Skip to main content

স্বপ্ন সাগর

ক্লান্তিতেই হবে, নইলে হঠাৎ করে বিদ্যাসাগর মশায় এসে ঘুমের মধ্যে ঢুকবেন কেন? যা হোক, ঢুকেই যখন পড়েছেন, সে ঘুমের মধ্যে হলেও, বসতে বলতে হয়। তা তিনি আমার কথা না শুনে সারা ঘরময় ঘুমের মধ্যেই পায়চারি শুরু করে দিলেন। আমি বললাম, ও মশায়, অমন হাঁটেন কেন, একটু বসেন না, দুটো কথা কই?

মুখ দেখাব কি করে

আজ এক খুদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে গল্প করতে করতে বলল, আজকে আমি ক্রিম দেওয়া বিস্কুট খেয়েছি....জানো তো, আমি যখন স্কুলে যেতাম, তখন মা টিফিনবক্সে আমায় এই বিস্কুটটা মাঝে মাঝেই দিত..

যন্ত্রণার তাগিদ

কথাটা শিবজ্ঞানে জীবসেবা না আত্মজ্ঞানে জীবসেবা? কোনটা বেশি কাছে আসে?

নাস্তিক চলন

ছাত্র হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন লিখে পাঠালো, স্যার নাস্তিক চলন কি?
প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ালাম। নাস্তিক মানুষের চলন নানাবিধ। কেউ ঈশ্বরকে যুক্তিতে না পেয়ে নাস্তিক। কারোর ঈশ্বরের অস্তিত্বে অস্বস্তি, সে আরেক ধরণের নাস্তিক। আবার কেউ কেউ সিজন, লোকেশান, কমিউনিটি অনুযায়ী কখনও আস্তিক, কখনও নাস্তিক।

প্যারালাল ওয়ার্ল্ড

অ্যাদ্দিন জানতুম প্যারালাল ওয়ার্ল্ড কথাটা একটা অতিজাগতিক তত্ত্ব হয় তো বা।

জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে

এপিকটেটাস খুব বড় একজন দার্শনিক ছিলেন। খুব কঠিন জীবন ছিল। এক ধনীর বাড়ি দাসত্ব করতেন। মালিকের খুব সুনজরে ছিলেন না। এত মার খেতেন, এত মার খেতেন যে অনেকে বলেন তিনি নাকি প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। ওনার সম্বন্ধে এই কথাটা শুনেই আমার আমাদের অষ্টাবক্র মুনির কথা মনে পড়ে। তারও দেহের আকার নাকি এমনই ছিল। সবাই তো রাম ঠাকুর বা রামপ্রসাদের মালিকের মত মালিক পান না, যারা গুণের কদর করে তাদের মান দিয়ে মুক্তি দেবেন, অগত্যা এপেক্টেটাসও পাননি।

মন

মন কোথায় রাখব? স্বস্তি নেই মনে। দু বছর আগে যে জীবনটা মনে হত একঘেয়ে, তেমন কিছু কেন হচ্ছে না। আজ সেই জীবনটার চাইতে কাঙ্ক্ষিত আর কিছু নেই। সেই সাদামাটা জীবনটাই চাই। দরকার নেই কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতার। দরকার নেই নিত্য জীবনের বাইরে কোনো অসাধারণ জীবনের। প্রাণ গলায় এসে ঠেকছে। রাতের ঘুম বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেনা অচেনা সব মানুষের সঙ্গে যে এত কাছাকাছি রকমের বাঁধা আছি সেটা এত স্পষ্ট করে বুঝতে পারিনি আগে। এত এত মর্মান্তিক ছবি ছাপা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেগুলোর মুখোমুখি কিভাবে হব? শুধু আতঙ্ক তো নয়। অসহায়তায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। জীবিকার জন্য কাজটুকু করেই হোয়াটস অ্যাপে, মেসেজে, ফোনে বসে পড়ছি চেনা অসুস্থ মানুষজনদের খোঁজ নিতে। আজ কেমন আছেন? কোনো মানুষ বাড়ি ফিরে গেছেন শুনে আনন্দে চোখে জল আসছে। তেমনই কেউ চলে গেছেন শুনে হেরে যাওয়া বিষণ্ণতায় আবার কুঁকড়ে যাচ্ছি।

দেশ ভগবানের ভরসায় চলছে

আজ হাইকোর্ট বলেছে বর্তমানে দেশ ভগবানের ভরসায় চলছে। অবশ্যই কোর্টের বিচারকদের দিব্যজ্ঞান হয়নি যে তারা এ কথা বলছেন। তারা এ কথা বলছেন চরম আক্ষেপের সঙ্গে, এ বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    আসলে শুধু নেতার দোষ না। যেদিন অত বিশাল মূর্তি বসল, যেদিন অত কোটি টাকা দিয়ে মন্দিরের প্রকল্প হল, সেদিন আমরা একজোট হয়ে বলতে পারিনি, এই টাকাগুলো আগে আমাদের স্বাস্থ্যের খাতে খরচ হোক। গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো উন্নত হোক। সরকারি হাস্পাতালেগুলোতে চিকিৎসার সঠিক সরঞ্জাম আসুক। না, এগুলো

রবীন্দ্রনাথ ও স্প্যানিশ ফ্লু

রবি ঠাকুরের সময় এসেছিল স্প্যানিশ ফ্লু, ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। ১৮ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল শুধুমাত্র ভারতেই নাকি। রবীন্দ্রনাথ কিভাবে সামলেছিলেন? বিশ্বভারতী গড়ে উঠছে, হাজার একটা সমস্যা তো আছেই, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি। তার মধ্যে এই অতিমারী। 

অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড

একবার হল কি ওশোর যৌনতার উপরে লেখা একটা বই নিয়ে একজন বরিষ্ঠ জ্ঞানীগুণী মানুষ, খুব সম্ভবত মোরারজী দেশাই মন্তব্য করেন, খুব অশালীন বই ইত্যাদি ইত্যাদি। ওশোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনার এই বিষয়ে কি বক্তব্য।

Subscribe to চিন্তন