আসেনি"..."পকেটে আছে, এই খুললাম"..."গরম লাগে"...ইত্যাদি নানা ভ্যালিড কারণ তো আছেই। তাছাড়া কপালে থাকলে কে আটকাবে - এর থেকে বড় জীবন দর্শনই বা কি থাকতে পারে! 

প্রজ্ঞা

প্রশ্ন - পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞার মধ্যে পার্থক্য একটি করিয়া বাক্যে বুঝাইয়া লেখ। 

উত্তর - করোনা হইতে রক্ষা পাইতে ও অন্যকে রক্ষা করিতে মাস্ক পরিধান আবাশ্যক - ইহা জানার নাম পাণ্ডিত্য। 

সঠিক সময়ে, সঠিক মাস্ক, সঠিক উপায়ে ধারণ করিবার অভ্যাসকে বলে প্রজ্ঞা।

কোনো উত্তর নেই

আমি ওরকম ভীষণ শূন্য দৃষ্টি, ওরকম প্রাণহীন হাসি আজ অবধি দেখিনি। সারা ঘর শুধু বই আর বই। খাটে, মেঝেতে, তাকে শুধু বই আর বই। নানা দেশের ম্যাগাজিন। সব অগোছালো।

অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড

একবার হল কি ওশোর যৌনতার উপরে লেখা একটা বই নিয়ে একজন বরিষ্ঠ জ্ঞানীগুণী মানুষ, খুব সম্ভবত মোরারজী দেশাই মন্তব্য করেন, খুব অশালীন বই ইত্যাদি ইত্যাদি। ওশোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনার এই বিষয়ে কি বক্তব্য।

ভ্যাক্সিন পর্ব

আমি যখন ভ্যাক্সিন নিচ্ছি তখন জানলার বাইরে বসন্ত ফাইল হ্যাণ্ডওভার করছে গ্রীষ্মের কাছে। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় পর্বের দামামা বেজে গেছে। রবীন্দ্রনাথ গ্রীষ্মকে মৌনতাপস বলেছেন, মানে বৈশাখকে। আমাদেরও তপস্যার সময় এসেছে। গতকালই একটা তিরিশ বছরের ছেলে হাস্পাতালে বেড না পেয়ে মুম্বাইতে মারা গেছে, অবশেষে কয়েক ঘন্টার জন্য পেয়েছিল যদিও। আমাদের আরো সাবধান হতে হবে। এই যুদ্ধে যার যতট

কেউ বলবে না

"ন্যাকামি করবেন না"।

    মজার কথা হচ্ছে, কেউ কিন্তু উঠে গেলেন না। কেউ বললেন না, আপনি এই শব্দটার জন্য ক্ষমা না চাইলে অনুষ্ঠানটা আর একরত্তিও এগোবে না। একজন জিভ কেটে পাশে বসে হাসলেন। বাকিদের অভিব্যক্তি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।

কনফিউজড

তো কৃষ্ণ যখন অর্জুনকে বললেন, কি বললেন? কৃষ্ণ বললেন, এই জ্ঞান আমি অমুক অমুককে আগে দিয়েছি। এই এখন তোমায় বলছি। 

    অর্জুন মেলা কনফিউজড, মানেটা কি? তিনি তখন কৃষ্ণকে বললেন, তোমার জন্ম তো এই সেদিন, আর যাদের কথা বলছ তারা তো কবে জন্মেছে... মানেটা কি?

Subscribe to হাল হকিকৎ