পোষা বেড়াল নয়
শুধু দুপুরবেলা ভাতের সময় আসে
আর যদি সোহাগ খাওয়ার ইচ্ছা হয়
তখন পায়ে পায়ে
কাক আবার পোষ মানে নাকি?
তবু আসা যাওয়ায় বিরাম তো নেই
যেন অনেক কর্জ, অনেক ধারবাকি!
তবু তো এদের প্রাণ আছে
খাবার শুঁকে ভালোমন্দ বুঝতে পারে
কোনোটা খাদ্য
কোনটা অখাদ্য
তফাত জানে
আর যেগুলোর প্রাণ নেই
বাসনকোসন, হাতাখুন্তি
ওভেন, চিরুনি
বালতি, কল
ঘরের চটি?
সবাই জানে
চোখের আড়ালে
মুচকি হাসে
আয়না আজ যমুনা তীর
বেয়াড়া এক ঘূর্ণীঝড়ে
ধুলো এসেছে উড়ে,
ঘটেছে বিষাক্ত দৃষ্টিপাত!
মাঝে মাঝেই জোয়ার জল
পাঁজরে বাঁধা সিন্ধুনীর
ছাদ, বাগান
নিপাত যাক
নিপাত যাক
ব্রাশের মাজন দাঁতের উপর
স্তব্ধ হয়ে, কখন থেকে,
পায়ে ঝিঁঝিঁ, দাঁড়িয়ে আছে
মাহেন্দ্রক্ষণ,
আর কতক্ষণ?
তাকিয়ে আছে
অপলক যে
সে তবে কে?
আয়নার ওপার থেকে
ডাক এসেছে
মরবি চল
চিঠি এসেছে
চিঠি এসেছে
বুকের রক্তে
ভিজে যাচ্ছে
পড়বি চল
পড়বি চল
সুখ! বড্ড সুখ!
কালবৈশাখী
আবর্জনা
শুকনো পাতা
এক নিমেষে উড়িয়ে সাফ
খোলা মাঠের
খোলা গা
বিপজ্জনক
নিশিডাক?
শান্ত চোখ
নিরীহ চোখ
পিছল পথ
একলা সে
ভীষণ রোখ
ভীষণ রোখ
হাত বাড়িয়ে
ওকি মরণ?
ব্যস, আর কিছু নয়?
শুধুই মরণ?
ও তো হাওয়াই মিঠাই
মিলিয়ে যেতে
কতক্ষণ গো
আর কতক্ষণ?