না তো। আসেনি তো কেউ?
শাড়িটাকেই ঘিরে ভাঙা বারান্দার উত্তর দিক আটকানো
পৌষের শীত গো মা, মানবে কেন?
আরে আরে ডেকো নি গো!
ও রাত আটটাতেই ঘুমুতে যায়।
কি খায়?
থাকলে খায় ভাত
না হলে খায় মুড়ি
হে হে...মাঝে মাঝে বাতাসও খায়
কোথায় শোয়?
ওই মাদুর পেতে। নিকানো বারান্দা।
ঠাণ্ডা লাগে?
না তো, সারা শরীরে কড়া পড়ে
শালায় কয়, সারাডা মনেও কড়া পড়ে
সেবার যে গো। চুরি করল। বিশ্বাসদের মুদির দোকান..
সেই যে গো পুলিশে দেল...
হ্যাঁ হ্যাঁ...কি মার মারলে গো...রাতের বেলা বসে থাকত...বলত পিঠে পাছায় বিষ ব্যাথা..
এমন চোর হাতেনাতে....কত চোরের মার একাই খেলো
ফিরে এসে বলল, ভরা প্যাটে লাথি মারল,
খালি প্যাটে
এইডা কোনো বিচার হল?
সেই থেকে ওর মনেও কড়া..
সকালবেলা কোয়ানে যায়?
এদিক ওদিক.. একাজ সেকাজ...খুঁজে বেড়ায়
মদের নেশা? খুউউব আছে...
বলে অমৃত দেছে... মহাদেব নাকি দেছে ওরই মুখে...
বোঝো কথা! সে খায় গাঁজা..তো মদ পাবে কোয়ানে?
তো সে হাসে...বলে হিমালয়ে গিয়ে শুধাও কেনে!
ওর মরণের ভয়?
বলে মরণ যারে নিতি ভয় পায়..তার আবার মরণের ভয়.....
মরণ নাকি পাকা কলা..বিচি ভরতি...
আর কথা না...ওই উঠেছে...
ও শোনো...যেসব লোকেরা ভোট চেয়ে ফেরে, তারা কোন দ্যাশে জানা আছে..
ওরে শুধাই...চাঁদ দ্যাখায় খালি...
বলে উই দ্যাশে....
ওর মাথা খারাপ.... মা বাঙাল..বাবা পুরুলিয়া..আমার উল্টা...
ওর এ পার ও পার ছিঁড়ে ছারখার....
সৌরভ ভট্টাচার্য
2 January 2016