নীলিমায় নীল
গভীর জঙ্গল। সেই জঙ্গলের মধ্যে একটা নীলপদ্ম ফুটে। এই জঙ্গলে নীলপদ্ম বিশেষ একটা ফোটে না। সবাই ভাবল, এ কিরকম ফুল? কেউ দেখল সন্দেহে, কেউ দেখল ঈর্ষায়, কেউ দেখল তাচ্ছিল্যে। পদ্ম চুপ করে থাকে। কাকে বলবে সে? আর কি-ই বা বলবে?
বাংলা সিরিয়ালের কথা অমৃত সমান
বাংলা সিরিয়ালের কথা অমৃত সমান।
যেই শুনে তার হয় জীবন শ্মশান।।
সেট টপ উপরে ধরি নীচে জোড়া স্ক্রিন।
নাচিছে নাচাইছে সবে তাধিন তাধিন।।
নট-নটী অঙ্গসজ্জা কভু নাহি খুলে।
কথা কহে বসে নাহি, ঘরে বুলে বুলে।।
ডানা
আমি বহুবার চেষ্টা করলাম জানো
বহুবার।
আমার অন্তত একটা ডানা কেটে
তোমার তৈরি এত দামী খাঁচার সাথে
এক্কেবারে মানিয়ে গিয়ে -
ভাষা - শিক্ষা -শৈশব
শব্দগুলো যে সবসময় ভাব বা চিন্তা প্রকাশের সহায়ক হয় তা তো নয়, অনেক সময় যথেষ্ট প্রতিকূল অবস্থাও সৃষ্টি করতে পারে। বাধাও হয়ে দাঁড়ায়।
ফিলোলজী
কত হাজার বছরের পুরোনো কথাটা, তবু কতটা জরুরী...
দুই রূপেই
জেগে ছিলাম
নদীটাও জেগেছিল
সারারাত জেগে আমরা দুজনে
পাড় ভাঙার আওয়াজ শুনছিলাম
ভোরে উঠে দেখি
মুখ থুবড়ে পড়া নীড়ের পাশে
মাটিতে লুটিয়ে চোখ না ফোটা পাখি
আসবে বলো?
মন খারাপের অন্ধকারে
অন্ধ বাউল একতারাতে
কি বাজালো?
সিঁড়ি গিয়েছে তেপান্তরে
মেঘের মধ্যে বসত করে
চিনতে পারো?
বিশ্বাস
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণ। সকাল আটটা। উল্লেখযোগ্য ভিড় নেই। রামকৃষ্ণদেবের ঘরে ঢুকতে বাঁশ। ডাঁয়ে, বাঁয়ে, পিছনের দিকে বাঁশ আটকানো - প্রবেশ নিষেধ - এখানে জুতা রাখবেন না। ঘরে ঢুকতে গেলে মন্দিরের ভিতরের প্রাঙ্গণে ঢুকে তবে যাও। এখ
থুড়ি, শ্রমজীবী
বুদ্ধিজীবী তো সেও
যে জানে কোন জুতোতে কোন সেলাই হয় না
বুদ্ধিজীবী তো সেও
যে পোকা দেখলেই কোন ফসলের শত্রু ওটা চিনতে পারে