জোনাকিরা
একটা কবিতা লিখতে লিখতে
সকাল গড়িয়ে বিকাল হল
বিকাল গড়িয়ে রাতও হত হয়ত
তুমি না এসে পড়লে গোধূলিতে
সিঁদুর মাখা পশ্চিম আকাশ নিয়ে ঘরে
যদি না আসতে
মধ্যরাতে না ঘুমানো জোনাকিরা
চুরি করে নিয়ে যেত সে কবিতা
বাপু
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন
মাঝবয়েসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন
বৃদ্ধা মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন
আমিও আসছিলাম বাপু জন্মজয়ন্তীতে যোগ দিতে,
দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম।
তোমারও কোথায় একটা দাঁড়ানোর কথা ছিল না?
মনে পড়ছে না।
উপড়ানো বটগাছ
একলা একটা পাখা কত কথা বলবে?
চারটে দেওয়াল তো আর আরব্যরজনী শোনাতে পারে না?
জানলারও একটা সীমা আছে!
মানুষটা রাতদিন শুয়ে শুয়ে কি ভাবে জানি না
মশারির মধ্যে শীর্ণ শরীরটা
মূল উপড়ানো বট গাছের মত শুকিয়ে যাচ্ছে দিন দিন
অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেই
এই মানুষটার পাঁজর আর মেরুদণ্ডের উপর ভর করে দাঁড়াতে শিখল গোটা পরিবারটা
ঝুরঝুর ঝুরঝুর
হাতের মুঠোর ভিতর দিয়ে বালি ঝরছে
ঝুরঝুর ঝুরঝুর ঝুরঝুর ঝুরঝুর
সব বালি পড়ে গেলে, মুঠোটা খুললাম
কয়েকটা বালি আঙুলের ফাঁকে আটকে
দস্তয়েভস্কির 'ব্রাদার্স কারামাজোভ'
দস্তয়েভস্কির 'ব্রাদার্স কারামাজোভ' আমার জীবন দর্শনকে দুটো টুকরো করে আছে। এক, প্রাক কারামাজোভ, দুই উত্তর কারামাজোভ। এর বইটা পড়ার পর থেকে সব বই-ই কেমন - "এও বাহ্য আগে কহো" হয়ে গেছে।
সুরাসুর
যথারীতি এ বছরও মা দুগ্গা গট-আপ কেস করে, একটা আই ওয়াশ করে বেরিয়ে গেলেন। একখেন অসুরও মারা গেল না। বিশেষ করে কাল রাতে বেপাড়ায় নবমীর নিশির মদো নৃত্যের হুল্লোড় কথাটা প্রমাণ করেই ছাড়লে। এই সুরার মত অসুর সংসারে খুব কম আছে। কত মানুষকে অমানুষ, অমানুষ থেকে মহিষাসুর হতে দেখলাম তার ইয়ত্তা নেই।
ঝুল বারান্দা
উঠে বসে চশমাটা খুঁজতে শুরু করল হাতড়ে হাতড়ে। রাত দুটো। বৃষ্টির শব্দটা তুমুল। সাথে ঝোড়ো হাওয়া। জানলার কাঁচটা আটকাতে হবে। পা ভিজে যাচ্ছে। কিন্তু চশমাটা?
তা না নানা, তা না নানা
আবছা অন্ধকার হয়ে আসছে
আবছা অন্ধকার হয়ে আসছে
বৃষ্টির একটানা শব্দমালা স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে
তোমার না থাকাটাও....
নির্দ্বিধায়
পরিচয়ের কি আছে?
এক চিলতে বুকে যতটা ভালোবাসা ধরে
জীবনের দাবি তার চাইতে অনেক বেশি
সংশয় রেখো না
দু'পলকের জীবনের যাবতীয় হিসাব
এক ফুঁয়ে ওড়ায় মৃত্যু
কিছু মানুষকে কালের হিসাবে চিনি তো বহুদিন
বলা যায় কয়েক যুগ
কিন্তু বুঝতে পারিনি একরত্তি
পরিচয়ে কি আসে যায়?
তুমি নির্দ্বিধায় এসো
যদি ফিরে যাওয়ার তাড়া না থাকে