Skip to main content

দুনিয়া তো এক বাজার

দুনিয়া তো এক বাজার
    তোমাকে খুঁজে পাওয়ার উপলক্ষ্য মাত্র

চলো এ বাজার ছেড়ে বাইরে
      একটু নিরালায় বসি

কুলটা

ফুলগাছটা কেনার সময় খেয়াল করেনি, ফুলটার রঙ, পাপড়ির বাহার শুধু চোখে পড়েছিল, কাঁটাগুলো খেয়াল করল বাড়িতে আনার পর।

প্রেমের জন্য হাপিত্যেশ করিনি

প্রেমের জন্য হাপিত্যেশ করিনি
   তোমার জন্যে করেছিলাম

দুনিয়া ওকেই প্রেম বলে
            পরে জেনেছিলাম

মধ্যরাতের প্রমোদাগার

অপু দিদির সাথে কাশের বনে ছুটেছিল। শরতের সেই দৃশ্যই হয়ত বা বাঙালীর মনে শেষ ডক্যুমেন্টেড শরতের দৃশ্য তার আগে পরে আরো ছিল আর হবেও বা। কিন্তু সেই দৃশ্যটাই আমাদের শরতের সিগনেচার টিউন।

ওরা তিনজন

অবন্তী, মল্লিকা, রেণু
তিনজন আজও দরজার কাছে বসে
    সন্ধ্যেবেলা
          রোজকার মত

অবন্তী, মল্লিকা দুই জা, রেণু শাশুড়ি

আজ বড্ড অন্ধকার লাগছিল ওদের বারান্দাটা
   মুখগুলো স্পষ্ট দেখতে পেলাম না

৬৫ ডেসিবেল

হেমন্ত, মান্না, কিশোর, আশা, লতা ইত্যাদি নিরীহ মানুষগুলোর অসামান্য প্রতিভাও যে কি প্রবল ভয়ংকর হতে পারে তা ফের টের পাওয়ার সময় শুরু হল। ৬৫ ডেসিবেলের নিকুচি করেছে। লাগাও গান...ফাটুক পর্দা..মরুক বুড়োরা...."শালা এই কদিনের তো মামলা একটু সামলে নিন না কত্তা!!!"

ছুটি

ক্যাপ ফাটালে একটু জোরে
সবাই কেমন আসে তেড়ে
বলে, ওরে কি দুষ্টু রে
নে তো ওর বন্দুক কেড়ে
দৌড়ে তখন মণ্ডপে যাই
দুগ্গা মায়ের মুখে তাকাই
দুগ্গার কেন মুখ নড়ে না?
ওকি বাংলা বলতে পারে না?
এতগুলো হাত কোলে তো নেয় না
একটা দিনও চুমুও দেয় না
কি রোজ শুধু মন্ত্র শোনে
অং বং ছং থাকে কি মনে?
নড়ে না চড়ে না খায় না দায় না

দেখ না ওরে

এ পূজোটা তোদেরই থাক
   বাবার মুঠোতে আঙুল পুরে
    বিস্ময় চোখে ঘুরে ঘুরে

পুরোনো রাস্তাটা ধরে

পুরোনো রাস্তাটা ধরে আবার হেঁটে এলাম
    কয়েকটা ঝরা হলুদপাতা ফুটপাথের ধারে পড়েছিল সেদিন
    এত বছর পরেও সেভাবেই রয়ে গেছে দেখলাম
         কয়েকটা পাতা হাতে নিয়ে ভাবলাম ফিরি
    তবু কি জানি কি ভেবে

সরি, ভুলে গিয়েছিলাম

ছাদের ধারে কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলাম
    একাই ছিলাম। রাত কটা হবে তখন?
        সাড়ে বারোটার কাছাকাছি
    দূরে কিছু কুকুর জটলা করে ডাকছে
           কয়েকটা বাড়িতে আলো জ্বলছে

Subscribe to