যখন তখন সাইরেন বাজতে পারে
আচম্বিতে হতে পারে বোমারু বিমানের হামলা
সাবধানে হাঁটো।
যে কোনো মুহূর্তে ছদ্মবেশে ঢুকে যেতে পারে শত্রুপক্ষের চর ভালোবাসার মানুষ সেজে
বুঝে ভালোবাসো।
ঘুমের অতল থেকে যে কোনো সময়ে উঠে আসতে পারে ডুবোজাহাজ, ছারখার করে দিতে পারে সব কিছু তোমার
সজাগ ঘুমাও।
এত সাবধানী বাঁচাটা ব্যর্থ হল, যখন লোকটা তবু মারা গেল। নিজের হাতেই। গলায় দড়ি দিয়ে।
ওকে ছোটোবেলা থেকে বলেনি তো কেউ
মানুষ যে নিশ্চিহ্ন হতে হতে বেঁচে গেছে বহুবার
সে সিসিটিভি ক্যামেরার জোরে নয়
বেঁচেছে বিশ্বাসের যাদুমন্ত্রে।
ছাদে একটা বিকাল একা কাটালেই
কিম্বা পুকুরধারে একা বসলেই শুনতো
নিজের বুকে কত বুকের ধুকপুকুনি
কখনও কখনও অভিমানী হত হয়ত, তবু অবিশ্বাসী হতে পারত না
গলায় দড়ি দিত না আর
ওই দড়িতে ভেজা জামাকাপড় মেলে
নিশ্চিন্তে ঘুমাতো আকাশের নীচে, উলঙ্গ হয়ে, গভীর শ্বাস নিয়ে
বেঁচে যেত লোকটা।