Skip to main content

কোথায়?

আমাকে অনেকে অনেক কথা দিয়েছে। ভাগ্যে সেগুলো তারা রাখেনি। তা না হলে, অত কথা আমি রাখতাম কোথায়?

    কোনো মানুষ কথার খেলাপ করলে নাকি সে মানুষটার গুরুত্ব কমে যায়। বালাইষাট, তা হতে যাবে কেন? বরং শান্তি পাওয়া যায় এই ভেবে যে - আরে একে তো অন্তত সিরিয়াসলি না শুনলেও হবে! সবাই যদি এত সিরিয়াস হবে, তবে হাল্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া মানুষ পাব কোথায়?

বেমানান নাতো!

বদলায় তো সবাই
কাউকে বদলায় সময়
কেউ বদলায় নিজেকে, সময়ের আগে

মেয়েটাকে দেখলাম অনেকদিন পর
চোখে যে দুটো কালোদীঘি ছিল
    শুকিয়ে ফেলেছে। এখন আগুন।
চলনে আগে দ্বিধা ছিল, ব্রীড়া ছিল,
          এখন দৃঢ় স্থির সলক্ষ্য পদক্ষেপ।
সিঁথিতে সিঁদুর ছিল। কোর্টে রেখে এসেছে।

নাগরিকত্বের অধিকার

নাগরিকত্বের অধিকার পেলেই মেলে বুঝি নগরের অধিকার ?

বন্দুকও তো একই শুনলাম
পাল্টা যুক্তি ফিরিয়ে দিতে বুলেট লাগে কেন?

সমস্যার সমস্যা

আদৌ কোনটা সমস্যা আর কোনটা সমস্যা না, সেটা বোঝাই একটা জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনটা তৈরি করা হয়েছে আর কোনটা নিজে থেকেই একটা সমস্যার রূপ নিয়েছে সেটা বড্ড গোলমেলে ব্যাপার। যেমন রোহিঙ্গা সমস্যাটা কিছুটা তৈরি করা আর বাকিটা ঐতিহাসিক জটিলতা। জল ঘোলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল যতটা উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার তা হয়ে উঠছে না। এ ওকে, সে তাকে দোষারোপ, চাপসৃষ্টি ইত্যাদিতেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। এমনকি যথেষ্ট পরিমাণ

আপনার খাতাটা দেখাবেন?

লেখক তো স্রষ্টা। কবি স্রষ্টা নন, সাক্ষী। একটা সৃষ্টির সাক্ষী।
সব শেষে বড়জোর চুলটা একটু ঠিক করে দেওয়া, টিপটা মাঝখানে কিনা দেখে নেওয়া কিম্বা জুতোর ফিতেটা একটু আঁট করে বেঁধে দেওয়া।

শপিংমলে থিকথিক করছে ভিড়

শপিংমলে থিকথিক করছে ভিড়। সন্ধ্যেবেলা। পেমেন্টের লাইনই চার পাঁচটা। একটা অবাঙালী পরিবার। হিন্দিভাষী। হিন্দিটা শুনলে ছত্রিশগড়ের মানুষ মনে হয়। ভদ্রলোকের বয়েস চল্লিশের একটু উপরে। ভদ্রমহিলার তিরিশের আশেপাশে। সালোয়ার কামিজ পরা শীর্ণ শরীরটায় যেন ভার বহনের আর শক্তি নেই। চোখ দুটো কোটরে। একটা বিপন্নতা আর উদ্বেগ মিলেমিশে চাহনি।

রোহিঙ্গা

কবিতা লিখব? পারছি না যে
বুক কামড়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা

পূজাবার্ষিকী দোকানেই থাক
ঘর বার শুধু লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা

কান্না পাচ্ছে, মাথার মধ্যে গুলিয়ে দিচ্ছে
কূটনীতি থেকে তথ্যপ্রমাণ ধুলিঝড় শুধু ধুলিঝড়
চোখেতে ভাসছে গলাকাটা শিশু
আল্লাহ মালিক, রাম প্রভু, দয়াল পিতা
  কই গেল সব!
বুকের তন্ত্রী ছিঁড়ে ঝুলছে রোহিঙ্গা!

নিক

নামতার মত মুখস্থ করা সংলাপগুলো
  আলনায় কাপড়ের মত সাজিয়ে একটু বসলাম।
লালার সাথে মিশে মিশে এখনও ভিজে,
     খানিক শুকিয়ে নিক।

মনের থেকে মন ছাড়িয়ে আগলা দিয়ে বসে
   সব ক্ষত তো মিলাবে না,
      তবু কিছু ক্ষত তো মিলিয়ে নিক।

যা তাই-ই

হঠাৎ করে ভীষণ মেঘ করল। কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। সব কিছুরই কি আর পূর্ব প্রস্তুতি থাকে?
এই যেমন যে মহিলা যৌনাঙ্গে ভাঙা বোতলের টুকরো নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে, ওর কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল?
তুমুল বৃষ্টি নামল। সাথে কি বাজ রে বাবা! ইনভার্টার খুললাম, ফ্রিজ, টিভির প্লাগ খুললাম। খুলব না? গেলবার বাজ পড়ে ইনভার্টারটা পুড়ল না? কিন্তু সব সময় কি আর দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায়!

মানুষই খুঁজত!

বাবা হাস্পাতালে থাকাকালীন কয়েকবার ব্লাড আনতে ব্লাডব্যাঙ্ক যেতে হয়েছিল। একটা আশ্চর্য জিনিস দেখলাম। যারা ব্লাড নিচ্ছেন তারা কেউ ব্লাডগ্রুপের প্যাকেটটা সেভাবে চেক করছেন না। শুধুমাত্র যে গ্রুপটা চান সেটাই দেওয়া হয়েছে কিনা মিলিয়ে দেখছেন।

Subscribe to