বিষ
যখন তাকিয়েছিলে
বলেছিলাম, সুন্দর
তুমি বিষাক্ত কপটতায়
চুমু খেয়েছিলে
সে বিষ নামল ধীরে ধীরে
আমার সর্বাঙ্গ ছেয়ে,
বাধা দিইনি
বিষে আমার অধিকার
না তোমার আদরের মোহ
না বুঝেই ভালোবেসেছি তোমায়
মাতৃভাষা ও প্রাথমিক শিক্ষা
বহুদিন আগে কোনো এক নিকটাত্মীয়া আমায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর সন্তানকে তিনি কোন মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা দেবেন?
সংকট
তুমি অচেনা হলে বলে
আমি নিজেকে গুলিয়ে ফেললাম
তোমার বাঁদিকে না ডানদিকে ছিলাম আমি?
মনে পড়ছে না তো,
তুমি আমার কোন হাতে হাত রেখেছিলে,
বাঁ হাতে কাটা দাগ, ডান হাতে আঁশটে গন্ধ
কোন হাতটা ধরেছিলে?
অবসর
সেদিন সকালে ঝুল বারান্দায় বসে আছি। মনটা পদের না। কেন পদের না, বুঝছি না, বোঝার চেষ্টাও করছি না। পাত্তা দিলে পেয়ে বসে। খুব আদুরে বেড়ালের মত মন এক্কেবারে পছন্দ না আমার। সে যা হোক সামনের বাড়ির বাঁধানো উঠানে কটা ঝরা পাতা এলোমেলো বাতাসে উড়ছে, দেখছি, বেশ লাগছে।
নীল অনন্ত সুখে
রাস্তায় খানিক বৃষ্টির জল জমে
চলতে গিয়ে থমকালাম আনমনে
সোজা পথ
লোকটা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস দেওয়ালটায় ঘুঁষি মেরে চলেছে। সে জানে দরজা আছে, তবু দরজার ছিটকিনি খুলে বাইরে যাবে না। সোজা পথে, সহজে যেতে তার নাকি লজ্জা লাগে, অহংকারে লাগে।
অবশেষে লোকটা দেওয়াল ভেঙে, হাত গুঁড়ো করে বাইরে এলো।
এসে এবার সে পড়ল বিপদে। পথ কই? পথ তো ছিল দরজার সামনে।
পরা টিপ
তোমাকে বলিনি
বলব কেন?
তোমার কথা কেউ শুনেছে
আজ অবধি?
যত কান্না তোমার স্নানঘর জানে
তত কান্না তুমি ভেবেছিলে আছে তোমার বুকে?
বোঝার আগে
পথ হারালাম?
না তো!
বুঝলে কি করে?
বুঝতে চাওয়ার আগেই
ফেললাম ভালোবেসে
বুঝেছি তখন
এ পথ আমারই পথ
পেয়েছি অবশেষে
বেয়াড়া মন
তোমার দু'চোখের কোল ঘেঁষে
দুটো ছোট্ট নদী।
তাতে জোয়ার-ভাটা খেলে
পলকগুলো দু'ধারে সার সার
তরুর মত দাঁড়িয়ে,
মাঝে ভেসে আমার মন
ছোট্ট পানসিতে।
তোমার নাকের নীচে
ঠোঁটের উপর ঘেঁষে আল পথ
আমার মনের অবাধ বিচরণ সে পথে
কখনো কখনো উপরের ঠোঁটে
হুমড়ি খেয়ে গড়ায়
তাকে রাখতে গিয়েও
রাখি না জোর করে।
আশ্বাস
প্রতিটা গাছ
সারাটা রাত
স্থির আশ্বাস
দাঁড়িয়ে একা
হবেই ভোর
কাটবে ঘোর
তরুণ অরুণ
দেবে দেখা