Skip to main content

লজ্জার, ভীষণ লজ্জার

আজকে 'এই সময়ে' খবরটা পড়লাম। তারপর আরেক সূত্রে জানলাম জয়রামবাটিতেও নাকি সূর্যগ্রহণের আগে আগে রান্নাবান্না হয়ে যাবে, খাওয়াও হয়ে যাবে।
   একদিন ধর্মান্ধতা গ্যালিলিওকে অন্ধ করে দিয়েছিল, একদিন ব্রুনোকে পুড়িয়ে মেরেছিল। আজ আমার মনের গভীর থেকে ধিক্কার এলো আরো গভীরভাবে। এত মানুষের মনের মধ্যে অন্ধকারকে
...

লকডাউন ও ছাত্র-ছাত্রী

লকডাউনের শুরুতে একটা লেখায় আশঙ্কা প্রকাশ করি – অনলাইন ক্লাস নিয়ে। মনে হয়েছিল অর্থনৈতিক সামাজিক অবস্থানের পার্থক্যের জন্য কিছু কিছু দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আজ দেখছি তা ঘটছেও। হয়তো নানা কারণে আমরা অনেক কিছু নিয়ে ব্যস্ত বলে সেই ঘটনাগুলো নিয়ে তেমনভাবে আলোচনা করার, দিশা খোঁজার দরকার মনে করছি না, কিন্তু ঘটছে। না তাকাতে পারি, অস্বীকার করতে পারি না।
   শিবানী কুমারী শাউ। বয়েস ষোলো। হাওড়ায়
...

দেবতা ও করোনা

সক্কালবেলা জেঠিমা দেখি মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক পরে পুজো দিচ্ছেন।
   ভেবে দেখলাম ঠিকই করেছেন। এত বাড়ি, মন্দির, গাছতলা, দোকান, সকালবেলা উনি পুজো নিতে যান.... বলা যায় না...মানুষের শরীরই যদি এমন ধারা সংক্রমণযোগ্য, তবে দেবতনুর সংক্রমণ
...

ছোটোরা না হয় ছোটোদের মতই থাকুক

ছোটোরা না হয় ছোটোদের মতই থাকুক। তাদের কল্পনা, ভাষা মাড়িয়ে, নাই বা হেঁটে গেল বড়দের কাদা মাখা পা?

"কি আঁতলামি মশায়? কাদা কি সংসারে নেই?"

আছে। অবশ্যই আছে। আপনার আমার সংসারে সে বাঞ্ছিত না হলেও আছে। দিব্যি আছে। কিন্তু

...

ডুব

দীর্ঘদিন শিক্ষকতার জন্য কিনা জানি না, আমি দেখেছি আমি অকারণ কারোর মেজাজ নিতে পারি না। সে যেই হোক, যিনিই হোন। এই স্বভাবটা যত বয়েস বাড়ছে বেড়েই চলেছে। চিরটাকালই একা থাকতে বেশি পছন্দ করি। সাথে বন্ধুবান্ধবও পছন্দ করি। কিন্তু একটা গণ্ডী অবধি। তারপর নিজের সাথে নিজের যে সম্পর্ক, সেখানে কাউকেই পছন্দ করি না। অনেকে নিষ্ঠুর মনে করে, রূঢ় মনে করে
...

দিশা

অনেকবার অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন, "কোন বই আপনার জীবনে পথের দিশা দিয়েছে?"

   আমাকে এর উত্তর ভেবে বলতে কোনোদিন হয়নি, আজও হয় না। উত্তরটা সোজা - অবশ্যই রেলের
...

সে কি এলো?

টবের মধ্যে মাটি। মাটির মধ্যে গাছ। গাছের উপর ছাদ। গাছের সামনে গ্রিল।

গ্রিলের সামনে ফাঁকা। ফাঁকার ওপারে গ্রিল। গ্রিলের সাথে আস্ত আরেকটা ফ্ল্যাট।

রোদ গেল। টব বলল, কি হল? দিনের বেলায় রোদ গেল। ছায়া হল?

হাওয়া দিল। হাওয়ার গা ভেজা ভেজা।
...

কৌতুহল

এখন আমাদের প্রচণ্ড কৌতুহল।

   কেন মারা গেল? কেন গলায় দড়ি দিল? ঠিক কি কি খেয়েছিল? ক'বার হিশু করতে গিয়েছিল? হিশুর রঙ কি ছিল? ফ্লাশ করেছিল কোন হাতে? দড়ি না চাদর? কোন কোম্পানির চাদর? রঙ কি ছিল? দাড়ি কেটেছিল? শুনেছি গলায় দড়ি
...

অন্য আকাশ

আকাশটা গুটিয়ে
খাটের তলায় রেখে দিয়েছি
  ট্রাঙ্ক বন্ধ করে

আমায় কেউ বাইরে খেলতে ডাকলে বলছি,
  না যাব না
...

জি এন দাস

জি এন দাস। পুরো নামটা মনে নেই। রামকৃষ্ণ মিশনের এককালীন অধ্যক্ষ স্বামী রঙ্গনাথানন্দজীর মন্ত্রশিষ্য ছিলেন। সেই দাস মহাশয়ের জীবনে তখন তুমুল দুর্যোগ। ব্যবসায়, ব্যক্তিগত জীবনে, বন্ধুবান্ধব মহলে, এমনকি নিজের স্বাস্থ্যের দিক থেকেও। চিঠি লিখলেন
...
Subscribe to