Skip to main content

কেউ বলেনি

কেউ বলেনি
ভালোবাসতে হবে

তবু না ভালোবেসে কোনো রাস্তা পাবে না
দেখো
...

সেমিকোলন আর দীর্ঘশ্বাস

এই তো
একের পর এক সহ্য করে যাচ্ছি সব
বর্ষা বসন্ত গ্রীষ্ম শীত

এই তো
একের পর এক সহ্য করে যাচ্ছি সব
প্রেম, অপ্রেম, ঈর্ষা, অপমান, শোক

এই তো
সব সহ্য হয়ে যাচ্ছে
কপটতা, ছলনা, ষড়যন্ত্র, প্রতারণা

এই তো
সহ্য হয়ে গেল দেখো

সেই ভিখারিটা

আপ না ডাউন

কোন প্ল্যাটফর্মে বসলে বেশি ভিক্ষা পাবে
ঠিক করতে না পেরে
যে ভিখারিটা প্রথমে জ্যোতিষী
তারপর ঈশ্বরের কাছে গিয়েছিল
...

এক বিন্দু জল

তুমি তো এক বিন্দু জল
তর্জনীর মাথায় নিয়েও
সেখানে আকাশের ছবি খুঁজতে
আমি এক সমুদ্র জলের সামনে দাঁড়িয়েও

অবিনশ্বর মরিয়াপনা

ছেলেটা তার দম দেওয়া ট্রেনটাকে বলেছিল

ভাঙবি না কোনোদিন
ট্রেনটা একদিন ছাদের কার্ণিশ থেকে পড়ে
স্প্রিংট্রিং বার করে হাঁ হয়ে পড়েছিল কুয়োপাড়ে

প্রথম থেকে ভাবো

শপিংমলের দরজায় দাঁড়ানো

আটান্নোটা বসন্ত মাড়ানো মানুষটা
যে যেতে আসতে হাসিমুখে
কাঁচের দরজাটা খুলে দেয়

তুমি না

তুমি না

আমি বিশ্বাস করেছি
তুমি এলে আমি ভালো থাকব
তুমি না
আমি এই বিশ্বাসকে লালন করেছি
স্বপ্নে, প্রশ্রয়ে, আদরে

অস্থাবর

পাগলামি শান্তও তো হয়
এই যে সে
চায়ের দোকানের সামনে উবু হয়ে বসে
সে কি করছে?

স্বপ্ন

বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে অনেক বড় হবে
ছেলেরও স্বপ্ন ছিল সে অনেক বড় হবে

সমস্যা হল
বাবার স্বপ্নে ছেলে থাকলেও
ছেলের স্বপ্নে বাবা ছিল না ...

সংশয়

যে মানুষ খড়ের গাদায় সূঁচ খুঁজতে নিরাশ
সে মানুষও খড়ের গাদায় হাঁটতে যায় না নিশ্চিন্তে
খালি পায়ে ...
Subscribe to কবিতা