Skip to main content

একটা কাজের কথা


        একটা কাজের কথা। একবার ভেবে দেখবেন তো, যতগুলো অনুতাপ, অপরাধীভাব কিম্বা দোষীভাব নিজের ভিতরে, নিজের অজান্তে পুষে রেখেছেন, তার কতগুলোর সত্যিই কোনো মানে হয়?

একটা দেশ আর একটা মশা

মশাটা কানের পাশে ঘুর ঘুর করতে করতে বসল। কোথায় বসল অনুভব করতে পারছি না। তবে যেহেতু আওয়াজটা আর আসছে না, তার মানে কোথায় বসেছে। সারা শরীর জুড়ে কার্ফ্যু জারি করা। প্রতিটা স্নায়ু চূড়ান্ত সতর্কতায়। হাতের পেশীগুলো টান টান উত্তেজনায়।

এত কথা কেন?

        কখনও কখনও সম্পূর্ণ লিখতে পড়তে না জানা মানুষদের, যাদের আমরা চলতি কথায় 'অশিক্ষিত' আর তার সাথে গরীব হলে, অবতার-সাধু না হলে 'ছোটোলোক' বলি, তাদের মুখে এক একটা কথা শুনে মনে হয় কবিতা জিনিসটা যত বেশি হৃদয়ের কাছে থাকা যায় তত বেশি শুদ্ধ হয়। লেখাপড়া না জানা মানুষ কথা বলে

স্নেহ

        স্নেহ, একটা বেড়া ঘেরা ভালোবাসা। করুণা, চাষের জমিতে খালকাটা ভালোবাসা। এর একটাও যদি না থাকে, তবে একা না থাকাই ভালো। অন্যের বেড়ার মধ্যে অথবা অন্যের খালের কাছাকাছি থাকাই নিরাপদ। নইলে শরীর ভীষণ আঁশটে ভাষায় কথা বলে। তাতে যত না নিজের বিপদ, সমাজের বিপদ আরো বেশি। 

প্রতিটা মানুষের পরিস্থিতি আলাদা

        প্রতিটা মানুষের পরিস্থিতি আলাদা, আর সেই পরিস্থিতির সাথে বোঝাপড়া করার রীতিটাও আলাদা। এমনকি দেখেছি একই পরিস্থিতিকে রাম শ্যাম যদু মধু এক এক রকমভাবে সামাল দেয়। 

আজকের ভারতবর্ষের মেয়েদের অবস্থান

আজকের ভারতবর্ষের মেয়েদের অবস্থান, আর বিদ্যাসাগরের সময়ের মেয়েদের অবস্থানের নিশ্চয় পার্থক্য ছিল। তিনি বিধবাবিবাহ প্রচলনের প্রস্তাবনায় দুটো বই লিখেছিলেন। অত শত শত শাস্ত্র থেকে বেছে বেছে অত অত শ্লোক উদ্ধার করা গুগুলহীন যুগে যে কঠিন বিষয়, কি অমানুষিক কাজ ভাবলে হতবাক হতে হয়!

বয়স না, কাম না


বয়স না, কাম না,
মাড়িয়ে যাওয়াই আসল কথা,
বড্ড বাড় বাড়ছিস তোরা
তাই মাঝে মাঝে উচিৎ শিক্ষা..
বীর্য্য পিচকারিই দেখিয়ে দিচ্ছে
পুরুষ সাজার কি হয় সাজা!

"অবকাশ আমার আর নেই"

        বন্যার ভয়াবহতার সদ্য সাক্ষী আমরা। নানা স্তরের মানুষের সাহায্যের সাক্ষীও আমাদের চিত্ত। আবার নীরবতা বা উদাসীনতার সাক্ষীও। 
        ১৯৩১ সাল, বাংলা বন্যায় ভাসছে। রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে লিখছেন, ২৩ অগস্ট,

"বাংলাদেশে আর নয়"

বাইশে শ্রাবণে কবির অন্তিমযাত্রার যে ভিডিওটা দেখি, তাতে কতটা উন্মাদনা আর কতটা আন্তরিক শূন্যতার হাহাকার --- সংশয় জাগে। রবীন্দ্রনাথকে ভারতবাসী সেদিন কতটা নিজের ভিতরে নিয়েছিল, সন্দেহ হয়। আজও কতটা নিতে পেরেছে জানি না। কয়েকটা কবিতা আর গানেই যেন মানুষটার সব প্রতিভা শেষ হয়ে গেল।

আমার সর্বোত্তম শিক্ষক

        যখন খুব পিঠ চুলকায়, চুলকানোর উৎসমুখটা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়, তখন তাকে হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে পেলে ভীষণ আনন্দ, আরাম। 

Subscribe to চিন্তন