বড় মামুর জন্মদিন
বড় মামুর জন্মদিন। মায়ের সাথে ওর শেষ জন্মদিন। মায়ের এই একটাই ভিডিও আছে। খুব শখ ছিল মায়ের দৈনন্দিন রোজনামচা রেকর্ডিং করে রাখব, একান্ত ব্যক্তিগত সংগ্রহ করেই। হল না। মায়ের জন্য আমার কেনা সাধের শাড়িও মায়ের অন্তিম যাত্রায় আগুনে পুড়তে লেগেছিল। এমনই হতভাগ্য ছেলে আমি।
আমি কবিতা লিখছি না
আমি কবিতা লিখছি না। আমি জলের দিকে তাকিয়ে আছি। জলে আজ এত ঢেউ কেন?
তোমার পাশে বসে থাকার একটা যন্ত্রণা আছে
তোমার পাশে বসে থাকার একটা যন্ত্রণা আছে
বিন্দু বিন্দু সময়
যেন ঘামের মত কপালে জমে
মিলিয়ে যাচ্ছে
চপ
বললে তো হবে না, অনেকেই বারণ করেছিল বিশুদাকে বাড়িটা কিনবেন না, কিনবেন না। ভালো না বাড়িটা। এখন পস্তাচ্ছেন।
ওরা প্রতিবাদ করবে না
তুমি একটা কফিনে
আরো কয়েকটা মৃতদেহ রাখতে পারো
অথবা কিছু মৃতদেহ
আধপোড়া করে নদীর চরে ফেলে রাখতে পারো
মৃতদেহরা প্রতিবাদ করবে না
বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো
কথায় বলে বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো। আজ সকালে অনেকের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখলাম লেখা আছে Profile is Locked. ভালো কথা। অর্থাৎ আমার প্রাইভেসি মান্যতা পাচ্ছে, সুরক্ষিত থাকছে। কিন্তু একি সেই 'ওরকম মনে হয়' গোত্রের কিছু হয়ে যাচ্ছে না?
তোমায় অনুভব করতে পারছি
শোনো,
তুমি জানলার ধার থেকে সরে দাঁড়াও,
প্লিজ
বিচিত্র এ সংসার
বাবা খানিক সুস্থ। অবশ্যই অনেকের শুভেচ্ছায়, যত্নে, চিকিৎসায়। সিদ্ধান্ত হল আয়া রাখার দরকার নেই তবে আর। সেন্টারে ফোন গেল, তারা উৎসাহে বললেন, "বাহ! মেশোমশাই ভালো তবে, এতো খুব ভালো কথা!"
কুহক
সন্ন্যাসী নদীর তীরে। একটাই গেরুয়া। স্নানের পর নগ্ন শরীরে বসে। পাশে মেলা গেরুয়াবাস। সন্ন্যাসীর চোখে বিতৃষ্ণার দৃষ্টি। সংসার - মিথ্যা কুহকাবৃত ছলনার স্রোত, মূঢ় মানুষ। শুদ্ধতার সাধন নেই।
প্রতিশ্রুতি
ছেলেটার গায়ে নীল টিশার্ট তার সাথে চলতি কালারের বাজার উপচানো সস্তা জিন্স। সদ্য যৌবনে পা। খেটে খাওয়া শরীরের সন্ধ্যের অবসরের সস্তা শৌখিন বিলাস। সিগারেটের দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে। পা দোলাচ্ছে। ঠোঁটে দুলছে জ্বলন্ত সিগারেট, একটার পর একটা। ফোন কানের কাছে উঠছে বারবার, "একবার এসো, প্লিজ..."। জীবনবাজি ডাক।
...