কাশতে কাশতে রক্ত উঠে এলো। ধুতির পকেট থেকে টাওয়েল বার করে মুছে, কল থেকে জল খেয়ে, আবার খঞ্জনি বাজাতে বাজাতে বাড়ির দরজায় দাঁড়ালো। ভিক্ষা চাই। পেটের জন্য। কৃষ্ণচৈতন্যের নাম গাইছে। প্রাণের জন্য।
খুঁজলে হারায়, চাইলে আসে। এ কিরকম?
দার্শনিক খোঁজে, তাই পায় না। প্রেমিক চায়, তাই পায়।
কিন্তু খোঁজার মধ্যেও তো চাওয়া থাকে?
সে চাওয়ার মধ্যে আত্মতৃপ্তির বাসনা থাকে। আর এ চাওয়ার মধ্যে আত্মনিবেদনের আকুতি। আমি পেয়ে তৃপ্ত হব বলে দাঁড়াইনি তোমার সামনে ভিক্ষার পাত্র হাতে। আমি নিজেকে দিয়ে শূন্য হব বলে রাস্তায় নেমেছি। কোথাও পৌঁছাব বলে না, শুধু হাঁটব বলে।
কিছু খোঁজার নেই তোমার?
এককালে খুঁজেছি। জীবন মানে কৌতুহলের নেশা তখন। হঠাৎ নেশা গেল কেটে। দেখলাম খোঁজার কিছু নেই।
নেশা কাটল কিসে?
জানি না। মনে করতে পারি না। যার নেশা কাটে সে মনে করতে পারে না। যার নেশা এ পাশ ফিরে অন্য আড়ে শোয়, সে মনে করতে পারে। তার এক নেশা গিয়ে আরেক নেশায় বাস তখন।
চায় কখন মানুষ?
যখন সব থেকেও সব শূন্য লাগে।
আর খোঁজে কখন?
যখন সব থেকেও কি একটা নেই মনে হয়….
মেঘ করে এসেছে… বৃষ্টি নামবে… শান্ত চারদিক… নাকি আমি শান্ত হলাম?…. এবার সে ফিরবে… ফেরার আগে আবার ফিরল…. বলল,
আসলে ভাবনার সুতো ছেঁড়া ভাব বড় বালাই…. হয় বিহ্বল… নয় বিষণ্ণ…. জগত মানেই তো ভাবনার সঙ্গে ভাবের খেলা…. খাপে খাপে বসানো চাই…. তাই সে সঙ্গমস্থলে যাওয়া চাই… ডোবা চাই…. সেখানে ভাবের সঙ্গে ভাবনা ডুবে…. কি থাকে?..... কেউ জানে না….. কেউ বলতে চাইলেও বলতে পারে না…. বলে শুধু ডুবেই দেখো না….