নিশুতিরাতের হাতছানি
ছিন্ন শিকল পায়ে নিয়ে
দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার - অতি প্রাচীন কথা। কর্মক্ষেত্রে, শাসককূলে, ধর্মে, সমাজে, জাতিভেদে ইত্যাদিতে এর উদাহরণ ভুরিভুরি। সেগুলোর একটা যথাযথ কারণ আছে। অত্যাচারটা সমর্থনযোগ্য তা বলছি না। কেউ হয়তো শারীরিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি ভাবে পিছিয়ে আছে। তাই সে নরম মাটিতে বলশালী প্রতাপ ফলিয়ে শুরু করেছে অত্যাচার। তবু সেরকম হলে তার উঠে দাঁড়াবার এবং অত্যাচারের প্রতিবাদ করার সুযোগ আছে ভবিষ্যতে।
প্রেম চলল বহুদূর
কুঁড়ি
পথচিহ্ন
দিনের আলো যে সত্যকে
দিনের আলো যে সত্যকে আলোর ছলে ঢাকে
না ঘুমানো রাত বুকের ওপর তাকেই জাগিয়ে রাখে
না-স্পর্শ
আমি যে ঠিক প্রতিশোধ নিতে চাই
তা না
আমি যে ক্ষমা করেছি সম্পূর্ণভাবে
সুখ
সুখ খুঁজে মন জনম গেল
হেঁটে বেড়াস কানাগলি
কি সুখে সব সুখ খোয়ালি
নিজেই নিজের চোরাবালি
ডুব দে রে মন মাঝপুকুরে
জলে ছায়ার মায়া ছাড়
লাগবে মাটি পায়ের তলায়
মন একডুবেতে ছারখার
হংসধ্বনি
তাড়া নেই কোথাও যাওয়ার। তবু হাঁটছি। সোজা রাস্তা। সন্ধ্যে ইতস্তত করছে পুরোপুরি চাদরে মুড়তে দিনের অবশিষ্ট আলোটুকুকে। ডানদিকের আকাশে ঈষৎ রক্তিম পূর্ণচন্দ্র।
নয়
বাতাস ঢুকল পর্দা উড়িয়ে
এসেই প্রশ্ন, গলা জড়িয়ে
এসেছিল বুঝি, ফিরে গেল?
কি ভাবে খবর হল?
তোমার গায়ে এখনো যে তার গন্ধ
যা অসভ্য! আগল করি বন্ধ
লজ্জা হল?
বয়েই গেল
মরবি নাকি!
সে আর বাকি?
কতবার মলি? তাও গোনা হয়?
হাজার কোটি উনিশ লক্ষ নয়
নয়েই শেষে আটকে গেল, কি ভয়?