ভাব দরিয়া
যার আগু পিছু ভাবা আছে
তার কি প্রেমে মন মজেছে?
সে তো মহাজনীর কারবারী ভাই
ভাবের ঘরে সিঁদ চালায়
যে জন হিসাব কিতাব ভুলতে পারে
সে ভাবের হাওয়া চিনতে পারে
এক ঠাঁয়েতেই বসে বসে
ভাব দরিয়ায় নাও চালায়
ঝাপসা
উবু হয়ে, লুঙ্গিটাকে গুটিয়ে হাঁটুর কাছে এনে, বসে আছেন। বয়েস ষাটের আশেপাশে হবে। রাস্তার পাশে একটা পাঁচিলের ধারে বসে। খেটে খাওয়া শরীর ছিল এককালে দেখলেই অনুমান হয়। বিকেলবেলার পশ্চিম ঢলা রোদ ওনার ভাঁজ পড়া মুখে।
না চাইতেই
না চাইতেই কি এসে পড়িনি সবার ভীড়ে
হঠাৎ করে?
না চাইতেই কি দু'হাতে পাইনি অনেক কিছু
গভীর করে?
দিশা
কি খোঁজার কথা ছিল?
সন্ধ্যাতারা না ধ্রুবতারা?
ও দুটো চোখের দিকে তাকিয়ে
ভিতরে বাইরে ছন্নছাড়া
দিশা খুঁজতে এলাম
হলাম দিশাহারা
চলা
না তো দুর্ভাগ্যকে অস্বীকার করতে পারো, না তো সৌভাগ্যের পথ চেয়ে সব কাজ ফেলে বসে থাকতে পারো।
মাঝামাঝি একটা রফা তোমায় করতেই হবে। জুতো না মিললে খালি পায়েই হাঁটতে হবে। তবু হাঁটতেই হবে। জুতোর ওজর দেখিয়ে বসে থাকলে, জুতোর মানই বাড়ে শুধু অনর্থক, ক্ষতি যা হয় সে আমার। সে না-চলার ক্ষতি, রক্তাক্ত পায়ের তুলনায় অনেক বেশি। ক্ষত সারবে, কিন্তু, সময় আর ফিরবে না যে!
সোজা সাপটা
সত্যে মিথ্যায়
আলোতে আঁধারে
জড়ানো চিরটাকাল
ছিল, আছে, থাকবেও
কিছু মানুষ চীৎকার করে ধূলো উড়াবে
বিভ্রান্ত করবে
তাদের আছে উদ্দেশ্যের দায়
এরাও আছে চিরটাকাল, থাকবেও
ব্যর্থ
বীজটাকে হাতে করেই বেড়ালো
না নিজে মিশল বীজে
না বীজকে মেশালো নিজেতে
না জন্মাল গাছ
না ফুটল ফুল
না ধরল ফল
শুকনো বীজের খোসা হাওয়ায় উড়ছে
সে খোসাগুলোর নাম দিয়ে দিয়ে
রাখছে গুদোম ঘরে জমিয়ে
যেন খোসা থেকেই জন্মাবে গাছ
ফুলকি
ছেলের গোত্র কি?
মেয়ের?
এ বাবা!
এ গোত্র চলে না যে!
নমো শুদ্দুরের সাথে বামুন!
আরে মিত্তিররা কি গোত্রের হয়?
কি বললেন?
আর, পাল? কর্মকার?
আরে শুনতে পাচ্ছি না যে....
বাঁক
দিয়া
তুমি চোরাবালি না ভুলভুলাইয়া
কি সুখ বলতে পারো?
তোমার শিখায় জ্বলে পুড়ে
কাজল হয়ে
তোমার চোখের কিনারাতেই